১৪ ই আগষ্ট ২০১৬
MIM
প্রশ্ন: I live in NY and I want to say it’s brilliant idea to open a app where you could read your writing. Thank you so much for your kindness
উত্তর: সাহস করে তো শুরু করেছি কিন্তু যদি নিয়মিত লেখার সুযোগ না পাই তোমরা আমাকে তুলোধূনা করবে না তো?
মোহাম্মদ আনোয়ার। চট্রগ্রাম
প্রশ্ন: সারাদিন চিন্তা করলে কি গবেষক হওয়া যায়?? সারা দিন পড়লে কি জ্ঞানী হওয়া যায়??আপনাদের লক্ষ কি ছিল??? উদ্যেশ্য কি ছিল জীবনে?? কেমন চিন্তা ভাবনা করতেন?? কেমন ছিল?? আমরা ওই পথে যেতে পারবো কিংবা কেমনে??
উত্তর: বাবারে বাবা, এতগুলো প্রশ্ন! চিন্তা করলেই গবেষক হওয়া যায় কীনা জানি না, কিন্তু গবেষণা করতে হলে অবশ্যই চিন্তা করতে হয়। হ্যাঁ, জ্ঞানী হওয়ার একটা সহজ উপায় হচ্ছে পড়াশোনা করা। আমার জীবন অন্য সবার মতই ছিল, এখনো তাই আছে- তাই তোমার সে পথে যাওয়া মোটেই কঠিন লিছু নয়!
মুন্না খুলনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ
প্রশ্ন: স্যার আমার প্রশ্নটি হল আমাদের দেশে বই পড়ুয়া এত কম কেন??? এবং সুন্দর ও শিক্ষনীয় গল্প গুলো কেন সিলেবাস থেকে বাদ পড়ে। অনেক বই পড়লে তো সৃজনশীলতা আসবে তবে মহান শিক্ষকরা বই পড়তে কেনই বা বাধা দেয়???
উত্তর: পাঠ্য বই পড়ে কেউ বই-পড়ুয়া হতে পারে না, সেখানে আর কয়টা গল্প কবিতা থাকে? বই পড়ুয়া হতে হলে পাঠ্য বইয়ের বাইরের বই পড়তে হয়। যে শিক্ষক বই পড়তে বাধা দেয় সে আর যাই হোক “মহান” নয়!
মিতুল রহমান অন্তর শ্রেণীঃ নবম ঠিকানাঃ মোহাম্মদপুর, ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার, কেউ যদি বিজ্ঞান কিংবা গণিত নিয়ে লেখালেখি করতে চায়, বা হয়ত বই বের করতে চায় তাঁর কি করা উচিত? কিভাবে অগ্রসর হওয়া উচিত? আর স্যার এরকম একটা বই আপনাকে উৎসর্গ করলে কি আপনি রাগ করবেন?? :p
উত্তর: একজন প্রথমে শিখে, তারপর লিখে। তুমি যেহেতু মাত্র নবম শ্রেণীতে পড় এখন তোমার শেখার বয়স, কাজেই ভাল করে শিখো যেন বড় হয়ে লিখতে পারো। আমাকে বই উৎসর্গ করলে রাগ হব কেন? অনেক খুশী হব!
A.H. Alex Dhaka ast.alex@gmail.com
প্রশ্ন: স্যার, আপনি কি আপনার গল্প বা উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নাটক বা সিনেমা বানাবার আনুমাতি দেন ? সেক্ষেত্রে আপনার কি কি requirement আছে ? এই বিষয়ে আপনার সাথে কি সরাসরি বা ইন্টারনেট আলাপ করে সম্ভব হবে ?
উত্তর: নাটক একেবারেই দেই না। সিনেমা বানাতে কয়েক কোটি টাকা লাগে, কেউ যদি এত টাকা খরচ করার সাহস দেখায় তখন তার সাথে ভদ্রতা করে হলেও একটু কথা বলতে হয়। তবে না বানালেই আমি খুশী, কারণ আমি বিশ্বাস করি বই পড়তে হয়, দেখতে হয় না!
সবুজ ঠিকানাঃ পিরোজপুর, বরিশাল শ্রেণীঃ দ্বাদশ
প্রশ্ন: স্যার, আপনি ঠিক কত বছর বয়স থেকে লেখালেখির যাত্রা শুরু করেন?
উত্তর: মানুষ পড়ে এরকম লেখা লিখতে শুরু করেছি যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ি তখন থেকে। এমনি লেখা লেখি করেছি যখন সাত আট বছর বয়স তখন থেকে।
প্রশ্ন: sir,why a magnetic field is existed around a electric field?
উত্তর: না, এটা সত্যি নয়। ইলেকট্রিক ফিল্ড থাকলেই তার পাশে ম্যাগনেটিক ফিল্ড থাকে না! একটা চার্জ গতিশীল হলে সেটা ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরী করে। এ ছাড়া সেটা থাকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গে (যে রকম আলোতে)
নাঈম ফয়সাল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ (২য় বর্ষ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রশ্ন: … … আর…আমার ছেলেবেলার সবথেকে প্রিয় বন্ধুটির নাম মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। প্রিয় জাফর ইকবাল স্যার, আপনার জন্য ভালোবাসা।
উত্তর: দেখতেই পারছ তোমার লেখার প্রথম অংশটুকু আমি অন্য সবার চোখ থেকে আড়াল করে দিয়েছি, সেটা তোমার আর আমার ভিতরেই থাকুক। থ্যাঙ্কু নাঈম!
অভিষেক –সিলেট
প্রশ্ন: স্কর্নহস্ট ইফেক্ট এর মাধ্যমে তো আলোর বেগের চেয়েও বেশি বেগ পাওয়া যায় (যদিও খুব সামান্য পরিমান)। তাহলে এই স্কর্নহস্ট ইফেক্ট আর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব পরস্পর বিপরীতমুখী হয়ে গেলো না??
উত্তর: Scharnhorst effect নিয়ে এখনো নানাধরণের আলোচনা চলছে, যেমন বলা হয় এই আলোর চেয়ে বেশী বেগ কখনো মাপা যাবে না তাই যদি হয় তাহলে তো সব ঝামেলা মিটে গেল, আমাদের পরিচিত phase ভেলোসিটিও আলোর বেগ থেকে বেশী কিন্তু সেটাও মাপার কোনো উপায় নেই!
রেওয়াজ
প্রশ্ন: এই মৃত্যু উপত্যকা কী আমার দেশ?
উত্তর: এই দেশ মৃত্যু উপত্যকা হতে যাবে কোন দুঃখে? কী বলছ তুমি? কিছু জঙ্গি কাপুরুষের মত কিছু নিরপরাধ নারী পুরুষকে মারলেই একটা দেশ মৃত্যু উপত্যকা হয়ে যায়? দেশ অনেক বড় ব্যাপার।
প্রশ্ন: আপনার এত চমৎকার একটা গোফ রাখার পেছনের কারন কি স্যার
উত্তর: জীবনে একটা ক্রিটিক্যাল সময় এসেছিল যখন নিজেকে বয়স্ক দেখানোর খুব জরুরী হয়ে পড়েছিল, তখন গোঁফ রেখে নিজেকে বয়স্ক দেখিয়ে ক্রিটিক্যাল সময় পার করেছিলাম!
প্রশ্ন: কোন বিষয়বস্তূ আমার বিশ্বাস হয় না মতের সাথে মেলে না ভালও লাগে না তারপরও মুকস্থ করতে হচ্ছে পরিতাণ আছে কি?
উত্তর: সুন্দর সুন্দর কবিতা ছাড়া আর কোনো কিছ মুখস্ত করা আমি বিশ্বাস করি না!
নাবিলা বাসাবো, ঢাকা-১২১৪
প্রশ্ন: পরের গল্পটা কবে পাব? 🙂 🙂 🙂
উত্তর: এতদিনে পেয়ে যাবার কথা!
সোনিয়া, হাজিপারা।
প্রশ্ন: কতটা খুশি হয়েছি এই ওয়েবসাইটক দেখে সেটা প্রকাশ করেছি, খাটে কিছুক্ষণ লাফিয়া। হিহিহিহিহি। অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার।
উত্তর: খাট থেকে পড়ে পা ভাংলে আমি কিন্তু তার দায় দায়িত্ব নিতে পারব না, আগে থেকে জানিয়ে রাখলাম।
প্রশ্ন: … … আপনার লেখা কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটি আমাকে দারূণভাবে কোয়ান্টাম ফিজিক্সে অনুপ্রাণিত করেছে। আমার প্রশ্নটা ওই বইয়ের একটা বিষয় নিয়ে। বইটিতে বলা হয়েছে আলো ও ইলেক্ট্রণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, কেননা উভয়েই একইসাথে কণা আবার তরঙ্গের মতো আচরণ করে। আমার প্রশ্ন তাহলে আলো ও ইলেক্ট্রণের বেগেও কি কোন পার্থক্য নেই? আবার আলোর তো কোনো ভর নেই, কিন্তু ইলেক্ট্রণের তো ভর আছে। তাহলে আলো ও ইলেক্ট্রণ এদিক থেকে তো এক হবে না। তাহলে ব্যাপারটা কেমন দাড়ায়?
উত্তর: অবশ্যই দুটো ভিন্ন ধরনের কণা। আমি বলার চেষ্টা করেছিলাম আলোটাকে সবাই তরঙ্গ হিসেবে দেখে, যার কোনো ভর পর্যন্ত নেই তাকে কেন একজন কণা হিসেবে দেখবে? আবার ইলেকট্রনকে সবাই কণা হিসেবে দেখে, যার ভর আছে তাকে কেন একজন তরঙ্গ হিসেবে দেখবে? কিন্তু দেখা গেছে আলোটাকে যেরকম কণা হিসেবেও দেখা যায়, ইলেকট্রনকেও সেরকম তরঙ্গ হিসেবে দেখা যায়। মিলটা সেখানে।
নুসরাত বাসা:গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ
প্রশ্ন: স্যার,এখনকার মূল একটি জিনিস আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। যা এখন আস্তে আস্তে কেমন জানি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।আপনি প্লীজ একজন মুক্তিযোদ্ধার সাধারণ জীবন কাহিনী এবং তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে real life স্টোরি লিখবেন।এমন একটি অসাধারণ জীবন কাহিনী আমার নজরে আছে। আশা করছি আপনি একটু শুনবেন….. আমি
উত্তর: আমি কিছু লিখছি এবং পরিচিত অনেককে দিয়ে লিখিয়েছি। তুমি যেহেতু এরকম একটা কাহিনী জান, এটা লিখে ফেলো। আমাকে পাঠালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে সেটা সংরক্ষিত করে দিতে পারব।
মীর ইফরাদ সাঈম অন্তনু দ্বাদশ শ্রেণী নন্দিপাড়া,বাসাবো৷
প্রশ্ন: স্যার,আসসালামুআলাইকুম৷ প্রশ্ন হলো-e^x=1+x+(x^2)/2!+(x^3)/3!+…… ধারাটি কিভাবে,কোথা থেকে কবে এসেছিল?আর এর নাম e হলো কেন?ইতিহাস জানতে চাই৷অগ্রিম ধন্যবাদ স্যার 🙂
উত্তর: এটা ন্যাচারাল লগারিদমের বিপরীত ফাংশন। গণিতবিদ অয়লার (Euler) প্রথম এই ফাংশনের জন্যে e অক্ষরটি ব্যবহার করেছিলেন।
Sabira, NGO kormi, Dhaka
প্রশ্ন: jongi hamla holo amader deshe , ami khub i ashay chilam apnar lekha pabo, karon apnar kothagulo amader asaha dey , jodi likhe thaken janaben doya kore. Na likhle oti sottor lekhar anurord korchi. Apni valu thakun, bhalo thakuk amar sonar bangla ar tar prkriti (obosshoi manush tar shobcheye boro upadan).
উত্তর: হ্যাঁ আমি লিখেছি, অনেক জায়গায় বলেছিও। প্রয়জনে আর লিখব, আর বলব।
মাকসুদা মিয়ানমার থেকে
প্রশ্ন: শ্রদ্ধেয় জাফর স্যার, আপনাকে অনেক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ এই উদ্যোগের জন্য। অনেকদিন ধরেই একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে। আপনাকে প্রশ্নটা করার কোন উপায় পাচ্ছিলাম না।আমি গত দুই বছর ধরে দেশের বাইরে আছি। আমার ছেলে এইবছর ৫ এ পড়বে। ওকে বই পড়ে শোনানোর পাশাপাশি মাঝে মাঝে বিভিন্ন গল্প বলি-চেষ্টা করি মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলতে। মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলতে গেলে স্বভাবতই পাকিস্তানীদের বর্বরতার কথা বলতে হয়। মাঝে মাঝে আমার ভয় হয়,এতো অল্প বয়সে ওর মনে আমি কি ঘৃণার জন্ম দিচ্ছি?আমি কি ঠিক করছি?ওর স্কুলে বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রী পড়ে।প্রতি ক্লাসে ছাত্রসংখ্যা সর্বোচ্চ ২০।কাউকে এড়িয়ে যাবারও উপায় নেই।সর্বোপরি ওর যা বয়স,ওর মনে কোন বিরূপ ছাপ না পড়ে যায় এই ভয় হয়।আমি চাই ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানুক।তার সাথে এটাও চাই ও মানুষকে ভালোবাসতে শিখুক।দুটোর মধ্যে ভারসাম্য করতে পারছি না।আপনার সাহায্য চাই। একটু বড় হয়ে গেলো প্রশ্নটা:-( আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
উত্তর: তোমার প্রশ্নটা খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ, উত্তরটা বড় হয়ে যাবার ভয় আছে, তবু আমার মত করে দেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক সপ্তাহের একদিন বসে নানাকিছু নিয়ে আলোচনা করি। সেখানে আমি তোমার প্রশ্নটা করেছিলাম, বেশিরভাগ শিক্ষক বলেছে, বাচ্চাকে সত্যি কথাটা বলতে হবে, সেজন্যে বাচ্চার মনে যদি ঘৃণা জন্মায় তাহলে সেটা মেনে নিতে হবে, কারন সেটাই সত্যি। পাকিস্তানিরা এইদেশে যা করেছে তাদের জন্যে ঘৃণাটাই তাদের প্রাপ্য! আমি নিজে অবশ্যি ব্যাপারটা একটু অন্যরকম ভাবে দেখি। পাকিস্তানিরা এই দেশে যে নৃশংসতা করেছে আমাদের প্রজন্ম সেটা নিজের চোখে দেখেছে, এবং সেটা আমাদের পক্ষে কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। এর কারনে আমাদের ভিতরে এক ধরণের ঘৃণা এবং প্রতিহিংসার আগুন ধিকি ধিকি করে জ্বলে, যার থেকে আমাদের মুক্তি নেই! এই অনুভুতিটি ভালো নয়, এর কারনে আমরা এই জীবনে কখনো পুরোপুরি প্রশান্তির অনুভুতি উপভোগ করতে পারব না। আমরা এই জ্বালা সহ্য করেছি, কিন্তু আমার প্রশ্ন, কেন পরের প্রজন্মের ভেতর সেই জ্বালাটুকু আমি শৈশবেই ঢুকিয়ে দেব? বড় হয়ে ইতিহাস পড়ে তারাও যদি সেই জ্বালা নিজে থেকে বুকের ভেতর জন্ম দেয় সেটি তার ইচ্ছা। তবে তোমার বাচ্চাকে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতে হবে, তখন হয়তো তাকে বলবে ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খানের মত খুব খারাপ কিছু মিলিটারির জন্ম হয়েছিল, তারা আরো কিছু খারাপ মানুষ নিয়ে এটা ঘটিয়েছে। পৃথিবীর সব সাধারণ মানুষ আসলে ভালো, সেটা যে দেশেরই হোক না কেন। তুমি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের নাৎসীদের কথা বলতে পার, সেই নাৎসীদের দেশ জার্মানীর মানুষ এখন মোটেও নাৎসীদের সহ্য করে না। (তবে এটাও সত্যি, জার্মানী নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে পৃথিবীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে, পাকিস্তান যেটা এখনো করেনি!)
Shafiul Azam Russel,vill:Bazar kustia,po:Bidyaganj,Dist:Mymensingh
প্রশ্ন: Sir,amader solar system er center jemon sun temni shokol groho,nokkhotro,milky way,shokol kichhur ki ekta center thakte parena? Jodi thake ota kemon hote pare?
উত্তর: না, বিশ্বভ্রহ্মাণ্ডের কোনো কেন্দ্র নেই। একটা গোলকের কেন্দ্র আছে, কিন্তু গোলকের পৃষ্ঠের যেরকম কোনো কেন্দ্র নেই, ব্যাপারটা সেরকম।
প্রশ্ন: স্যার, অনেক শ্রদ্ধা। আমি ৫ বছর আগে পাস করে বের হয়ে চাকরী বাকরি করি মানে আমিতো কোনভাবেই আর ছোটদের মধ্যে পড়িনা। কিন্তু মুশকিল হল ভেতরের যে মেয়েটা আপনার লেখা পড়তে পড়তে দুনিয়াটা দেখতে শিখেছে সে তো বড় হয়নি। আমি কি এই সেকশনে প্রশ্ন করতে পারব?
উত্তর: পারবে। কিন্তু আমি কী বড় হয়ে যাওয়া মানুষের প্রশ্নের উত্তর জানি?
তামান্না খুলনা।
প্রশ্ন: ইচ্ছে হলো ছোট হতে। আলমারি ঠাসা বইয়ের মধ্যে আপনার বই কতগুলো আছে জানিনা। শুধু এইটুকুই জানি ওতে হাত দিতে মানা। হ্যাঁ আমার ২৩ বছরের মেয়েটি এমনিকরেই আগলে রেখেছে তার প্রিয় লেখকের বইগুলো। শুধু ছোটরা নয় বড়রাও মুগ্ধ হয় । শুভেচ্ছা।
উত্তর: থ্যাংকু! (কিন্ত বইয়ে হাত না দিলে বই পড়া হবে কেমন করে? পড়তে পড়তে একটা বই ছিড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে, তবে না বইয়ের জীবন স্বার্থক!)
সাদমান সৌমিক উদয় ৭ম শ্রেনি( আষাঢ়) মোহাম্মদপুর কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাত মসজিদ রোড, ঢাকা -১২০৭।
প্রশ্ন: স্যার, আমি আপনার অনেক বড় ভক্ত। আপনার সাথে খুব দেখা করার সাধ আমার।আমি বইমেলায় অনেকবার করে যাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ এখনো আপনার দেখা পাইনি। আপনি আমার প্রিয় লেখক।আমি আপনার সব লেখা পড়ার চেষ্টা করি।আমার আম্মু শিক্ষক। আমি আম্মুর ৭ম শ্রেণিতে পরি।আমি জীবনে খুব ভালো মানুষ হতে চাই। আপনার সাথে কথা বলতেও খুব ইচ্ছে করে।আপনার ফোন নম্বর কিভাবে পেতে পারি? আর দেখাই বা কিভাবে করতে পারি? ভালো থাকবেন।
উত্তর: আমি সিলেটে থাকি বলে আমার সাথে অনেকের দেখা হয়নি, কিন্তু নিশ্চিত থাক কোনো একদিন কোথাও না কোথাও তোমার সাথে দেখা হয়ে যাবে। আমার টেলিফোন নাম্বার নিয়ে লাভ নেই কারণ এটা আমি ব্যবহার করতে পারি না। আমার ্ফনের অবস্থা হচ্ছে এরকম: ধরতে পারি না, মাঝে মাঝে শুধু করতে পারি!
-সাকলাইন গৌরব নটরডেম কলেজ
প্রশ্ন: …… স্যার নিজেদের ইতিহাসটা জানাও তো আমাদের জন্য জরুরী,কোন ক্লাসমেটের মুখে যখন ইতিহাস বিকৃতি শুনি তখন কারো ভালো লাগে না।আমাদের আর্টস এর ছেলেরা বাদে অন্য গ্রুপের ছেলেরা ইতিহাস সম্পর্কে অনেকে কিছু জানে না।কেবল মাত্র বাংলা প্রথম পত্র বইতে দুটি কবিতা একটি গদ্য পড়ে স্যার মুক্তিযুদ্ধকে আমরা কতোটুকু অনুধাবন করতে পারবো তা ভাববার বিষয়। এমনকি কলেজ লেভেলে সহপাঠে কোন মুক্তিযুদ্ধ নেই।স্যার আপনি কি এই বিষয়টা নিয়ে একটু ভাববেন?
উত্তর: আমার মনে হয় ব্যাপারটা তোমার মতো আরো অনেকে চোখে পড়েছে। আমি নিশ্চিত ভাবে জানি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাধ্যতামুলক করা হচ্ছে। তবে শুধু ইতিহাসটা জানলে হয় না, সেটা অনুভবও করতে হয়, যেটা আরো অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধাপরাধীদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়ে এটার বিরোধীতা করার জন্যে!
মহসীন রেজা সহকারী পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রশ্ন: … গল্পের আইডিয়াগুলো স্যর, আপনি কিভাবে পান? কোন গল্পের প্লট যখন মাথায় আসে তখন তখনই কি লিখে ফেলেন নাকি মাথায় নাড়াচাড়া করতে করতে একটা পরিণতি আসলে তারপর লিখতে বসেন? বা এরকম কি কখনো স্যর আপনার হয় যে মাথায় আইডিয়া আসছে না তখন জোর করেই খাতাকলম নিয়ে বসলেন আর দেখলেন যে একটা লেখা দাঁড়িয়ে গেছে।
উত্তর: গল্পের আইডিয়াগুলো চিন্তা করে বের করা আমার সবচেয়ে আনন্দের সময়। আমি সাথে সাথে লিখি না, দীর্ঘ স্পময় মাথায় নাড়া চাড়া করে কীভাবে লিখব ঠিক করি। মজার ব্যাপার হচ্ছে অখন লিখতে বসি তখন অনেক পরিবর্তন হয়, সুন্দর পরিবর্তন, মজার পরিবর্তন, ভালো পরিবর্তন। না, জোর করে কখনোই লিখতে বসি না। বসে লাভ নেই।
Jam
প্রশ্ন: Sir, amar khub bhalo laglo apnar site ta. Amar 7 bochorer chele apnar lekhar khub bhokto. Kintu kono boi na porei. Amar kach theke ghumanor age apnar boi gulo pora shune shune. Dukhkher bepar o internet e addict hoye jachche. Apnar boi gula ki kindle format e dea jai? Tahole oke ekta device kine ditam. Kagojer boi na holeo boi porar moja ta upovog korte parto. i
উত্তর: কিছু বই ই-বুক হিসেবে আছে, কিন্তু আমার মনে হয় তোমার ছেলেকে সত্যিকারের সুন্দর রঙ্গিন ছবি সহ কাগজের বইয়ের সাথে পরিচয় করে দেয়া ভাল। kindle কিংবা অন্য ই-বুক রিডারে বই পড়ার জন্যে তো সারা জীবনই আছে।
উদয় হাজং বিশ্বম্ভরপুর/সুনামগঞ্জ
প্রশ্ন: আঙ্কেল, ‘দার্শনিক পাথরের’ তাৎপর্য কী ?
উত্তর: কাল্পনিক একটা বস্তু যেটা ছোয়ালে যে কোন জিনিষ সোনা হয়ে যায়। সোজা বাংলায় ভাজুং ভুজুং!
Shihad Banasree, Rampura
প্রশ্ন: Dear sir Plz write something positive regarding the recent news of earthquake in Bangladesh..
উত্তর: আমি কিছু একটা লিখব। কেন জানি খামোখা সবাইকে মিছি মিছি ভয় দেখানো হচ্ছে।
যাহরা মগবাজার,ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার, আপনি আপনার লেখার পাশাপাশি আপনার পছন্দের লেখকদের লেখা দিলেও ভাল হয়।এতে করে আমরা আর অনেকের কথা জানতে পারব। সেটা কি সম্ভব???
উত্তর: নিজেরটা দিয়েই ম্যানেজ করতে পারছি না, অন্য লেখকের লেখা কেমন করে দেব? তোমরাই বরং খোঁজাখুজি করে তোমাদের প্রিয় লেখকের লেখা বই পড়তে শুরু কর।
প্রশ্ন: আমার ছেলে লিখতে গিয়ে মাঝে মাঝে প্রশ্ন নম্বার লিখতে ভুলে যায়। প্রশ্ন দেখে ওঠাতে ভুল করে। কি করবো? আমি আপনার পুরনো ভক্ত এখন মা হয়ে গিয়েছি। প্রশ্ন করতে পারবো?
উত্তর: এগুলো মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। একেবারেই মাথা ঘামিও না। তোমার ছেলে যেন পরীক্ষায় ভালো করার থেকে জানতে বেশি আগ্রহী হয় সেদিকে একটু নজর দিতে পার।
জান্নাতুন নাঈম প্রীতি চারুকলা বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশ্ন: স্যার, প্রথমেই আপনাকে ভালোবাসা। ছোটোবেলায় যখন আপনার লেখা পড়তাম তখন সবই মনে হতো নতুন। এখন মনে হয়না কেন? আমি কি তাহলে বড় হয়ে গিয়েছি?
উত্তর: হয় তুমি বড় হয়ে গেছ না হয় আমি আর আগের মত লিখতে পারি না। এই দুটোর একটা হবে।
আরেফা কালাম চৌধুরী, ফার্মগেট, ঢাকা- ১২১৫।
প্রশ্ন: স্যার, আমি আপনার অনেক বড় ভক্ত! আমার জীবনে দুটি লক্ষ। ১. আর্কিটিকচার ঈনজিনায় হওয়া, ২. আপনার সাথে সাক্ষাত করা। আপনার কাছে আমার দুটি প্রশ্ন। ১. আমি কি আমার লক্ষ গুলো পুরো করতে পারব? ২. আমি আপনার আরো বড় ভক্ত হতে চাই, কিভাবে হব?
উত্তর: অবশ্যই তোমার লক্ষ্য তুমি পূরণ করতে পারবে। বাংলাদেশ ছোট্ট একটা দেশ এখানে না চাইলেও সবার সাথে সবার দেখা হয়ে যায়! আমার সাথেও তোমার একদিন দেখা হবে। আরো বড় ভক্ত কেমন করে হতে হয় সেটা বুঝতে পারছি না। বেশি খেয়ে সাইজে বড় হয়ে কী চেষ্টা করতে চাও?
প্রশ্ন: I am 38, but still I feel that I’ m ur young fan. l have been reading ur books since 1986.And now I read ur book with my daughter. She also loves ur books, but she doesn’t want to read it . She just like to hear it. What will I do?
উত্তর: আমার মনে হয় একটু বাড়তি চেষ্টা করে হলেও তাকে নিজে পড়তে শেখাও। বইয়ের গল্পটার এক ধরনের মজা থাকে, কিন্তু বই পড়ার আগ্রহটা এমন একটা আশীর্বাদ যেটা সারা জীবনের জন্যে থেকে যায়, মানুষটার জীবনের পরিবর্তন করে ফেলে।
আয়শা আদিতা আলম পূর্ণতা শ্রেণি- ৩য় মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাঞ্চ-২
প্রশ্ন: আচ্ছা, দাঁতে পোকা হয় কেন?
উত্তর: আমরা বলি দাঁতে পোকা, কিন্তু আসলে সেগুলি মোটেও পোকা নয়, সেগুলো হচ্ছে ব্যাক্টেরিয়া। মুখে এমনিতেই কোটি কোটি ভাল ব্যাক্টেরিয়া থাকে, তারা আমাদের কোনো সমস্যা করে না। কিন্তু যদি কেউ বেশী মিষ্টি খায় এবং নিয়মিত দাঁত না মাজে তাহলে মুখের মাঝে খারাপ ব্যাক্টেরিয়া চলে আসে যেগুলো দাঁতে গর্ত তৈরী করে, আমরা তখন বলি দাঁতে পোকা হয়েছে।
Shomi
প্রশ্ন: Sir, I am thirty seven now. I can go back to my teen when I pass time with caracters of your book. I think it is a place for me also.
উত্তর: তুমি যদি মনে করো এটা তোমার জন্যেও তাহলে তাই হোক। (পরে ছেলেমানুষি কাজ কারবার দেখে বিরক্ত হলে আমার দোষ নেই)
নাফিসা নূর
প্রশ্ন: কিভাবে এটার সাথে যুক্ত থাকতে পারব???? অর্থাৎ কিভাবে সবসময় এটার update পাবো বা এটাতে কি প্রতিদিন আলাদা ভাবে ঢুকতে হবে?? এটাতে কি কোনভাবে সাইন ইন করার ব্যবস্থা করা যায় না??? স্যার, অসংখ্য ধন্যবাদ সাইট টি খোলার জন্য। মেঘা,নাখালপাড়া,তেজগাঁও,ঢাকা
উত্তর: সবচেয়ে সোজা, মাঝে মাঝে ঢুঁ মেরে দেখে যেও নুতন কিছু আছে কীনা। সাইটটা যেহেতু খুবই ব্যাক্তিগত উদ্যোগে চলছে এর মাঝে খুব যে ঘন ঘন পরিবর্তন আসবে তা আশা করো না।
আপনার পাগল ছাত্র শিহাবুল
প্রশ্ন:… …আগে আমি গণিতকে খুব ভয় পেতাম।কিন্তু “গণিতের মজা মজার গণিত”বইটি পড়ার পর আর ভয় পাই না। তাই গণিত আমার খুব ভালো লাগে। … … তাই আমার প্রশ্নটা গণিত নিয়ে। “গণিতের মজা মজার গণিত” বইটিতে আপনি নামে একটি ফাংশনের কথা বলেছেন। এই ফাংশনটা সম্পর্কে জানতে চাই। … … আমার একটা আবদার আছে আপনার কাছে। মোবাইলে টাইপ করে লিখতে কষ্ট হয়। তাছাড়া এটা সময় সাপেক্ষও বটে। তাই যদি চিঠি লিখে প্রশ্ন পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন তবে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো। … … আরেকটা কথা জানবার ছিল-“আমিই কি প্রথম, আপনাকে প্রশ্ন করেছি? নাকি এর আগে অন্য কেউ করেছে?
উত্তর: বইটাতে অসংখ্য ফাংশন আছে, তাই নামটা না বলা পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না। আসলে এখানকার প্রশ্নগুলো এভাবেই নিতে হবে, অন্য কোনোভাবে ম্যানেজ করা যাবে না। না, তুমি প্রথম প্রশ্ন করনি। তোমার আগে অন্তত সাড়ে চারশ প্রশ্ন এসেছে।
নিশাত তাসনিম বরিশাল
প্রশ্ন: আমার আসলে কোন প্রশ্ন নেই স্যার। আপনাকে আমি শুধু অনেক বড় একটা ধন্যবাদ দিতে চাই । আমার শৈশব এবং কৈশোর এত গল্পে গল্পে ভরে রাখার জন্য; আর যৌবনে এসে বার বার শৈশবে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য। আপনাকে অনেক অনেক ভালবাসা ।
উত্তর: থ্যাংকু নিশাত!
ananya kar. dhaka
প্রশ্ন: sir apni ae site tar prochar facebook er maddhome korchen nah knoo??apnr toh facebook page ache.. tahole tohh sobai upokrito hoto.R jara porte chay tara porte parto..
উত্তর: প্রচার না করেই আমার বারোটা বেজে যাবার অবস্থা! আমার ফেসবুক আছে যেন অন্য কেউ আমার নামে আর ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট খুলতে না পারে শুধুমাত্র সেজন্যে, আমি এটা খুব ব্যবহার করি না। (এটা আমার হয়ে আমার ছাত্র ছাত্রীরা দেখাশোনা করে)
শাহীনূর কল্যাণপুর, ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার, হাতের লেখা বা হাত দেখা কত খানি সত্যি, আমরা আপনার জীবনী থেকে জানি, আপনি অনেক ভালো হাত দেখতে পারেন। আপনি কি এখনো হাত দেখেন।
উত্তর: মোটেও সত্যি না! না, আমি এখন হাত দেখি না। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় মজা করার জন্যে অনেক কিছু করা যায়।
শাহরিয়ার। শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রশ্ন: স্যার,একজন তরুণ লেখকের কিভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ?
উত্তর: যত লিখবে তার চাইতে অনেক বেশি পড়বে!
শাহরিয়ার রানা নাট্যকর্মী
প্রশ্ন: মন্তব্য করার কোন অপশন পেলাম না তাই প্রশ্নতেই ঢুকে গেলাম । অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা স্যার এই অসাধারণ পদক্ষেপটি গ্রহণ করার জন্য । এটা একদম সময় উপযোগী একটি কাজ হয়েছে । তানাহলে আমিই কি কখনো ভাবতে পেরেছিলাম যে আমিও আপনাকে প্রশ্ন করতে পারবো । অনেক ধন্যবাদ স্যার । প্রশ্নতেই যখন ঢুকে পরেছি প্রশ্ন না করলে কেমন দেখায় ! স্যার বর্তমানে কি লিখছেন ?
উত্তর: এই মুহুর্তে? তোমার প্রশ্নের উত্তর লিখছি!
মরিচিকার জল সাতক্ষীরা
প্রশ্ন: যখন আপনার ওয়েব সাইড আছে জানলাম, তখন আপনার বইগুলো খুজতে লাগলাম কিন্তু আমি তপু ছাড়া আর কোনো বই নাই কেন?
উত্তর: প্রিয় মরিচিকার জল, তুমি কোথায় কোন ওয়েব সাইটে ঘোরাঘুরি করছ আমি জানি না, কারন আমার ওয়েব সাইটে এখন আমি তপু নাই! (তোমার নামটা অসাধারণ হয়েছে!)
হাসান মাহমুদ আলিফ লক্ষ্মীপুর।
প্রশ্ন: প্রিয় স্যার,যদিও আমি শিশু না এর পরও আপনাকে কিছু লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।আপনার লেখার প্রশংসা করার যোগ্যতা আমার নাই……… তবে শিশুদের আরো কাছে যাওয়ার জন্য আপনার এমন উদ্যোগ সত্যিকার একজন শিশু প্রেমিকের পক্ষেই নেওয়া সম্ভব। প্রিয় জাফর স্যার ছাড়া কয় জন আছে শিশুদের নিয়ে এভাবে ভাবার??? (প্রশ্ন টা আমার নিজের কাছেই করলাম!)
উত্তর: প্রশ্নটা যেহেতু তোমার নিজের কাছে করেছ, উত্তরটাও তাহলে তুমি তোমাকে দিয়ে দিও! ঠিক আছে?
ইসমত আরা জেমি,বিএসসি ইঞ্জি:, লে-২টা-২,এ্যাপারেল,..
প্রশ্ন: স্যার আমি নিজের কথা গুচিয়ে বলতে পারি না। কোনো ভালো লেখা উপস্থাপন করতে পারি না। আমি কি করতে পারি?
উত্তর: সবাইকে সবকিছু পারতে হবে কে বলেছে? আমি নিজেও অনেক কিছু পারি না। কিন্তু তুমি যেহেতু তোমার এই সমস্যাটা নিজেই ধরতে পেরেছ এটা সমাধান করার জন্যে কাজ শুরু করে দাও। নিজের বিষয় নিয়ে প্রেজেন্টেশান দাও, প্রেজেন্টেশান দেয়ার আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্র্যাকটিস কর। লেখার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে প্রতিদিন লম্বা লম্বা ডাইরী লিখ। আপনজনকে বড় বড় চিঠি লিখ। যখন তোমার ভিতরে খানিকটা আত্মবিশ্বাস চলে আসবে তখন হঠাৎ করে আবিষ্কার করবে আসলে তুমি গুছিয়ে কথা বলতে পার, সুন্দর করে কথাও বলতে পার!
প্রশ্ন: স্যার আমি ঠিক ছোট মানুষ নই। জাররামানি তে Bsc করছি.নিজে খুব এ অলস আর ডিপ্লমা করার অনেক পরে পড়াশুনা আবার শুরু করেছি ।কাজ আর বিভিন্ন রকমের ঝামেলায় পরতে পারিনা।আসলে কোন উদ্দিপনা পাই না। কিন্তু কমপক্ষে স্নাতক হুয়ার যে কি শখ আর প্রয়োযন আমার, তা আপনাকে বোঝাতে পারব না। আপনাকে খুব ভালবাসি (যদিও আপনি জানেন না!) ।মনে হয় আপনি যদি কিছু বলেন তাহলে মনের ভেতর আকাঙ্ক্ষা এবং ইচ্ছাশক্তিটা বাড়বে।
উত্তর: এই যে বললাম: তুমি ব্যাচেলর ডিগ্রী শেষ করে আমাকে জানাও আমি তোমাকে আমার অটোগ্রাফ দিয়ে তোমাকে একটা বই পাঠাব।
Riad,University of Dhaka
প্রশ্ন: Sir,jibon ta dukkho kosto niye ,kivabe dukkho vule thaka jay??
উত্তর: ভুলে যাওয়া তো সহজ নয়, এটা মেনে নিয়ে বেঁচে থাকা শিখতে হয়। পৃথিবীতে কে আছে যার জীবনে কোনোদিন দুঃখ আসেনি?
শিপন সরকার Southern University, Chittagong EEE 1st semester
প্রশ্ন: বিশ্ব প্রযুক্তি এতটা এগিয়েছে কিন্তু এখনও ভুমিকম্প নিয়ে আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। এই দুর্যোগ নিয়ে কি কখনো পুর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে না ?.
উত্তর: তোমাকে আতংকে থাকতে কে বলেছে? এতো ভয়ের কি আছে? (ধৈর্য ধর, বিজ্ঞানিদের একটু সময় দাও, তারা এটা নিয়ে কাজ করছেন। একদিন ঠিকই পূর্বাভাস দেয়ার বুদ্ধি বের করে ফেলবেন!)
ইশরাত ঢাকা
প্রশ্ন: টুনটুনি টুনি-ই কেন? টোনা না কেন? টুনটুনা কি পঁচা?
উত্তর: মা বাবা নাম রেখেছ টুনি, আমি কি করব?
name: rubaiat arnab class: 10 school: Police Lines School and College, Rangpur address: rangpur
প্রশ্ন: Dimension সম্পর্কে একটু বিস্তারিত বলেন? আমরা কোন ডায়মেনশনে আছি? আসলে ডায়মেনশন কতগুলা?
উত্তর: তুমি তো নিজেই দেখেছ আমাদের পরিচিত জগৎটা ত্রিমাত্রিক। থিওরি অফ রিলেটিভিটিতে সময়টা এত সুন্দর করে ফিট করা হয়েছে যে আমরা সময়টাকে একটা মাত্রা ধরে বলতেই পারি জগৎটা আসলে চতুর্মাত্রিক। স্ট্রিং থিওরির ক্যালকুলেশন করার জন্যে ধরে নেয়া হয় জগৎটা নয় মাত্রার, আপাতত সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করলাম, আগে প্রমান হোক তখন দেখা যাবে।
মো.শিহাবুল কবির,ক্লাস 12
প্রশ্ন: … … অনেকেই আপনাকে অপছন্দ করে।আমার গণিতের স্যার আপনাকে খুব অপছন্দ করতেন।তিনি বলতেন-“আপনি নাকি ছেলেমেদের মাথা নষ্ট করছেন।”এগুলো আমার কথা নয়,সত্যিই তিনি আপনাকে অপছন্দ করতেন(উনার নাম জনাব শাহজাহান স্যার,সরকারি আজিজুল হক কলেজ-বগুড়া)। একদিন আমি তাকে আপনার একটা গনিতের বই দেখাই।বইটির নাম “গণিতের মজা মজার গণিত”। তার পর থেকেই তিনি আপনাকে পছন্দ করতেন।আর আমাকেও খুব ভালো বাসতেন।তারপর বুঝলাম আপনার লেখা শুধু ছোটদের নয় বড়দেরও পাল্টে দিতে পারে। এই যাহ্ কথার তালে আপনাকে প্রশ্ন করতেই ভুলে গেছি।
উত্তর: তোমার স্যারের সন্দেহ মনে হয় ভুল না, আমি মনে হয় আসলেই অনেকের মাথা নষ্ট করেছি! সরি!
প্রশ্ন: উত্তর দেন না কেন?
উত্তর: কে বলেছে উত্তর দেই না?
মুরতাজা কামাল পাশা খান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন: হি হি হি, কি মজা কি মজা, আচ্ছা স্যার একটা সহজ প্রশ্ন করি, আপনার মাথায় কতটি চুল আছে?
উত্তর: এক লক্ষ উনত্রিশ হাজার একশ একচল্লিশটা সাদা, একুশটা এখনো কালো আছে। বিশ্বাস না হলে এসে গুনে দেখে যাও
প্রশ্ন: আপনার জন্মদিন কবে?
উত্তর: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২
জয় রেডিও জকি রবিনিশি
প্রশ্ন: স্যার, আসসালামুআলাইকুম। এই প্রথম আপনাকে লিখবার সৌভাগ্য। হাত কাঁপছে। কি রকম ফ্যান আপনার বোঝাতে পারবো না।….. উপস্থাপনার জন্য দক্ষতা বাড়াতে কি কি বিষয় গুলো সম্পর্কে বেশি জানবো। কি কি বই পড়বো। স্যার, বিনয় নিয়ে বলছি আমার উপস্থাপনার কৌশল বেশ ভালো ই, শ্রোতারা বলেন। যে কোন ইনফরমেশন যে কোন মুহূর্তে খুব ভালো ভাবে প্রেজেন্ট করতে পারি। আপনার পরামর্শ আমার জন্য আশির্বাদ হবে। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা
উত্তর: আমার মনে হয় এখানে উল্টোটাই হবে, আমার যদি কখনো উপস্থাপনা করার দরকার হয় উপদেশ নেবার জন্যে তোমাকে খুঁজে বের করব। তোমার কাছে আমার একটা প্রশ্ন, যে কথাটা বাংলাতেই বলা সম্ভব অনেক রেডিও জকিরা সেটা বাংলা ইংরেজি মিশিয়ে বলে কেন?
মোঃ রাসেল হোসেন শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশ্ন: স্যার, আশা করি ভালো আছেন। অনেকদিন ধরেই খেয়াল করছি যে বাংলাদেশের প্রথম সারির একটা দৈনিকে আপনি কোন লেখা পাঠান না বা আপনার কোন লেখা সেখানে ছাপা হয় না। কারণটা কি জানতে পারি?
উত্তর: ভাসুরের নাম নাকী মুখে নিতে হয় না, পত্রিকার নাম নিতে তো সমস্যা নেই! যদি কখনো সামনা সামনি দেখা হয় জিজ্ঞেস করো কেন আমি প্রথম আলোতে লিখি না কিংবা কেন তারা আমার লেখা ছাপায় না, আমি তোমাকে কানে কানে উত্তরটা বলে দেব।
প্রশ্ন: আপনার দীঘায়ু কামনা করছি স্যার। কারণ আপনাকে এখনো কম করে হলেও আরো ১০০ বছর বাংলাদেশের জন্য দরকার। ভালো থাকবেন।
উত্তর: একশ বছর পরে আমার অবস্থাটা কী হবে? তুমি আমাকে টেনে টেনে নিয়ে বেড়াবে?
নাজীব আলম যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার, আপনার ও আপনার সাইটের জন্য শুভকামনা থাকলো। যে কোন বয়সের লোকই আমাকে তুমি করে বললে এখন আর সহজভাবে নিতে পারিনা। কারন বয়স ত্রিশের কাছাকাছি। তাছাড়া বয়সের কারনে না হলেও পড়াশুনা ও মানসিক ম্যাচুরিটির কারনে বেশিরভাগ অপরিচিত বড়রাও আপনি করেই বলে। কিন্তু আপনার সব লেখাতেই ‘তুমি’ করে যে সম্বোধন থাকে সেটা আমার প্রতি করা সম্বোধনই ধরে নেই। সব জায়গাতে বড় হলেও আপনার লেখা, ছবি কিংবা নাম শুনলেও কৈশোরে ফিরে যাওয়ার অনুভূতি হয়। আমার মনে হয় আমার মত আপনার আরো অনেক বুড়ো পাঠকদের এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। আপনার কি মনে হয় কৈশোরে আপনার বই পড়েছি বলেই শুধু এমন অনুভূতি হয় নাকি আপনার মাঝে আলাদা কোন ব্যাপার আছে?
উত্তর: আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমার ভিতরে আলাদা কিছু নেই! কৈশোরে আ্মার বই পড়েছ বলেই মনে হয় এরকম হয়! (সারা জীবন ছাত্র পড়িয়েছি বলে মনে হয় আমি সবাইকে তুমি বলে সম্বোধন করে ফেলি। সাকিব সারা পৃথিবীর একজন সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেট প্লেয়ার, তার সাথে যখন একদিন দেখা হয়ে গেল আমি তাকেও ধুমসে তুমি বলে ডেকেছি!)
প্রশ্ন: কিছু বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর কোন কোন ব্যাপার পরবর্তীতে সত্য প্রমানিত হয়েছে। আপনার লেখা কল্পকাহিনীগুলোর মধ্যে এমন কোন ব্যাপার কি আছে যা আবিষ্কার হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে আপনার মনে হয়, এমনকি খুব শিঘ্রই হয়ে যেতে পারে?
উত্তর: বিজ্ঞানী সফদর আলীর পালক ছাড়া মুরগীর বিষয়টা মনে হয় কোথায় জানি দেখেছি!
প্রশ্ন: আবিষ্কারের পেছনে যুক্তি, গনিত, বিজ্ঞানের পাশাপাশি স্বপ্ন দেখা কিংবা প্রখর কল্পনাশক্তি থাকা অনেক প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়। গ্যালীলিও, আইনস্টাইন, নিউটনের থেকে বেশি অংক জানা অনেক ছাত্র বের করতে পারলেও একইসাথে তাদের মত কল্পনাশক্তি থাকা, চিন্তা করার মত মানুষ বের করতে পারছেনা বলেই আধুনিক শিক্ষাব্যাবস্থায় বিজ্ঞানচর্চা কিছুটা ভুল পথে চলছে। এই ধারনা কি আংশিক হলেও সত্য?
উত্তর: পুরোপুরি সত্য। আইনস্টাইন বলেছেন, Imagination is more important than knowledge. (আমার সবচেয়ে প্রিয় একটি কোটেশন।)
Labonno Chowdhury (11) Class-4 Monipur School & Collage Dhaka.
প্রশ্ন: 21 July Amar o mzi.rocks er Birthday. Ei din-a sobchye bikkayto ghotona r ke ache?
উত্তর: অন্য অনেক কিছুর সাথে আমার খুব প্রিয় অভিনেতা রবিন উইলিয়ামসের জন্ম ২১ জুলাই!
মোঃ মাহফুজুল ইয়ামিন (ইমন) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
প্রশ্ন: “একজন জাফর ইকবাল… … … … …” অনেক গুণী মানুষের মুখে এই কথাটি শুনেছি। স্যার এই উক্তিকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
উত্তর: কথাটা মনে হয় আমার সম্পর্কে একটা ভালো কথা!
Chowdhury Shadnan Eshtiak (13) Class-7 Monipur School & Collage Dhaka
প্রশ্ন: Amar priyo lekok apni? Apnar priyo lekok k?
উত্তর: অসংখ্য! অসংখ্য!! অসংখ্য!!! (দেখছি অনেকেই এই প্রশ্নটা করছে, কয়েকজনের নাম না বলা পর্যন্ত মনে হয় সবাই একটু অশান্তিতে থাকবে। আপাতত তিনটা নাম বলি: শৈশবে তারাশংকর, মানিক আর বিভূতিভূষণ পড়ে বড় হয়েছি।)
টুম্পা আখতার আনাহেইম, ক্যালিফোর্নিয়া, ইউএসএ
প্রশ্ন: স্যার জিলাপির ইংরেজীতে কি হবে? নাম
উত্তর: Jalebi, (ডিজনিল্যান্ড সপ্তাহে কতবার যাও?)
মশিউর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশ্ন: এখনো কেউই প্রশ্ন করেনি…??? 🙂 🙂 🙂
উত্তর: করেছে। তুমি ৪০১ নম্বর।