৩১ জুলাই ২০১৬
সবাইকে আবার মনে করিয়ে দিই, কয়েকদিনের জন্যে প্রশ্ন নেয়া কিন্তু বন্ধ হয়ে যাবে!
শিমুল টিকাদার উত্তর ২৪ পরগনা পশ্চিমবঙ্গ , ভারত
প্রশ্নঃ প্রিয় স্যার, ১। কেউ যদি লেখালেখি করতে চায় অর্থাৎ নতুন লেখকদের উদ্দেশ্য আপনার দিকনির্দেশনা কি হবে ….?? ২। কোন গল্পের বই বা উপন্যাস লিখতে হলে কি লেখকের অনেক বই সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হয় নাকি লেখকের বাস্তব অভিজ্ঞতাই পরিপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ?
উত্তরঃ কী চমৎকার, ভারত থেকে একজন! (১)নতুন লেখকদের জন্যে দিকনির্দেশনা আমার একটিই, বেশি করে পড়। যে যত বেশি পড়বে সে তত ভালো লিখবে। (২) সেটা নির্ভর করে কী রকম বই লিখছে তার উপর। যদি একটা ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখে তাহলে নিশ্চয়ই তাকে অনেক বই পড়তে হবে। যদি সাম্প্রতিক কোনো বাস্তব জীবনের উপর লিখে তাহলে তার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতাটাই যথেষ্ট।
প্রশ্নঃ পড়তে ভালো লাগে না স্যর কি করি?
উত্তরঃ পড়তে আর কার ভালো লাগে বল! কী আর করবে, পড়!
জিয়া হক ৩৫০/১, মিরহাজীরবাগ, ঢাকা- ১২০৪
প্রশ্নঃ “ফেসবুক মানেই সময় নষ্ট!” স্যার, আপনার সঙ্গে একমত। আমরা অনেকেই ফেসবুকে ব্যাপক সময় নষ্ট করছি। এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা থাকলেও… একজন ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা সময় ফেসবুকে ব্যয় করে। এতে পড়া-লেখাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষতি হয়। এর থেকে মুক্তি পেতে কী করতে হবে?
উত্তরঃ ঠিক করো এক মাস ফেসবুক ছাড়া থাকবে। দেখো পারো কিনা। (যারা এটা চেষ্টা করেছে তাদের একটা বড় অংশ আর ফেসবুকে ফিরে যায়নি!)
প্রশ্নঃ স্যার, আমার আপনার ক্লাস করার খুব ইচ্ছে। কিন্তু যোগ্যতার কারনে সে সুযোগ হয়নি। স্যার একদিন আপনার ক্লাস করতে চাই। আপনি কি সে সুযোগ একবার দিবেন?
উত্তরঃ কেন দিব না, অবশ্যই দেব। যে কোনোদিন আমার কোনো একটা ক্লাশে চলে এসো। তোমার ইচ্ছার কথা শুনে আমার একটি গল্প মনে পড়ে গেল। অনেকদিন আগে আমি একটা ক্লাশ নিচ্ছি। আমি ক্লাশে ছাত্রদের খুব প্রশ্ন করি। তাই ক্লাশের মাঝখানে একটা ছাত্রকে একটা প্রশ্ন করলাম, সোজা প্রশ্ন কিন্তু ছাত্রটা উত্তর দিতে পারল না। আমার মেজাজ গরম হয়ে গেল তখন পরের ছাত্রটাকে একই প্রশ্ন করলাম সেও পারল না। আমার মেজাজ আরও গরম। আমি একজন একজন করে প্রশ্ন করে যাচ্ছি, কেউ উত্তর দিতে পা্রছে না। বুঝতেই পারছ মেজাজ আমার চরম গরম। যখন একেবারে শেষ ছাত্রের কাছে পৌছেছি এবং সেও উত্তর দিতে পারল না তখন আমি রাগে একেবারে ফেটে পড়লাম! সব রাগ গিয়ে পড়ল শেষ ছেলেটির উপর এবং তাকে বকতে বকতে মোটামুটি তার বারোটা বাজিয়ে দিলাম। তখন ছেলেটা খুবই কুন্ঠিত ভাবে বলল, “স্যার, আমি আসলে আপনার ডিপার্টমেন্টের ছাত্র না। আমি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজে পড়ি। আপনি কেমন করে ক্লাশ নেন সেটা দেখতে এসেছিলাম!” সারা ক্লাশের সবাই (আমি সহ)তখন যেভাবে হেসে উঠেছিল সেই হাসির শব্দ মনে হয় দুইশ মাইল দূর থেকে শোনা গিয়েছিলো! বেচারা ছেলেটি!
আরিফ জামান… ঠিকানা: গুলশান, ঢাকা-১২১২
প্রশ্নঃ কিভাবে ভালো লেখক হওয়া যায়? রূপক টাইপের বাক্য লেখার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিন।
উত্তরঃ ভালো লেখক হওয়া খুবই সোজা, পড় পড় এবং আরো বেশি করে পড়! সরি, রূপক টাইপের বাক্য লেখার ব্যাপারে আমি খুবই দুর্বল!
আশায ইনেশ জিয়া লীডস , ইউ কে বয়স- ৪.৫ বছর
প্রশ্নঃ টুনটুনি’র নতুন গল্পে, টুনি গুল্লু -কে ওদের বাসায় থাকতে নিয়ে গেলো না কেন ? গুল্লু ওদের বাসার অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলতে পারত ! বাবা মা ছাড়া গুল্লু কিভাবে থাকবে?
উত্তরঃ তুমি কেমন করে জানো গুল্লুকে টুনিরা ওদের বাসায় নিয়ে যায়নি? আমি লিখিনি তাতে কী হয়েছে, টুনি, টুম্পা মিলে নিশ্চয়ই গুল্লুকে ওদের বাসায় নিয়ে গিয়েছে, ওর সাথে খেলেছে, গল্প করেছে, আইসক্রিমও খাইয়েছে!
প্রশ্নঃ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেমিষ্টার সিস্টেমে পাঠদান চালু হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা সময়ের অভাবে আর আগের মত আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারছে না। সাংস্কৃতিক সংগঠণগুলো ঝিমিয়ে পরেছে।ফলে তাদের মধ্যে একধরনের সমাজবিমুখতা চলে আসছে। এর থেকে পরিত্রানের উপায় কি???
উত্তরঃ আমার মনে হয় না সেমিষ্টার সিস্টেমের সাথে এর কোনো সম্পর্ক আছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু দিন থেকে সেমিষ্টার সিস্টেম চলে আসছে, কিন্তু কখনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘাটতি দেখিনি। এখন অন্য কিছু ঘটছে। সবাই মিলে উৎসাহ দিয়ে আবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কালচারটি ফিরিয়ে আনতে হবে।
ইশরাক হৃদয় (গাজীপুর)
প্রশ্নঃ আপনি কোন দিন সবচেয়ে বেশি অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ জীবনে আমি অসংখ্যবার অপ্রস্তুত হয়েছি, বলে শেষ করা যাবে না। একটা বলি, বইমেলায় বসে বসে অটোগ্রাফ দিচ্ছি, অনেক ভীড়। তার মাঝে একটা মেয়ে এসেছে একটা বয়স্ক মানুষকে নিয়ে। আমি অটোগ্রাফ দিতে দিতে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, “আব্বুকে নিয়ে বই মেলায় এসেছ বুঝি?” মেয়েটা বলল, “না স্যার, আব্বু না, ইনি আমার হাজব্যান্ড!” বোঝো আমার অবস্থা!
প্রশ্নঃ আপনিসহ কয়েকজন মিলে এদেশে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন আনলেন। সৃজনশীল পাঠ্যক্রম ব্যবস্থা চালু করলেন। আপনি কি মনে করেন এ সৃজনশীল কার্যক্রমে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। মেধাস্বত্ত গড়ে উঠেছে ঠিকমতো? অনেক পাঠ্যপুস্তকে অসংখ্য ভুলে ভরা। শিক্ষকরা যেখানে নতুন এ শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত না, সেখানে শিক্ষার্থীরা কিভাবে গড়ে উঠবে? এ ব্যাপাপরে আপনার মতামত জানতে চাই। এটা ঠিক জিপিএ ফাইভ এর সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে।
উত্তরঃ সৃজনশীল পাঠ্যক্রম নয়, শুধু প্রশ্ন পদ্ধতি। ঢালাও ভাবে সবাইকে মার্কস দেওয়ার কারনে আর প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করতে না পারার কারনে শিক্ষাব্যবস্থার খুব ক্ষতি হয়েছে। জিপিএ ফাইভ এর সংখ্যার আসলে কোনো অর্থ নেই।
এস এম পাভেল সৈকত পঞ্চগড়…
প্রশ্নঃ … … যাক আসল কথাটা বলি তাহলে, তো শুরুর দিকে আমি আমার ইউনিভার্সিটির উপর খুব বিরক্ত ছিলাম, তো হঠাৎ একদিন আমাদের ক্লাস একটু আগে ছুটি হয়ে গেল, অন্যদের জিজ্ঞেস করলাম, ব্যাপার কি, উত্তর এল জয়েন্ট সেমিনার রুমে একটা সেমিনার হবে ফাইবার গ্লাস / গ্লাস ফাইবার / অপটিকাল ফাইবার / ফাইবার অপটিকের উপর, আমার রোদে মেজাজ খারাপ, তার ওপর শুরুর দিকে কয়েকটা র্যাগ খেয়েছি বড় ভাইদের কাছে, তো ছুটি পেয়েছি কোন কথা নেই, দে দৌড় কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া পৌঁছে জানতে পারলাম আপনি এসেছিলেন সেই সেমিনারে, হা কপাল আমার। জানিনা আপনি কিংবা আমি বেঁচে থাকতে আর কথনো আপনাকে দেখার সৌভাগ্য হবে কিনা। তবে ভাল থাকবেন, আর এভাবে অনেককেই অনেক ভাল রাখবেন অনেক উৎসাহ আর প্রেরণা, সময় এবৢং আরো অনেক কিছু দিয়ে, 🙂 দূ:খিত, এটা কোন প্রশ্ন হয়ে উঠেনি, 🙁
উত্তরঃ বাংলাদেশ এইটুকু একটা দেশ, এখানে সবা্র সাথে সবার দেখা হবে। তোমার সাথেও একদিন নিশ্চয়ই দেখা হবে।
দুর্বার গৌরীপুর,ময়মনসিংহ
প্রশ্নঃ … … অধিকাংশ উপন্যাস এককালে আমার মুখস্ত ছিল। সে যাক,অনেক অপ্রয়োজনীয় কথা বলা হয়ে গেল তবে প্রশ্ন করা হল না।আমি প্রশ্ন করতেও চাচ্ছি না আজ।ভালোবাসা নিবেন।
উত্তরঃ এখনো মুখস্ত আছে? তাহলে বল দেখি আমার বন্ধু রাশেদ এর দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফের প্রথম লাইনটা কী?
শান্তনু চৌধুরী
প্রশ্নঃ মহোদয়, বাংলাদেশে পাঠাগারের সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে কেন বলতে পারবেন ?
উত্তরঃ তোমরা নিশ্চয়ই বই পড়া ছেড়ে দিয়েছ, সেজন্যে!
লাভু
প্রশ্নঃ স্যার আপনার আঁকা কার্টুনগুলো কি দেয়া যায় না? অসাধারন হইছে সাইট টা৷ ধন্যবাদ স্যার৷:-D
উত্তরঃ ঠিক আছে কখনো দিব!
সালমান…
প্রশ্নঃ স্যার,আপনি তো বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যালটেকের বেল কমিউনিকেশন রিসার্চ এ অনেকদিন কর্মরত ছিলেন।এখন কর্মরত আছেন সিলেট এর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এ।স্যার এই দুই কর্মক্ষেত্র এর মধ্যে কোনটি আপনার বেশি ভালো লেগেছে এবং কেন? –
উত্তরঃ নিজের দেশে কাজ করার সাথে অন্য কিছুর কি তুলনা করা যায়? যায় না! তখন একটা প্যাটেন্ট করলে যত আনন্দ হত এখন ঠিক করে একটা পরিক্ষা নিলে সেরকম আনন্দ হয়!
রুহুল আমিন লালবাগ,ঢাকা।
প্রশ্নঃ আচ্ছা আংকেল, আপনার তো সুন্দর সুন্দর অনেকগুলি ছবি আছে। সেগুলি বাদ দিয়ে মুখভেংচানো এই কার্টুন ছবিটা দিলেন কেন?
উত্তরঃ এটা দিয়ে মাত্র শুরু, আরো অনেক মুখ ভ্যাংচানো ছবি দেখবে! এই কার্টুনটা এঁকেছে শিখা নামে একটি মেয়ে, এরকম আরো অনেক কার্টুন বাচ্চারা আমাকে এঁকে এঁকে পাঠায়। মাঝে মাঝেই আমি সেগুলো দিব!
৩০ জুলাই ২০১৬
সর্বনাশের উপর ডাবল সর্বনাশ! আমি টের পাচ্ছি প্রশ্নের উত্তর দেয়া নিয়ে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের জন্ম হচ্ছে। এখন প্রশ্নের ভাষা এরকমঃ “কেন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না?” “আমি আগে প্রশ্ন করলাম কিন্তু অমুকের প্রশ্নের উত্তর আগে দেওয়া হলো কেন?” ঠ্যাং ভেঙ্গে দেয়া সংক্রান্ত একটা হুমকীও এসেছে! প্রায় নয় শ ‘টার মত প্রশ্ন এসেছে তার মাঝে বেছে বেছে মাত্র দুইশটার ভিতর থেকে উত্তর দেয়া হয়েছে। যখন আমার প্রশ্ন দেওয়ার যুদ্ধে পরাজয় বরণ করে হাল ছেড়ে দেওয়ার মত অবস্থা তখন তোমাদেরই একজন আমাকে চমৎকার একটা বুদ্ধি দিয়েছে। বলেছে, আপনার প্রশ্নের পেজটা কয়েকদিন বন্ধ রাখেন যেন কেউ নতুন প্রশ্ন করতে না পারে, যখন হাতে আসা সবগুলোর উত্তর দিয়ে দেবেন তখন আবার পেজটা খুলে দেবেন।
কাজেই আগে থেকে সবাইকে জানিয়ে রাখছি, প্রশ্নের পেজটা এখন কয়েকদিনের জন্যে বন্ধ করে দেব, ওয়েবসাইটের অন্য সব কিছু আগের মতই থাকবে। কেউ আমাকে দোষ দিও না, এই ষড়যন্ত্রের পিছনে আমি নই, তোমাদের কেউ একজন!
হরিদাস চক্রবর্তী পংকজ চতুর্থ সেমিস্টার, আইসিটি বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রশ্নঃ স্যার, আদাব। আপনি কি বাকিটা পথ শাবি তেই থেকে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকবেন?? আমাদের দিকে একটু থাকাবেন না?? বিশেষ করে আমাদের মত কম মেধার মানুষগুলোর দিকে????
উত্তরঃ একজন মানুষ একসাথে কয় জায়গায় থাকবে তুমিই বল? বড় কথা তুমি কম মেধার মানুষ সেই ধারণাটা কেমন করে হল?
রুদ্র,…
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে জঙ্গীবাদকে সমূলে উৎপাটন করতে কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে অাপনি মনে করেন?
উত্তরঃ এতো কষ্ট করে পাওয়া আমাদের এতো সুন্দর একটা দেশ, দেশের জন্যে কতো কি করার আছে। সবাই দেশটাকে ভালোবাসলেই তো এখানে কোনোদিন জঙ্গি জন্মাতে পারবে না!
Mohsina Parveen Sydney Australia.
প্রশ্নঃ Ami akhon ar chotto meye noi… Kintu ei website Ta dekhe eto eto khushi Holam bole bujhate parbo na. Onekkkkk onekkkkkkkkk Shubho kamona. Amar bishash ei sundor plan Ta Amader sobar Onek kaje asbe. Ami Amar 5 bochor boyesher meye ke bolechi ei dada bhai Amader Sobai ke Onek sundor manush hote help korechey. Onek dhonnobad
উত্তরঃ থ্যাঙ্কু মোহসিনা। তোমার পাঁচ বছরের জন্যে আদর!
প্রশ্নঃশুধু কি ছোটদের জন্যই সাইটটি?
উত্তরঃ ছোটদের মাথায় রেখে এটা শুরু করেছি, বড়রা ঢুকে পড়লে তাদের বের করে দেওয়া হবে সেরকম কোনো পরিকল্পনা তো নেই!
নাম-রেদওয়ান.. ঠিকানা- খিলগাঁও..
প্রশ্নঃ… … যাই হোক, প্রশ্নে চলে যাই.. আমি যদি বাংলাদেশ থেকে এমেরিকায় যেতে চাই, যেটা বাংলাদেশের প্রায় উল্টো দিকে- তাহলে আমি পূর্ব দিক দিয়েও যেতে পারে, আবার পশ্চিম দিক দিতেও যেতে পারে..অবশ্য প্লেন কোন দিক দিয়ে নরমালি যায়, আমি জানি না..তবে, থিউরিটিকালি ২দিক দিয়েই যাওয়া যেতে পারে.. এখন যেহেতু, এমেরিকা বাংলাদেশের মোটামুটি উল্টো দিকে, কাজেই, পূর্ব-পশ্চিম যেদিক দিয়েই যাওয়া হোক, মোটামুটি একই টাইম লাগার কথা–যদি, এক্ষেত্রে পৃথীবিটা স্থির ধরে নেই..কিন্তু, আসলে পৃথিবিটা স্থির না, এটি নিজ অক্ষের উপর নির্দিষ্ট গতিতে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে..কাজেই, আমি যদি এমেরিকায় পশ্চিম দিক দিয়ে যাই, তুলনামূলকভাবে টাইম অনেক কম লাগার কথা–যেহেতু আমার প্লেনের গতির দিক পৃথীবির গতির দিকের উল্টো, কাজেই আমি যেমন এমেরিকার দিকে যাচ্ছি, এমেরিকাও তো আমার কাছে আসছে! একই লজিক অনুযায়ী, পূর্ব দিক দিয়ে এমেরিকা গেলে টাইম তুলনামূলক বেশি লাগবে.. কিন্তু, আসলেই কি তাই? মানে, সোজা কথায় প্রশ্নটা হলো- পৃথিবী ঘুরতে থাকার কারণে প্লেনের উপর কী সেটার কোনো প্রভাব পরে?
উত্তরঃ আরো সোজা কথায় তুমি একটা বেলুনে ঝুলে উপরে উঠে যাবে, নিচে পৃথিবীটা ঘুরে ঘুরে যখন আমেরিকা আসবে, তুমি টুপ করে নেমে পড়বে। তাইতো? যেটা ভুলে গেছ সেটা হচ্ছে পৃথিবীর সাথে সাথে তুমিও একই গতিবেগে যাচ্ছ, যখন উপরে উঠবে তখন সেখানেও সেই বেগে যাচ্ছ। পৃথিবীর তুলনায় তুমি তো থেমে নেই!
রিন্তি Kennesaw State University, Atlanta, Georgia, USA 22nd July, 2016
প্রশ্নঃ.. … … অনেক দীর্ঘ এই খোলা চিঠিটার দু’কলম উত্তর না পেলেও আমার দুঃখ হবেনা স্যার। শুধু যদি আপনি এর কিছু অংশ পড়ে থাকেন, ভবিষ্যতে প্রশ্নফাঁস নিয়ে কিছু করতে পারেন, সেই হবে আমার মতো apolitical মানুষদের সবচেয়ে বড় কিছু একটা পাওয়া। সেপ্টেম্বর মাস আসতে আর বুঝি বেশি দেরি নেই । কে জানে এতো কিছু লেখার পরেও হয়তো আমার বোনটাও বিগত বছরের অনেক আশাবাদী মায়ের মেধাবী মেয়েদের মতো বলির পাঁঠা হবে। শোনা যাচ্ছে, এবারের মেডিক্যাল এডমিশন টেস্ট কুরবানী ঈদের আগেই নেয়া হতে পারে, যাতে করে ঈদের খুশিতে আর আর লম্বা ছুটির মধ্যে কিছু নির্বোধ parents এর নির্বোধ ছেলে মেয়েগুলো প্রশ্নফাঁসের বিরোধিতা নিয়ে বেশি মাতামাতি করতে না পারে। অপেক্ষাই জীবন। তারপর হয়তো সত্যিই কুসুম বনে তরী এসে লাগবে একদিন। সেদিনটা হয়তোবা আমরা দেখে যেতে পারবো, হয়তোবা পারবোনা। সেই দিনের শুভেচ্ছায় আর আপনার সর্বাঙ্গীন সুস্বাস্থ্য কামনায়….
উত্তরঃ তোমার এক হাজার থেকেও বেশি শব্দে লেখা চিঠিটা পড়ে আমার মনটা দুঃখে ভরে গেল।আমি এই প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কিছু একটা করার কতো চেষ্টা করলাম কিন্তু সরকারের বড় বড় লোকদের চিরস্থায়ী শত্রু বানানো ছাড়া আর কিছু করতে পারলাম না। বাংলাদেশে কতো বড় বড় শিক্ষক আছেন, শিক্ষাবিদ আছেন, বুদ্ধিজীবী আছেন কোনো একটা বিচিত্র কারনে তাদের কারো কাছে এটা বড় সমস্যা না। সবাই যদি একসাথে এটা নিয়ে কথা বলত কিছু একটা হতো। যাই হোক তোমার বোনকে বলো সে যেন “বোকার মত” খাটি মানুষ হয়ে পরীক্ষা দেয়- আগে হোক পরে হোক তার স্বপ্ন নিশ্চয়ই পুরণ হবে। আর আমি তোমাকে বলে রাখি, এটা নিয়ে চিৎকার চেচামেচি আমি এখনই ছেড়ে দেব না। করেই যাব।
প্রশ্নঃ স্যার, ছোট থাকতে বড় হয়ে কি হতে চেয়েছিলেন?
উত্তরঃ প্রথমে ফায়ার ব্রিগেডের মানুষ (কী সুন্দর ঘন্টা বাজাতে বাজাতে লাল গাড়ী করে যায়!) তারপর জলদস্যু, তারপর ডাক্তার, তারপর আর্কিটেক্ট, তারপর বিজ্ঞানী- ততদিনে বড় হয়ে গেছি, টের পেয়েছি এতকিছু হওয়ার দরকার নেই, মানুষ হলেই যথেষ্ট!
সভ্যতা বেইলী রোড ঢাকা 🙂
প্রশ্নঃSir, … … ছোট বেলা থেকেই আপনার লেখা আমি পড়ি। কিন্তু এখন আমি বড় হয়ে যাওয়ায় আপনার ছোটদের জন্য লেখা গুলো বাচ্চাদের মনে হয়। তবুত্ত আপনার লেখা বই গুলো একুশে বই মেলা থেকে কিনি, কেননা pdf পড়তে ভাল লাগেনা। কাগজের গন্ধটা ই ভাল লাগে। সে যাই হোক এবার মূল কথা অর্থাৎ আবদারে আসি। আমি একজন singer,songwriter গান লেখা সুর করা এবং গাওয়া ই আমার কাজ. খুব সখ আমি সিলেট যাব,কাঁধে guitar ঝুলিয়ে আপনাকে গান শোনাতে। প্রশ্ন হল আপনি কি আমার সখ পূরণে আমাকে সাহায্য করবেন?
উত্তরঃ অবশ্যই! কাঁধে গিটার ঝুলিয়ে একদিন চলে এসো।
Oni, Mirpur
প্রশ্নঃFilmmaker howa bhalo na kharap?
উত্তরঃ তোমার কী মনে হয়? এরকম একটা সৃষ্টিশীল কাজ কি খারাপ হওয়া সম্ভব?
ফাতিমা-তুজ-জোহরা ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ঢাকা।
প্রশ্নঃভার্চুয়াল জগতে স্বাগতম, স্যার! আপনাকে আপাতত একটিই প্রশ্ন করার আছে আমার, যেটি গত কয়েক মাস যাবৎ আমাকে মানসিক অশান্তিতে রেখেছে। জানি আপনার আগমনের এই শুভলগ্নে আমার প্রশ্নটি বেমানান, তবু পীড়াদায়ক এই প্রশ্নটি আমি না রেখে থাকতে পারছি না, কারণ বুঝতে শেখার পর থেকে আপনি আমার স্বপ্নপুরুষ বিধায় আপনার অবস্থান সম্পর্কে পরিস্কার হওয়া আমার জন্য জরুরি। স্যার, আপনি কি সত্যিই বদ্বীপ প্রকাশিত ‘ইসলাম বিতর্ক’ ইস্যুতে সেই বক্তব্য রেখেছিলেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল? আপনি কি মনে করেন যে, লেখালেখির সময় সতর্ক থাকা উচিৎ যেন কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আহত না হয়?
উত্তরঃ তোমার পাঠানো লিংকটি দেখার সুযোগ পেলাম না, ওখানে কি আছে আমি জানি না- তবে মনে আছে আমি বলেছিলাম এ্টি খুবই কুৎসিত একটা বই, কারো এই বইটি পড়ার প্রয়োজন নেই। আমি যেহেতু নিজে লিখি তাই যখন দেখি অন্য কেউ খুবই কুৎসিত কিছু লিখছে আমার খুবই মেজাজ খারাপ হয়। ঐ লেখকেরা যদি মনে করে এরকম কিছু লেখার অধিকার হচ্ছে তাদের বাক স্বাধীনতা, তখন আমি বলি কুৎসিত লেখাকে “কুৎসিত লেখা” বলার অধিকারও আমার বাক স্বাধীনতা! হ্যাঁ লেখালেখির সময়ে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত যেন সেটা পড়ে কেউ বমি করে না দেয়! তবে কোনো ধরনের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার বিষয়টা আমি বুঝি না, কখন যে কোন বিষয়ে কার অনুভুতিতে আঘাত লেগে যাবে বোঝা মুশকিল। আমি নিশ্চয়ই আমার লেখালেখি দিয়ে রাজাকার টাইপের অনেক মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছি!
তবে যেটা বলার জন্যে আমি এতো কিছু লিখে ফেললাম সেটা হচ্ছেঃ প্লীজ প্লীজ আমাকে “স্বপ্নপুরুষ” বানানোর চেষ্টা করো না, দুই দিন পরে পরে বড় বড় ধাক্কা খাবে! আমারও টেনশান হবে কখন আমি স্বপ্নপুরুষ হওয়ার দায়িত্বে গাফিলতি করে ফেললাম! প্লীজ প্লীজ, আমাকে সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে দেখ যার সাথে তুমি গলার রগ ফুলিয়ে তর্ক করতে পারবে। ঠিক আছে?
শিবানী বাউফল…
প্রশ্নঃ তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুত্ কিভাবে চলে ?
উত্তরঃ ধাতব তারে প্রায় মুক্ত ইলেক্ট্রন থাকে, সেগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ হয়।
২৯ জুলাই ২০১৬
প্রশ্নের উত্তর দেবার যুদ্ধে আমি শোচনীয় ভাবে হেরে যাচ্ছি! এখন পর্যন্ত ৮৫০টা উত্তর এসেছে, আমি ২০০ পর্যন্তও যেতে পারিনি!
সৌরভ, অবিসংবাদিত এম্বাসেডর অফ জাফর স্যার , সিলেট
প্রশ্নঃ স্যার একটা উপন্যাস লেখতে আপনার কয়দিনের মত লাগে ? কখন লেখতে বসেন ? রাতে নাকি সকালে ?
উত্তরঃ মাস খানেক লাগে এম্বাসেডর সাহেব। সাধারনত রাতেই বেশী লেখা হয়।
দিপংকর মিত্র বাকেরগঞ্জ,বরিশাল
প্রশ্নঃ আগুন কী পদার্থ ,না শক্তি ? .
উত্তরঃ আলোর শিখার ভেতরে উত্তপ্ত অনেক রকম “পদার্থ” (গ্যাস, কণা এইসব) আছে, তার ভেতর থেকে যে আলো আর তাপ বের হয় সেটা শক্তি।
সাদিকুর রহমান খান দ্বাদশ শ্রেণী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ,রাজশাহী
প্রশ্নঃ… … আমি ছাত্র হিসেবে মোটামুটি ভালোই,গণিতে সবচেয়ে বেশি ভালো।আমার ইচ্ছা আপনার ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স এ ভর্তি হওয়া।এর একটা কারণ আপনি, আরেকটা কারণ একসাথে দুইটা কোর্স করার সুবিধা।কিন্তু আমার পরিবারের সবাই চায় আমি যেন বুয়েট এ পড়ি!!তাদের ধারণা বুয়েট এ পড়লে চাকরি বাকরি বা স্কলারশিপের জন্য বিদেশ যাওয়া সুবিধা হবে।এই ধারণা কতটুকু সত্যি?শাহজালাল এবং বুয়েট এর ভেতর কোন মানগত তফাৎ আছে কি? স্কলারশিপ বা কর্মক্ষেত্রে কি এটা কোন পার্থক্য সৃষ্টি করবে?
উত্তরঃ এ ব্যাপারে আমার বলার কিছুই নাই। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাবজেক্ট পড়া উচিত সেই বিষয়ে আমি আমার নিজের ছেলেমেয়েকেও কোনোদিন কোনো উপদেশ দেইনি। তোমাকে কেমন করে দিই?
রবিউল ইসলাম ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
প্রশ্নঃএক বড় ভাইয়ের কাছে শুনেছি যে কোন কিছু আলোর গতিতে গেলে তা আর সময়ের সাথে চলেনা… মানে তার জন্য সময় স্থির থাকে ! কিন্তু বিষয়টা ভালো ভাবে বুঝতে পারছিনা ! যেখানে আলোর নিজেরই সময় লাগে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে সেখানে আলোর গতিতে চললে কেন কোন বস্তুর সময় লাগবেনা… !!!? সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিন প্লিজ !! (বিঃ দ্রঃ আমি বিজ্ঞানের ছাত্র না)
উত্তরঃ আলোর বেগে কিছু গেলে কী হয় সেই প্রশ্নটা অর্থহীন কারণ ভর আছে এরকম কোনোকিছুই আলোর বেগে যেতে পারবে না!
তনিম তাহমিদ খান ঠিকানা:সাস্ট ♥
প্রশ্নঃস্যার হতাশা কাটানোর সবচেয়ে ভাল ও সহজ উপায় কি? .
উত্তরঃ আমার সাথে দেখা করো তোমার হতাশার বারোটা বাজিয়ে দেবো!
মুনতাশা সাগুফতা হাফজা উচ্ছলা। আমি চট্টগ্রামে থাকি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার সাব্জেক্টে পড়ি।
প্রশ্নঃ স্যার, মনে হচ্ছে সরাসরি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারছি! অভিনন্দন আর ধন্যবাদ এই সুন্দর উদ্যোগটা নেওয়ার জন্য। স্যার, দেশটা নিয়ে আপনি এখনও আশাবাদী? দিন দিন আমার সব আশা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এদেশে শান্তি কী আর ফিরবে না?
উত্তরঃ থ্যাংকু! তোমরা সত্যিকারের বড় বিপদ দেখনি বলে এতো তাড়াতাড়ি হতাশ হয়ে যাও! হতাশ হওয়ার মত কিছু হয়নি, বড়জোর একটু দুশ্চিন্তা করতে পারো!
আফসানা মিমি
প্রশ্নঃ স্যার, এটা কোন প্রশ্ন নয়। mzi.rocks দেখে আমার আনন্দের কথা জানালাম। আপনার ‘তোমাদের জন্য’ আমারও। ভালো থাকবেন স্যার।
উত্তরঃ থ্যাংকু, আফসানা মিমি!
সামি, উত্তরা
প্রশ্নঃ স্যার, যাদের জন্যে আপনার এই ওয়েবসাইট বয়সের হিসেবে আমি হয়তো তাদের কাতারে পরি না। কিন্তু, আপনার বই পড়ে বড় হওয়া বুড়োরা বয়সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে শিখেছে আপনার কাছ থেকেই। আমার প্রশ্নটা একটু, কি বলা যায়, অন্য ধাঁচের। সবসময়ই আপনার লেখাতে দেখি, আপনি আশার কথা বলেন। ভবিষ্যতের কথা বলেন। স্বপ্নের কথা বলেন। বিজয়ের কথা বলেন। ভীষণ দুঃসময়েও আপনার লেখা পরে মনে হয় সব ঠিক হয়ে যাবে। এতটাই ‘অপটিমিজম’ আপনার লেখাতে থাকে। আমার প্রশ্ন এই ‘অপটিমিজম’ নিয়ে। অনেক কিছুই হয়তো ‘পজিটিভিটি’ দিয়ে সমাধান করা যায় কিন্তু অনেক কিছুই আছে যেখানে এই বিদ্যায় লাভ নেই। আশায় লাভ নেই। স্বপ্নে লাভ নেই। ‘অপটিমিজম’ সেখানে অসহায়। তাহলে স্যার, কেন আপনার লেখায় ‘অপটিমিজম’ এত বেশী? এতে করে কি আপনি আসলে সত্যের থেকে (এই সত্য যে সবসময় সবকিছু ঠিক হয় না, অনেক সময় সবকিছু ভেঙ্গে পড়ে) দূরে সরে যাচ্ছেন না?
উত্তরঃ যদি এরকম হতো যে আমি যে ‘অপটিমিজম’ দেখাচ্ছি আমি আসলে সেটা বিশ্বাস করি না, শুধু মাত্র সাহস দেয়ার জন্যে সবাইকে বলছি তাহলে তোমার অভিযোগটা সত্যি হতো। কিন্তু মুশকিল হলো আমি এতই বোকা টাইপের মানুষ যে সব সময়েই আমি আশা খুঁজে পাই। শুধু তাই না কীভাবে কীভাবে জানি সেটা আবার সত্যিও হয়ে যায়! আমার কী দোষ?
প্রশ্নঃ sir I m u r big fan… main point is I have no important wues..just I already made a simple machine which can track and identify earthquake previous p signal via microwave and gives alram before sometime earthquak.my theory is practically right I think…… but how can I show or judge this thing to a expert……
উত্তরঃ পরের ভুমিকম্পের আগে তুমি যদি ভবিষ্যৎবাণী করে বলে দিতে পার…
দেবযানী, ৪৪/এ চামেলিবাগ, ঢাকা।
প্রশ্নঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ স্যার। আমার ছোট ভাইবোনদেরসহ অনেক জানার ও পড়ার জন্য এমন অসাধারণ কিছু পেলাম। স্যার, শুধু কিশোর উপন্যাস,গল্পই কি থাকবে আমাদের জন্য যারা তরুন/তরুনি রয়েছি তাদের জন্যে আপনার লেখা আপনার এই সাইটিতে থাকবে না? যদিও স্যার আপনার সব লেখাই আমাদের প্রিয়!
উত্তরঃ তোমাদের বয়সী তরুণ তরুণীদের জন্যে নেটে কতোকিছু আছে, ছোটদের জন্যে কিছু নেই। তাই আপাতত ওদের জন্যেই সময়টা দিচ্ছি। কিন্তু মাঝে মাঝে তুমি যদি এখানে ঢুঁ মেরে যাও কেউ তো তোমাকে বাধা দিবে না!
প্রশ্নঃ কেন আমাদের দেশ স্বপ্নপূরী না হয়ে জঙ্গিপুরে হয়ে যাচ্ছে।
উত্তরঃ ষোল কোটি মানুষের দেশে কয়েক ডজন জঙ্গি থাকলেই দেশটা জঙ্গিপুরী হয়ে যায়?
প্রশ্নঃ What is the purpose of my life? Ami onkdin jabot amar jiboner lokkho toiri korar cheshta korchi, kintu konovabei ta khuje pacchi na.
উত্তরঃ আপাতত মজা করো। জীবনটা খুবই মজার একটা ব্যাপার। বড় হয়ে গুরুতর বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানো যাবে!
প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম স্যার, স্যার আপনি কেন সিনেমা বানান না???? মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নতুন করে বানান না স্যার। ধন্যবাদ স্যার
উত্তরঃ তোমার ধারণা যে কোনো মানুষ ইচ্ছে করলেই সিনেমা বানাতে পারে? পারে না! আমার একটা উপন্যাস নিয়ে একটা সিনেমা তৈরী হচ্ছে- একটু অপেক্ষা করো।
প্রশ্নঃ স্যার,আমি ছোটবেলায় আপনার বই এর পাগল ছিলাম, এখনো পরতে চাই।আপনি কি নতুন কোন science fiction লিখেছেন?
উত্তরঃ তুমি যেহেতু বই “পড়তে” চাও না, বই “পরতে” চাও আমাকে তাহলে সেরকম একটা বই লিখতে হবে, যেটা পরা যায়! ঢিলে ঢালা আরামদায়ক!(ঠাট্টা করলাম, হ্যাঁ, একটা লিখতে শুরু করব, কাহিনীটা মাথার ভিতরে তৈরী করছি)
প্রশ্নঃ Apni ki ekhon proti soptahe ei rokom mojar golpo likhben?
উত্তরঃ তোমার কি ধারণা প্রতি সপ্তাহে এরকম একটা গল্প লেখা সম্ভব? আরো হাজারো কাজের মাঝে? মাসে একটা যদি লিখতে পারি তাহলেই অনেক!
Promee, Sylhet
প্রশ্নঃ i know you always try to behave good with people. But, surely sometimes you get annoyed with them. What do you prefer then? to honestly express your true feelings or keep maintaining false courtesy?
উত্তরঃ না না না, সব্বোনাশ কখনো বিরক্তি দেখানো যাবে না। হাসি হাসি মুখ করে কথা বলে যেতে হয়। কি কারণ জানিনা আমি যদি কখনো কাউকে বকা দিই, সে তাহলে ভেউ ভেউ করে কাঁদতে থাকে। তখন মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে হয়, অটোগ্রাফ দেয়া বই দিয়ে মন ভালো করে দিতে হয়!
প্রশ্নঃ স্যার, যে কোনও স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তো লেগে থাকার বিকল্প নেই। মাঝে মাঝে তাল হারিয়ে ফেলি। হতাশা ভর করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগোয় না। হতাশার ভিতরেও কাজ করে যাওয়ার মূলমন্ত্র কি?
উত্তরঃ সেরকম মন্ত্র তো আমার জানা নেই- তবে তুমি যদি নিজেকে বোঝাও যে আগে হোক পরে হোক খারাপ সময়টা কেটে যাবে তাহলেই মনে হয় তুমি এগুতে পারবে।
অনিক শাহরিয়ার মোহাম্মদপুর, ঢাকা
প্রশ্নঃ স্যার সেই ছোটবেলা থেকে আপনার বই পড়ে বড় হয়েছি। সাইন্স ফিকশন এর সাথে পরিচয়ও আপনার মাধ্যমেই হয়েছে। ইদানীং আপনার বের হওয়া বই গুলো কিনে উঠতে পাড়ছি না। বই এর দাম গুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি। একই কোয়ালিটি + পেইজ সংখ্যার বই যখ। অন্য লেখকের হয় তখন তার দাম অনেকটাই নাগালে থাকে। কিন্তু আপনার বই সেই সম পরিমান পেইজ এর হয়েও প্রায় দ্বি-গুন দাম। এর পেছনের গল্পটা কি জানতে পারি?
উত্তরঃ গল্পটা জানলে নিশ্চয়ই বলতাম, গল্পটা জানিনা। প্রাকশকদের জিজ্ঞে্স করো, দরকার হলে হুমকি ধামকি দাও।আমি দুইটা উপদেশ দিতে পারিঃ (এক) যদি তুমি ঠিক করে থাক সব বই নিজে কিনে পড়বে তাহলে তুমি খুব বেশী বই পড়তে পারবে না। একজন কিনো দশজনে পড়ো (দুই)আমি যতদুর জানি আমার প্রায় সব বই পি ডি এফ করে নেটে রাখা আছে, সেখান থেকে ডাউনলোড করে পড়- এক পয়সা খরচ নেই!
তিয়ান্না আশিক প্রাপ্তি বাগেরহাট
প্রশ্নঃ স্যার আমি কি আপনার কোনো ছবি এঁকে এই ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে আপনার কাছে পৌছিয়ে দিতে পারবো? যদি পারি তাহলে সেটা কিভাবে??
উত্তরঃ ড্রপ বক্স কিংবা গুগল ড্রাইভে রেখে লিংকটা পাঠিয়ে দাও, আমি ডাউনলোড করে নেব।
নুযহাত,..
প্রশ্নঃ (এই সাইটে অত্যন্ত বুদ্ধিমানের মত কোন কমেন্টের অপশন রাখা হয় নাই, রাখা হলে কমেন্টের ঠ্যালায় সাইটের বারোটা বেজে যেত।) আপনার কার্টুনগুলো অনেক সুন্দর হয়। আমাদের দেশের প্রফেশনাল কার্টুনিস্টরা অনেক কাবজাব করে কার্টুন বানায়। সে হিসেবে আপনার আইডিয়া সুন্দর, ছবিগুলা সিম্পল, প্লেইন এবং স্মার্ট (ফটোশপিং গুলোও চমৎকার হচ্ছে)। সুন্দর করে কার্টুন সিরিজ বানানোর কোন প্ল্যান করছেন নাকি? ( প্লিইইইইইইজ বলেন হ্যা প্লিইইইইইইজ……………)
উত্তরঃ ( কমেন্টের অপশন না রেখে কোনো লাভ হয় নাই, প্রশ্নের ঠ্যালায় সাইটের সাথে সাথে আমারও বারোটা বেজে যাচ্ছে!) এখন কার্টুন সিরিজ, দুইদিন পরে বলবে একটা নাচের দল, তারপরে বলবে একটা সার্কাস পার্টি সবশেষে বলবে একটা পলিটিক্যাল পার্টি খুলে ইলেকশানে দাড়াতে! ঠিক কিনা?
মুনীর হুসাইন বুধল উচ্চ বিদ্যালয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রশ্নঃ আপনার মোচ এত বড় কেন?
উত্তরঃ খারাপ লাগলে বলো, কেটে ছোট করে ফেলব!
Ayan…
প্রশ্নঃ স্যার আমরা যখন আয়নার সামনে কোন লেখা তুলে ধরি লেখাটি উলটে যায় কিন্ত আমরা যখন আয়নার সামনে দারাই তখন আমাদের শরিরের কিছু উলটে যায় না।
উত্তরঃ কে বলেছে উল্টে যায় না? আয়নায় আমাদের ডান হাত যে বাম হাত হয়ে যায় আর বাম হাত যে ডান হাত হয়ে যায় সেটা কখনো লক্ষ্য্ করো নাই?
রাজা বনশ্রী, ঢাকা
প্রশ্নঃ সম্প্রতি(হয়ত আরো আগেই, আমি সম্প্রতি জানছি আরকি!) বিভিন্ন জ্ঞানী গুনী বিজ্ঞানী বলছেন,আমাদের জীবনের সবকিছুই নাকি একটা হলোগ্রাফিক প্রজেকশন ছাড়া কিছুই না।ব্যাপারটা কেমন জানি কেমন জানি! স্যার ব্যাপারটা অবিশ্যই সুন্দর করে ব্যাখ্যা করবেন।
উত্তরঃ এইসব বাজে কথায় কান দিও না! মানুষের জীবন এত বড় একটা বিষয়, সেটা হলোগ্রাফিক প্রজেকশনের মতো তুচ্ছ একটা বিষয় কেন হতে যাবে?
দুর্লভ নিবরাস আহমেদ মাস্টার্স ২য় সেমিস্টার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
প্রশ্নঃ স্যার … আমরা তোহ DC Comics কিংবা Marvel Comics এর নানান সুপারহিরোদের নিয়ে কমিক্স পড়ি, সিরিজ আর সিনেমা দেখি। কিন্তু আমাদের নিজদেরও তোহ সুপারহিরো আছে । একেবারে বাস্তব রক্ত-মাংসের সুপারহিরো । ১৯৭১ এর শহীদ জূয়েল, শহীদ রুমি, সদ্য প্রয়াত শিরিন বানু মিতিল সহ অন্যদের কথা বলছিলাম। … … যদি স্যার আহসান হাবীব ভাই, মেহেদি ভাই, তন্ময় ভাই (কার্টুনিস্ট) বলে দেন … তাইলে আমরা হয়ত আমাদের সুপারহিরোদেরকে নিয়ে কমিক্স পড়তে পারবো। … …
উত্তরঃ যারা কমিক বই তৈরী করে তাদে সাথে যখন দেখা হবে আমি তখন তাদেরকে তোমার ইচ্ছের কথাটা জানিয়ে দেব।
২৮ জুলাই ২০১৬
আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। এটা নিশ্চয়ই কাউকে বলে দিতে হবে না যে আমার পক্ষে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া সম্ভব শুধু সেগুলোই দিচ্ছি। কেউ যদি ইংরেজি অক্ষর ব্যাবহার করে বাংলা লিখে তাহলে আমার পড়তে একটু কষ্ট হয়, তাই অনুরোধ করব একটু কষ্ট করে হয় ইংরেজি না হয় বাংলা লিখতে। যারা প্রশ্নগুলোর উত্তরগুলো দেখছে তারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছে যে আমি সবসময়েই মনে রাখার চেষ্টা করেছি যে এট আসলে ছোটোদের জন্যে, তাই সিরিয়াস গুরুগম্ভীর উত্তর কম!
shibly, dhaka.
প্রশ্নঃ I’m not here to ask any question, just to inform you that I have a wonderful childhood with all your books. I wish you live forever.
উত্তরঃ forever? পরিচিত সবাই মরে টরে যাবে, শুধু আমি একা থুড়থুড়ে বুড়ো হয়ে লাঠিতে ভর দিয়ে খক খক করে কাশতে কাশতে ঘুরে বেড়াবো?
শুভ চন্দ্র দাস শাহপরাণ হল, শাবিপ্রবি
প্রশ্নঃ স্যার, অাপনার প্রিয় লেখক কে? অাপনি কি থেকে লেখক হবার অনুপ্রেরণা পেলেন?
উত্তরঃ প্রিয় লেখকের নাম বলে শেষ করতে পারব না। অনেক ছোটো থেকেই অনেক বই পড়েছি তো, তাই মনে হয় লেখালেখি করার একটা ইচ্ছে মনে ভেতর জন্ম নিয়েছিল। আমি অবশ্যি ঘুনাক্ষরেও চিন্তা করিনি যে আমি আসলে লেখক হব কিংবা কেউ আমার বই পড়বে।
ফাহিম ফেরদৌস চয়ন, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশ্নঃ স্যার, আপনার চুল-গোঁফ সব সাদা, চোখের পাতা কালো কেন, কলপ মাখেন? 😀
উত্তরঃ না, কলপ এখনো মাখিনি। আমার মনে হয় জন্মের পর প্রথমে আমার গোঁফ উঠেছে, তারপর চুল এবং সবার শেষে চোখের পাতা। তাই সবার আগে পেকেছে গোঁফ, তারপর চুল এবং সবার শেষে পাকবে চোখের পাতা! পাকা চোখের পাতা দেখা জন্যে অপেক্ষা করে আছি।
নাসরীন নবনী, ফুলবাড়ি, খুলনা।
প্রশ্নঃ স্যার, আপনি কি হুমায়ূন আহমেদকে মিস করেন? করলে কতখানি?
উত্তরঃ হ্যাঁ করি। অনেকখানি।
Ibrahim IUBAT, civil engineering
প্রশ্নঃ Sir, Amer kono kicu porar dhorjo nai ki kore besi besi boi porar habit barate pari ?
উত্তরঃ আমার খুব ভালো লাগতো যদি আমি বলতে পারতাম প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে অমুক ট্যাবলেটটা খেয়ে নাও তাহলেই বই পড়ার ধৈর্য হুড় হুড় করে চলে আসবে! সেরকম কিছু নাই- তুমি যেহেতু নিজেই বিষয়টা ধরতে পেরেছ এখন নিজেই আস্তে আস্তে বই পড়ার অভ্যাসটা তৈরী করে ফেলো।
ইমন হক বাজিতপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ১০ম শ্রেণি
প্রশ্নঃ স্যার ফিউচারে টাইম ট্রাভেল যদি সম্ভব হয় তাহলে ফিউচার থেকে কেউ আসে না কেন?
উত্তরঃ তুমি কেমন করে জান ফিউচার থেকে কেউ আসে নাই, হয় তো এসেছে কিন্তু কাউকে বলছে না! তোমার প্রাণের বন্ধুই হয়তো ফিউচার থেকে এসেছে কিন্তু তোমাকে কখনোই বলেনি। কিংবা আমি…
প্রশ্নঃ স্যার বর্তমান প্রজন্ম যেভাবে উগ্রতাকে গ্রহন করে জঙ্গি হচ্ছে তা থেকে মুক্তির পথ কি হতে পারে? আমরা তরুন প্রজন্ম কিভাবে সঠিক গাইড লাইন পেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তরঃ বর্তমান প্রজন্ম মোটেই উগ্রতাকে গ্রহন করে জঙ্গি হচ্ছে না, খুবই কম হাতে গোনা কয়েকজন তরুণ ঐ পথে গিয়েছে!সে জন্যে পুরো প্রজন্মকে দায়ী করা একেবারেই ঠিক হবে না। তোমার আলাদা কোনো গাইড লাইন দরকার নেই যেভাবে ছিলে সেভাবেই হেসে খেলে আনন্দ করে দিন কাটাও। জঙ্গি একটা ভাইরাস না যে হঠাৎ করে তুমি আক্রান্ত হয়ে যাবে!
সাইফুল ইসলাম খান। মুশুরিয়াপারা, ঈশ্বরদী, পাবনা
প্রশ্নঃ … … স্যার আমার প্রশ্ন সৃজনশীল ব্যবস্থা নিয়ে। একটা শিক্ষার্থীর যখন ব্যক্তিত্ববোধই জাগে না তখন সে সৃজনশীল কিভাবে বুঝবে? ব্যপারটা এরকম যে, যে কোনও দিন হাতি দেখেনি তাকে আমি যে কোনও বর্ণনা দিয়ে যদি বলি এইটাই হাতির বৈশিষ্ট্য তাহলে সে তাই মনে করে নেবে। … …
উত্তরঃ সৃজনশীল প্রশ্ন মানে যে প্রশ্নে একজন ছেলে বা মেয়ে একটা বিষয় জানে কিনা, বুঝে কিনা, ব্যাবহার করতে পারে কিনা এবং বিশ্লেষণ করতে পারে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হয়। সারা পৃথিবীর সব ছাত্রছাত্রীদের এভাবেই মুল্যায়ন করা হয়, আমরাও এখন শুরু করেছি। সারা জীবন আমরা কিন্তু নিজেদের মত এভাবেই প্রশ্ন করে এসেছি। এখন সেটাকে একটা কাঠামোর মাঝে আনা হয়েছে এটুকুই পার্থক্য। সৃজনশীল নামটা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ো না, তুমি ইচ্ছা করলে এটাকে ব্লুম পদ্ধতি, আধুনিক পদ্ধতি, কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতি, শিক্ষা সহায়ক পদ্ধতি কিংবা তোমার পছন্দের অন্য যে কোনো নামে ডাকতে পার। একটা ছাত্র বা ছাত্রীর জানারও প্রয়োজন নেই পদ্ধতিটির নাম কী, তাকে কিছু প্রশ্ন করা হবে, সে তার মত করে সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে।
মাঈন উদ্দিন। এবার এইচএসসি দেয়াতে এখনো পর্যন্ত কোনো ভাল ঠিকানা নেই। 🙁
প্রশ্নঃ স্যার হোম পেজে যে আমাদের ভাল লাগা জানাতে বললেন…..সেটা জানাবো কোন সেকশনে?? আপাদত প্রশ্নের সেকশনেই বলে দিই…. অনেএএক জোস একটা কাজ হয়েছে 🙂
উত্তরঃ আপাতত টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ ছাড়া তো অন্য কোনো রাস্তা দেখছি না!
ডাঃ লালন মেডিকেল অফিসার শরীয়তপুর।
প্রশ্নঃ স্যার নেক্সট বইমেলায় আপনার কয়টা বই বের হচ্ছে?
উত্তরঃ এখন লিখতেই বসিনি! আগে জিজ্ঞেস কর, “ নেক্সট বইমেলায় আপনার কি কোনো বই বের হচ্ছে?”
রুবাই , পল্লবী মিরপুর, ..
প্রশ্নঃ আপনার ডাকনাম কি?
উত্তরঃ আমার বাবা মা আমাদের সব ভাইবোনের একটা করে ডাকনাম দিয়েছিলেন, আমাকেও দিয়েছিলেন, অন্য সবার ডাক নামগুলো আটকে গেলেও আমি কীভাবে জানি পিছলে বের হয়ে গেছি! তাই এখন আমার কোনো ডাকনাম নেই। সরি!
সাদ মাশফিক, মগবাজার নয়াটোলা ঢাকা।
প্রশ্নঃ স্যার! না না স্যার না, আপনাকে স্যার ডাকতে চাই না, স্যার যারা হয় তাদেরকে দেখলেই তো আমরা ভয়ে পালাই। তাদের সাথে চোর-পুলিশ সম্পর্ক থাকে। আপনার সাথে তো খুব আপন আপন সম্পর্ক। আমরা এই প্রজন্ম আপনাকে স্যার সম্বোধন করা থেকে অব্যহতি চাইছি। আর হ্যা! আপনাকে এমন কিছু সম্বোধন করতে চাই যাতে মনে হয় আপনি ভয়ংকর কেউ না, আমাদের খুব আপনজন! বি:দ্র: উত্তর চাই খুব তারাতারি।
উত্তরঃ তোমার প্রশ্নের উত্তরটা MCQ টাইপ হলে কেমন হয়? তুমি ডজন খানেক সম্বোধন লিখে পাঠাও আমি তার থেকে একটা বেছে নিয়ে টিক দিয়ে দেই?
চৌধুরী আদি, সিলেট
প্রশ্নঃ ছোটবেলায় যখন আপনার লিখা পড়তাম, তখন মনে হতো যে বড় হয়ে গোঁফ রাখব, গোঁফ রাখলে বোধহয় আপনার মতো লিখতে পারব । হালকা রেখেছিলাম বড়বেলায় কিন্তু গোঁফ রাখার পরে দেখি লেখার থেকে গোঁফ দেখায় বেশি সময় দিয়ে দিই, তারপর কেটে ফেলছি! এখন আমাকে বুদ্ধি দিন, আপনার মতো কিভাবে লিখতে পারব ।
উত্তরঃ এত অল্পে হাল ছেড়ে দিলে কেমন করে হবে? গোঁফ রাখো, সেই গোঁফ পাকাও, চুল পাকাও, চশমার উপর দিয়ে তাকাও, দুনিয়ার মানুষের গালাগাল খাও, তখন দেখবে হুড় হুড় করে লেখা বের হচ্ছে!
জর্জ , নিকুঞ্জ ২, খিলক্ষেত, ঢাকা
প্রশ্নঃ … প্রশ্ন হচ্ছে Subscribe করার বাবস্থা কি করা যায়? সেক্ষেত্রে নতুন কোন লিখা এই সাইটে প্রকাশ হলেই নোটিফিকেশান পেয়ে যাবো |
উত্তরঃ আগে কয়দিন যাক, দেখা যাক এটাকে টিকিয়ে রাখতে পারি কিনা!
মুন
প্রশ্নঃ এমন ওয়েবসাইট এতো দেরিতে করলেন কেন? ভয়ে ভয়ে প্রশ্নটা করলাম। ছোটরা ছাড়া বড়োরা প্রশ্ন করতে পারবে?
উত্তরঃ দেরীতে হলেও তবুও তো করেছি, কোথায় তুমি আমাকে থ্যাঙ্কু দেবে… (প্রশ্ন করতে ভয়ের কিছু নেই! তুমি কী ছোটো না কী বড়?)
সাদিয়া আফরিন মৌরী ষষ্ঠ শ্রেণী, এ,কে, হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা
প্রশ্নঃ স্যার, আমি “মুহম্মদ জাফর ইকবাল একজন আদর্শ মানুষ” এই বইটিতে আপনার সাক্ষাৎকার পড়ে জানতে পেরেছি, মার্ক টোয়েন আপনার অসম্ভব প্রিয় একজন লেখক। আমি কিছুদিন আগে মার্ক টোয়েনের “রহস্যময় আগন্তুক(The Mysterious Stranger)” বইটি পড়েছি। এটা আমার মার্ক টোয়েনের পড়া প্রথম বই। বইটি পড়ে আমার বেশ ভাল লেগেছে। অন্যরকম একটি অনুভুতি হয়েছে। আপনি কি বইটি পড়েছেন?
উত্তরঃ ছেলেবেলায় হয়ত পড়েছি, এখন ত মনে করতে পারছি না। তবে মার্ক টোয়েনের লেখা আমার প্রিয় বই হচ্ছে টম সয়ার।পড়ে দেখো।
প্রমি, সিলেট
প্রশ্নঃ কেমন আছেন? আপনার মন খারাপ হলে আপনি কি করেন?
উত্তরঃ ভালো আছি। কী আর করব, গালে হাত দিয়ে বসে লম্বা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
২৬ জুলাই ২০১৬
যে অসংখ্য প্রশ্ন এসেছে তার প্রথম ১০০টার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করলাম। অনেকেই শুধু ধন্যবাদ জানানোর জন্যে লিখেছে, তাদেরকে থ্যাঙ্কু! যদিও এটা ছোটদের জন্যে তৈরী করা হয়েছে কিন্তু মজার ব্যাপার হলো অনেক বড় মানুষেরাও প্রশ্ন করেছেন। আমি সবার উত্তরই দেয়ার চেষ্টা করেছি। তবে যে প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে শিক্ষা ব্যাবস্থা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার, দূর্নীতি, উচ্চতর গবেষণা এরকম গুরুতর বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে, সেগুলোর উত্তর আর এখানে দিলাম না! এটাতো বাচ্চাদের জন্যে তৈরী করা ওয়েব সাইট- তারা যদি দেখে এখানে এরকম গুরুতর বিষয় নিয়ে আলাপ করছি তাহলে তারা হয়তো রেগে মেগে আমাকে ছেড়েই চলে যাবে! সেই ভয়ে! বড়দের বিষয় নিয়ে অন্য কোথাও আলাপ করা যাবে।
প্রশ্নঃ স্যার, বড় হচ্ছি আর ডিপ্রেশন বাড়ছে। স্বপ্নগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে। ভাল্লাগে না।
উত্তরঃ তোমাকে বড় হতে বলেছে কে? বড় হয়ো না, ছোট থেকে যাও।
ফারিবা New elephant road
প্রশ্নঃ ভাল কিছু করার ইচ্ছাটা ( মানে সমাজ বা science এর জগতে একসময় যেটা করতে খুব ইচ্ছা হত ) চলে গেলে , নিজের ওপর বিশ্বাসটা আর না থাকলে কী করা উচিত ?
উত্তরঃ ভালো কিছু করার ইচ্ছা আর নিজের ওপর বিশ্বাসটা ফিরিয়ে আনা উচিৎ। তা না হলে বেঁচে থাকার মজাটাইতো নষ্ট হয়ে যাবে!
নাম: নাফিজ ফুয়াদ সিয়াম ঠিকানা: শেরপুর, বাংলাদেশ
প্রশ্নঃ খুবই ভাল লাগল যে আপনি নিজে এখন অনলাইনে লিখতে শুরু করেছেন। আপনি যে ভয় নিয়ে শুরু করলেন আশা করি সবার আগ্রহ উতসাহ দেখে সেটা নিমিষে উবে যাবে। 😀 শুভ কামনা..
উত্তরঃ উল্টোটা হয়েছে- এত অল্প সময়ে এত প্রশ্ন দেখে নার্ভাস হয়ে যাচ্ছি।
তানিন, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।
প্রশ্নঃআপনার সাথে দেখা করতে চাই, কিভাবে করবো?
উত্তরঃ আমি সিলেট থাকি, এখানে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে চলে এসো।
তরু ভেড়ামারা,কুষ্টিয়া।
প্রশ্নঃ স্যার হাঁসের ডাকের প্রতিধ্বনি হয় না কেন?
উত্তরঃ হাঁসের ডাকের এই এক্সপেরিমেন্টটা কে কোথায় করেছে?শব্দ হলেই তো তার প্রতিধবনি হবে!সেই শব্দটা কীসের তাতে কিছু আসে যায় না!
তানজিলুর রহমান শহীদ নাজমুল আহসান হল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশ্নঃ আমার জন্মদিনে এরকম একটি সাইটের জন্ম।তাই আমার খুব ভাল লাগছে।আপনার শাথে আমারর প্রথম দেখা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে।আপনার মনে না থাকারই কথা। আমার প্রশ্ন বিজ্ঞান বিষয়ক আপনার কি বই আছে নতুন?
উত্তরঃ এখনো নাই। তবে ক্যালকুলাসের উপর একটা লেখা হয়েছে।ছাপা হচ্ছে।
Amit
প্রশ্নঃ Sir, I’m a big fan of your writing.. I am 35 and I grew up with your books. Loved the concept of this platform.. Yet, just an idea, could you not make an app for smartphones for this site..? It would be a lot more convenient to browse through your writings.. Thanks
উত্তরঃ ঠিক আছে, জেনে রাখলাম। আগে এটা কয়েক মাস ঠিক ভাবে চালু রাখি, তারপর দেখব।
প্রশ্নঃ আপনার চোখে আগে একটা পবিত্রতা ছিল, এখন সেটা নেই কেন স্যার? আমরা স্যারদের চোখ দেখে ভয় পেতাম, কিন্তু এখন আপনারটা দেখেও কেন ভয় লাগে বুঝলাম না 🙁
উত্তরঃ এখন ভাবটা কী অপবিত্র না কী হিংস্র? খুবই ইন্টারেস্টিং, এখন কি আমার চোখ দেখে মনে হয় আমি লাফ দিয়ে ঘাড়ে কামড় দিয়ে ধরে ঘাড়টা মটকে দিব? নাকি আর ডেঞ্জারাস কিছু?
বর্ষণ সরকার ঢাকা।
প্রশ্নঃ স্যার কিশোর আলো আপনার লিখা ছাড়া কেমন যেনো অসম্পূর্ণ লাগে। আবার কোন সংখ্যা থেকে আপনার লিখা পাওয়া যাবে? (যেকোনো বিভাগ হলেই হবে)
উত্তরঃ আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে।সবাই কি আর সবকিছু করতে পারে?
Nazia Naziarah@buffalo.edu
প্রশ্নঃ Professor my parents have been unable to find “Sho te shentu” and “Cranial” that came out this year even though they looked at all the major bookstores in Dhaka. Do you happen to know why? I’m outside of the country right now so there’s not much I can do since the books aren’t sold here. Please let me know where they can find them for sure or any alternative for me. Thanks!!! –
উত্তরঃ রকমারী ডট কমে চেষ্টা করে দেখা যায়।
সোমা রায়, বুয়েট ছাত্রী হল
প্রশ্নঃ আপনার ১৮১টি বইয়ের পিডিএফ ভারসন কি এখানে আপলোড করা যাবে স্যার?
উত্তরঃ ইচ্ছা আছে। আস্তে আস্তে নিশ্চয়ই করে ফেলব।
সায়ন, লন্ডন থেকে
প্রশ্নঃ স্যার, আপনার ফেভারিট সুপারহিরো কে?
উত্তরঃ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
ফারদিন মুস্তাকিম, ধানমন্ডি, ঢাকা।
প্রশ্নঃ স্লামালাইকুম স্যার, আমার একটি প্রশ্ন ছিল প্রতিবিম্ব বা আয়না (reflection) নিয়ে। আমি এখন যে ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি, সেই ঘরের চারপাশে চারটি দেয়াল আছে (ডানে বামে সামনে পিছে মিলিয়ে চারটি দেয়াল)। প্রতিটি দেয়ালে আমি একটি করে আয়না লাগালাম এমন ভাবে যেন, দেয়ালের অংশ আর দেখা যাচ্ছে না, পুরো দেয়াল গুলাই এক একটা আয়না হয়ে গেছে। সেই হিসেবে রুমে এখন আমার চারদিকে বড় বড় চারটি আয়না।আমি যদি এখন রুমের মাঝখানে দাড়াই, চারপাশে প্রতিটি আয়নায় আমার একটি একটি করে মোট চারটি প্রতিবিম্ব হবে। কিন্তু, এখন আমি যদি এভাবে চিন্তা করি যে, আমার ঘরের চারপাশে এখন আর চারটি দেয়াল না, পুরাটা গোল হয়ে একটি দেয়াল হয়ে গেছে এবং সেই হিসেবে পুরাটা এখন একটি আয়না। অর্থাৎ, চারপাশে এখন আর চারটি আলাদা দেয়াল আয়না না, পুরাটা একটি গোল আয়না আমাকে ঘিরে রেখেছে এবং তখন যদি আমি রুমের মাঝখানে গিয়ে দাড়াই, আমার প্রতিবিম্বটি আয়নার কোথায় এবং কিভাবে পড়বে? অগ্রিম ধন্যবাদ স্যার।
উত্তরঃ তোমার প্রশ্নটি খুব সুন্দর। তোমাকে একটু সাহায্য করি, তুমি নিজেই উত্তরটা বের করতে পারবে। আমরা যদি একটা আয়নার সামনে দাড়াই, আয়নাটা যখন লম্ব ভাবে থাকে, তাহলে ঠিক আয়নার পিছনে সমান দুরত্বে আমরা আমদের প্রতিবিম্বটা দেখতে পাব।এখন যদি আয়নাটা গোল হয় তাহলে তুমি যেদিকেই তাকাবে সেদিকেই আয়নাটা তোমা্র সামনে লম্ব, তার মানে সেখানেই পিছনে সমান দুরত্বে তুমি তোমার প্রতিবিম্বটা দেখবে। আরও একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে, প্রতিবিম্বেরও কিন্তু প্রতিবিম্ব হয়, কাজেই শুধু এক সেট প্রতিবিম্ব দেখবে না, প্রতিবিম্ব হবে অসীম সংখ্যক।তুমি যে হুবহুব তোমার সঠিক প্রতিবিম্ব দেখবে তাও কিন্তু নয়!
সুমন,গাইবান্ধা।
প্রশ্নঃ স্যার, ফেসবুক মানেই সময় নষ্ট কেন?
উত্তরঃ তুমি যদি না জানো তাহলে আর জানার দরকার নেই!
তানজিম-উল-ইসলাম,উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী,সেন্ট জোসেফ কলেজ
প্রশ্নঃ স্যার,প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারটার একটা স্থায়ী সমাধান আমি করতে চাই।যেহেতু এত বছরেও সমস্যাটার সমাধান হয়নি,হবে বলে তেমন কোন আশাও নেই।বরং দিনে দিনে সমস্যাটা আরও মহামারী আকার ধারণ করছে।২০১৪ সালে শহীদ মিনারে আপনার ডাকে গিয়েছিলাম এই আশায় যে সমস্যাটার একটা সমাধান হবে এবং আমাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটবে না।এবারও ঘটনাটি ঘটেছে এবং পরীক্ষার সময় আমি অসহায়ের মত তাকিয়ে দেখেছি যে প্রায় সবাই সেই প্রশ্ন দেখে পরীক্ষা দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে।আমি এই কাজটি করতে পারিনি।তাই,আমি পিছিয়ে গেছি।আমি চাই না ভবিষ্যতে কেউ সততার কারণে পিছিয়ে যাক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরে এই সমস্যাটার সমাধানে আমি কাজ করতে ইচ্ছুক।এই সমস্যাটা আমাকে এবং আমার পরিবারকে অত্যন্ত বিচলিত করে।আপনার কাছে এ ব্যাপারে পরামর্শ চাই। আমি ঠিক কিভাবে আগাতে পারি এই সমস্যা সমাধানে? টুনটুনি এই সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্যে কি কি করত?
উত্তরঃ তুমি ঠিকই বলেছ- সমস্যার সমাধাণটা আমাদেরকেই খুঁজে বের করতে হবে। সরকার যেহেতু এই সমস্যাটা স্বীকারই করতে রাজী নয় এর সমাধাণ করবে কেমন করে?কথাটা ভুল বলনি, মনে হয় টুনটুনি্র সাথেই কথা বলতে হবে!(ঠাট্টা করছি, কিন্তু বিষয়টা সিরিয়াস)
‘A’ Sust,Sylhet.
প্রশ্নঃ Hello sir! I am a sust student,a first year girl. I came from dhaka to study here.And you know,the lifestyle here is very very different from dhaka.I feel like I can’t cope up with it at all.I am always sad and depressed about the “too-much-peaceful-life” of this place.This is affecting my studies also.What should I do?? Can you help me out?
উত্তরঃ কী মুশকিল! তুমি আমাদের সাস্টের ছাত্রী, কোথায় তুমি সোজা আমার অফিসে এসে আমার সাথে কথা বলবে, তা না করে তুমি এখানে প্রশ্ন করছ! ইউনিভার্সিটিতে আমরা আছি কেন?
অনুরাধা নন্দী গ্লাসগো যুক্তরাজ্য
প্রশ্নঃ স্যার, সালাম নিবেন। অনেক ধন্যবাদ এই ওয়েবসাইট করার জন্য আর বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জন্য উন্মুক্ত করার জন্য। বিদেশের মাটিতে এটি বাচ্চাদের খুব কাজে আসবে ইতিহাস জানার জন্যে। এখন আমার প্রশ্নে আসি, ফ্রান্সে ক্যাটাকম্বে এত কংকাল কেন রাখা হত? এটি কি ওদের প্রাচীন ঐতিহ্য ছিল, নাকি কোন বিশেষ গোষ্ঠীর পালিত নিয়ম ছিল? ৭০ লক্ষ, বেশ বড় সংখ্যা, তাই ভাবছিলাম।
উত্তরঃ wikipedia তে catacombs of paris লিখে একটা সার্চ দাও, সব কিছু পেয়ে যাবে। আমি যেটুকু বলব তার থেকে অনেক ভাল ভাবে সেখানে বলা আছে।
সাবেরী সাত্তার মগবাজার, ঢাকা
প্রশ্নঃ Hillow Sir, আপনার কাছ থেকে অনুপ্রেরনা পেয়ে আমরা অনেকে লেখালেখির চেষ্টা করি। কিন্তু অনেক সময় অল্প কিছু লেখার পর অনেক সময় সেই গল্পের পরের অংশ আর মেলানো যায় না। এই সমস্যা সমাধানে আপনার পরামর্শ কি?
উত্তরঃ মিলাতেই হবে? (লেখা শুরু করার আগে আমি অনেক সময় নিয়ে চিন্তা করে গল্পটা বানানোর চেষ্টা করি, তাই মিলাতে সমস্যা হয় না।)
প্রশ্নঃ Sir, i have grown up by reading your books. Now i’m a mother of 2 years old Daughter. When ever, i read your writings everytime i go back to my 8 years old time. I feel like me n f babies sitting on grass and you are telling the story to us.
উত্তরঃ সত্যি? কী চমৎকার!
প্রশ্নঃ পড়ালেখায় মন বসেনা। কি করবো স্যার?
উত্তরঃ এই প্রশ্নের উত্তর যদি জানতাম তাহলে আমার ছেলেবেলায় কি সেটা কাজে লাগাতাম না? পড়ালেখায় কার মন বসে বল?
এম.এম.এ. জামান, সহকারী অধ্যাপক, ইইই বিভাগ, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট।
প্রশ্নঃ স্যার, সালাম নিবেন। আমার ছাত্রছাত্রীরা একটি সাহিত্য সাময়িকী বের করেছে। নাম ঘুড়ি। সম্ভবত এটা সিলেটের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে প্রকাশিত প্রথম সাহিত্য পত্রিকা। ওরা আপনাকে সেটার কপি পাঠাতে চায়। ওরা কি পাঠাবে? পাঠালে কি আপনি পড়ে দেখবেন? আর পড়ে দেখলে কি পত্রিকার ভুল-ত্রুটি, ভালো-মন্দ নিয়ে একটা লেখা লিখবেন? ছোটদের জন্যে তৈরী প্ল্যাটফর্ম হলেও সাহস করে প্রশ্ন করে ফেললাম। একটার জায়গায় তিনটা প্রশ্ন করলাম! ছোট থেকে আপনার লেখা পড়ে পড়ে বড় হয়েছি। তাই এখনও আপনার যেকোন লেখা পড়লেই মনেহয় ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছি। এই সাইটে এসেও আপনার লেখা পড়ে তাই আবার ছোট হয়ে গেলাম। আশা করি ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়া এই মানুষটার প্রশ্নের উত্তর দিবেন। আবারও সালাম ও শুভেচ্ছা।
উত্তরঃ অবশ্যই পাঠাতে পারে। আমি চোখ বুলিয়ে দেখব।
শান্তনু, ওরেগন, যুক্তরাষ্ট্র
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষায় একে অপরকে সম্বোধন করার জন্য কি কোন শব্দ আছে? ইংরেজি “হ্যালো” বা “হাই’ এর মত? (আমি বড় হয়েও ছোট সেজে একটা প্রশ্ন করে ফেললাম)
উত্তরঃ এক শব্দ মনে হয় নাই। কার সাথে দেখা হলে আমরা মুখ হাসি হাসি করে বলি, “কী খবর? কেমন আছেন? ভাল? ভাবী ভাল? বাচ্চারা ভাল?” অনেকগুলো শব্দ!
জয়ন্ত সরকার, গাজীপুর ,বাংলাদেশ
প্রশ্নঃ ছোটদের লেখা আমরা যারা বড় তারাও পড়ি ,অপেক্ষায় থাকি আবার নতুন লেখা কবে পাবো,স্যার আমরাও কি ছোট? আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
উত্তরঃ হ্যাঁ, আমরাও আসলে ছোট শুধু ভাণ করি বড় হয়ে গেছি।
প্রশ্নঃ …আমি সবিনয়ে জানতে চাই : “ আপনার এযাবৎ পর্যন্ত সকল প্রকাশনার (বই ও অন্যান্য) নাম, প্রকাশের সময়কাল ও প্রকাশকের নাম প্রাপ্তিস্থানের ঠিকানা সহ একটি তালিকা এই সাইটে স্থান দেওয়া যায় কিনা ? …
উত্তরঃ মনে হচ্ছে তুমি এখনো ওয়েবসাইট পুরোটা দেখ নাই!
আলামিন আহমদ সিলেট
প্রশ্নঃ আপনার লেখা সায়েন্স ফিকশানগুলো আগের মত জটিল হয়না কেন?
উত্তরঃ হুমমম… মনে হচ্ছে কিছু কঠিন ইকুয়েশান ঢুকিয়ে সায়েন্স ফিকশানগুলোকে জটিল করে দিতে হবে।
প্রশ্নঃ স্যার জীবনের কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরে রাখার জন্য আপনি কি করেন ?
উত্তরঃ কঠিন প্রশ্ন! আলাদা করে কী আর কিছু করি? দাঁতে দাঁত চেপে সময়টা পার করার চেষ্টা করি। ভবিষ্যতে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে নিজেকে সেটা বুঝাই, শেষ পর্যন্ত একদিন কঠিন সময়টা সত্যি সত্যি পারও হয়ে যায়।
আকাশ কোনো এক সরকারি মেডিকেল কলেজ
প্রশ্নঃ… আজকে খুব হতাশার একটা কথা লিখব।আমি দেশের একটা স্বনামধন্য মেডিকেল কলেজে পড়ি। এখানে আসার পর থেকেই দেখছি বন্ধুবান্ধবরা রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছে। তার বিনিময়ে ভাল রুমে পাচ্ছে, হলে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। আর আমরা যারা যোগ দিই নি … স্কুল- কলেজ জীবনে খুবই আদর্শবাদী ছিলাম। পৃথিবীটাকে আপনার উপ্যন্যাসগুলোর মত ভাবতাম। ভাবতাম ভালোরাই শেষ পর্যন্ত জিতে যাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে বাস্তবতায় খালি মন্দের জয়জয়কার দেখি। একটা সময় দেশকে নিয়ে খুব স্বপ্ন দেখতাম। আপনার লেখাগুলো পড়ে মনে হত আমাদের প্রজন্মই অনেক কিছু করে ফেলবে। কিন্তু অনেক কিছু তো দূরের কথা সামান্য কিছু করার সুযোগ পাওয়া ও মুস্কিল। ‘সন্ধানী’ বা মেডিসিন ক্ললাব করতে হলে ও পলিটিক্স এ যোগ দিতে হয়। … আমি কি করব স্যার? অনেক হতাশা থেকে আপনাকে কথাগুলো লিখলাম।
উত্তরঃ তোমার অনেক বড় ইমেইলের অল্প একটুখানি এখানে তুলেছি, পুরোটা পড়ে অন্যেরাও যদি লম্বা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে শুরু করে সেই ভয়ে! শোনো, তোমাকে একটা কথা বলি, জীবনটাই আসলে এরকম, শুধু এখানে না, সারা পৃথিবীতে। আমি যখন পিছনে তাকিয়ে আমার জীবনটা দেখি তখন দেখি সেখানে শুধু ব্যার্থতা আর ব্যার্থতা। তাই বলে হাল ছেড়ে হতাশ হয়ে বসে থাকলে কী হবে? স্কুল- কলেজ জীবনে আদর্শবাদী ছিলে, এখনো থাকতে হবে। চিন্তা করো, তুমি যখন ডাক্তার হবে তখন ইচ্ছা করলে মানুষের জন্যে কতকিছু করতে পারবে।অন্যেরা কী পারবে? তোমার পুরো জীবন সামনে, সেখানে কী করবে সেটা নিয়ে স্বপ্ন দেখে দেখে চারপাশের কুৎসিত বিষয় গুলোর কথা ভুলে যাও! যারা অন্যায় করে তাদেরকে হিংসা করো না, করুণা করো।বিশ্বাস করো জীবনটা আসলে খুবই মজার। বড় কথা কোনো কিছু পাওয়াটা জীবন না, পাওয়ার চেষ্টা করে যাওয়া হচ্ছে জীবন।(সব্বোনাশ কতো বড় বড় কথা বলে ফেললাম!)
সুমনা শারমিন ব্রিটিশ স্কুল অফ ‘ল’ ঢাকা।
প্রশ্নঃ কি যে খুশি হয়েছি স্যার বলে বুঝাতে পারব না। আমি যখন ছোট ছিলাম তখনই আপনার সব গুলো বই আমার পড়া শেষ(বানিয়ে বলছি না সত্যি) এখন বড় হয়েছি তাই একটু প্লিজ বড়দের জন্যও গল্প লিখবেন।
উত্তরঃ আমিও মাঝে মাঝে বড়দের জন্যে লিখতে চাই, কিন্তু ছোটরা আমাকে হুমকি দিয়ে রেখেছে, আমি যদি বড়দের জন্যে লিখি তাহলে তারা নাকী আমার ‘ঠ্যাং’ ভেঙ্গে দিবে!
নাম নেই
প্রশ্নঃ এইটা প্রশ্ন না স্যার, এইটা ধন্যবাদ। চমৎকার উদ্যেগ। উত্তর দেবারও প্রয়োজন নেই। ভাল থাকবেন স্যার, খুব ভাল, আপনি ভাল থাকলে আমরাও ভাল থাকব 🙂
উত্তরঃ থ্যাঙ্কু! যেহেতু উত্তর দেয়ার প্রয়োজন নেই তাই উত্তর দিচ্ছি না!
টুপুর,…
প্রশ্নঃ.স্যার, আপনি কেমন আছেন? আপনি কেমন থাকেন সাধারণ দিনগুলায়? লেখক আর শিক্ষক পরিচয়ের বাইরের আপনাকে নিয়ে কিছু বলবেন?
উত্তরঃ ভালো। খুব ভালো। আমার আরো পরিচয় আছে নাকী? কোনটা?
Sourabh..
প্রশ্নঃ হি হি স্যার । আপনার ওয়েবসাইটের নাম কে দিয়েছে ?
উত্তরঃ আমি জানি তোমরা এই নামটা নিয়ে হাসাহাসি করবে- আর কিছু পেলাম না, আমি কী করব?
হুমায়ূন কবির ডা. ফজলে রাব্বী হল ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
প্রশ্নঃ স্যার, আপনি, আপনারা যারা আমাদের নিয়ে চিন্তা করেন, দেশ নিয়ে চিন্তা করেন, শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করেন তাঁরা কেউ কেন মেডিকেল শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করেন না। মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থাটা খুবই সেকেলে আর বাজে। আধুনিক পৃথিবী থেকে এখনো হাজার বছর পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের মেডিকেল ব্যাবস্থা। আপনি যদি ১০০ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীকেকে জিগ্যেস করেন, কেমন লাগছে তোমার মেডিকেল লাইফ? আমার ধারণা, ৯০ জনই বলবে, এই দোজখ থেকে আমায় রক্ষা কর। এই শিক্ষা ব্যবস্থাটা একদমই স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি নয়। যদি বলেন, মেডিকেল কলেজে পড়, মানুষের জীবন বাঁচাবে তোমরা, কিঞ্চিত কষ্ট তো সহ্য করতেই হবে। আমি বিশ্বাস করব না। কেননা, আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীর সবথেকে কঠিন বিষয়টিকেও আনন্দময় এবং আকর্ষনীয় করে তোলা যায় কৌশল প্রয়োগ করে। কাউকেই কোনদিন মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে টু-শব্দটি করতে দেখিনি। মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা এতো অবহেলিত কেন।
উত্তরঃ আমি তো মেডিকেল শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে কিছুই জানিনা, যেটা জানিনা সেটা নিয়ে কেমন করে লিখি? এটা তো অনধিকার চর্চা হয়ে যাবে। তোমার পুরো ক্ষোভটুকু তুলে দিলাম, অন্যেরা পড়ুক।
প্রশ্নঃ হুমায়ুন আহমেদ আর আপনার পরে বাংলাদেশে সেই মাপের জনপ্রিয় লেখক উঠে আসছে না কেন?
উত্তরঃ আমাদের দেশে জনপ্রিয় শব্দটাকে গালি হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। কোন লেখক সখ করে গালি খেতে যাবে?
বাবান, রামপুরা ঢাকা
প্রশ্নঃ বুড়া হলে চুল, দাড়ি, মোচ পেকে যায় কেন?
উত্তরঃ বয়স হলে চুল দাড়ির গোড়ায় যে রঙ এর ভাণ্ড (keratin) চুল দাড়িকে রঙ করে সেটি শেষ হয়ে যায় তখন চুল দাড়িকে আর রঙ করতে পারে না বলে চুল দাড়ির আসল রঙটি দেখা যেতে শুরু করে, তুমি যেটকে বলছ পেকে যায়!
দিপু সরকার
প্রশ্নঃ আপনার গণিত আর বিজ্ঞানের বই অনেকদিন ধরে পাচ্ছি না কেন?
উত্তরঃ পাবে। ছোটদের জন্যে একটা ক্যালকুলাস বই লিখেছি। ছাপা হচ্ছে।
প্রাঞ্জল চক্রবর্ত্তী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা
প্রশ্নঃ …স্যার, আমার বাবা মা ভাবত গল্পের বই পড়লে আমার পড়া নষ্ট হবে, তাই গল্পের বই পড়তে দিত না। আপনার বইও পড়িনি। আপনার লেখার সাথে পরিচয় প্রথম আলোর সাধাসিধে কথা দিয়ে। …
উত্তরঃ তুমি যখন বাবা হবে তখন তোমার ছেলেমায়েদের বই পড়তে দিও!বই পড়ে কখনো লেখাপড়া নষ্ট হয় না!
মুকুল শাবিপ্রবি সিএসই, সিলেট
প্রশ্নঃ এটা কোন প্রশ্ন নয় স্যার, একটা ভয় কাজ করতেছে IS জংগীদের নিয়ে। দেশে বিদেশে একের পর এক হত্যাকান্ড দেখে মনটা দিনকে দিন আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই বাজে দিনগুলো কি কখনো শেষ হবে না? নাকি দিনদিন আরো বাড়তে থাকবে? কিচ্ছু জানি না, বুঝতেছি ও না স্যার – একটু আশার বাণী শোনান
উত্তরঃ তুমি আমাদের শাবিপ্রবির ছাত্র, তুমি সরাসরি আমার কাছে না এসে এখানে প্রশ্ন করছ, ব্যাপারটা কী? অবশ্যই এই দিন শেষ হবে, আমাদের দেশ তো আর পাকিস্তান না!
নিশম সরকার, পঞ্চম বর্ষ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
প্রশ্নঃ আমার বয়স প্রায় ২৫, খুব সিরিয়াস ভংগীতে লেখালেখি করার চেষ্টা করি। কিন্তু আপনার লেখা পড়লেই কিংবা আপনাকে দেখলেই আমার স্কুলের সময়গুলোতে যেমন অস্থিরবোধ করতাম, ছুটোছুটি করতে চাইতাম, এখনও অমন লাগে। এর কারণ কি?
উত্তরঃ তুমি (প্রায়) ডাক্তার মানুষ, এই রোগটার নাম তো তোমাকেই বলতে হবে!
বলেছে দিমিত্রি; লিখে দিয়েছে দিমিত্রির মা ঢাকা
প্রশ্নঃ দাদু, তোমার সাথে কবে ছবি তুলবো?
উত্তরঃ যেদিন তোমার সাথে প্রথম দেখা হবে সেদিন!ঠিক আছে?
প্রশ্নঃ স্যার, আপনি কি কলপ দিয়ে চুল কালো করার চেষ্টা করেছেন কখনো? না করে থাকলে কেন?
উত্তরঃ এতো কষ্ট করে তৈরী করা চুলের এতো সুন্দর সাদা রং আমি কলপ দিয়ে নষ্ট করব? কী বলছ তুমি?
সামিয়া হোসেন, ঠিকানাহীন।
প্রশ্নঃ প্রশ্ন আপাতত নাই, কেবল ভালবাসা জানিয়ে গেলাম। আপনাদের পরিবারের সকলের জন্য ভালবাসা।
উত্তরঃ প্রশ্ন যেহেতু নাই, আমার উত্তরও নাই, তবে অবশ্যই প্রচুর ভালোবাসা আছে!
Masum Chowdhury Toronto, Canada.
প্রশ্নঃ I have a question to you that I was wondering to ask you directly, so dont want to miss this opportunity to ask you here. Sir, why do you think this young generation is being involved with the extrimists like ISIS? What can the parents and teachers can do to stop it?
উত্তরঃ পুরো জেনারেশনকে দায়ী করা মনে হয় ঠিক হবে না। খুবই ছোট একটা গ্রুপ এই কাজগুলো করেছে। কেমন করে তারা এরকম ভয়ংকর নৃশংস হতে পারল আমার কাছে তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
নাম নেই,
প্রশ্নঃ Shudhu ekta golpo?
উত্তরঃ এই ছেলে বলে কী? ৩৩ পৃষ্ঠার এতো বড় একটা গল্পতেও মন ভরে না? সর্বনাশ!
জাকি, ভার্জিনিয়া:
প্রশ্নঃ স্যার, আপনার গল্পের ছবি কে আঁকে? আমি আঁকতে চাই। আমাকে গল্প পোস্ট করার একদিন আগে পাঠালে আমি এঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেবো…
উত্তরঃ থ্যাঙ্কু! আমার গল্পের ছবি আপাতত আমিই আঁকছি।
সাবিত হাসনাত ( ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় )
প্রশ্নঃ স্যার , মুক্তিযুদ্ধ কি এটা যদি একটা বাচ্চাকে আমার বুঝাতে হয় , তাহলে সেটা বুঝানোর সবচেয়ে ভালো উপায়টা কি? (আমি নিজেও খুব ভালো বুঝি এমনটা বোধহয় না :/ তবে মোটামুটি অনুভব করতে বোধহয় করতে পারি )
উত্তরঃ বাচ্চাদের জন্যে লেখা মুক্তিযুদ্ধের বই আছে, সেগুলো দিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পার। আমিও একটা লেখার চেষ্টা করেছিলাম, সেই বইটির pdf এই সাইটেই আছে।
শান্তনু মোহাম্মদপুর, ঢাকা:
প্রশ্নঃ স্যার, আমি খেতে অনেক পছন্দ করি তাও আবার অনেক জায়গায় এবং ঐতিহ্যবাহী জায়গায়। কিন্তু মা বাবা নিষেধ করে। বলে দিন দিন নাকি আমি আরো মোটা হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমার যুক্তি হল, একটা বয়সে এমনিতেই তো খাওয়া কন্ট্রোল করতে হবে, সুতরাং এখন একদম আশ মিটিয়ে খাওয়াই উচিত। আমার যুক্তি কি ভুল?
উত্তরঃ তোমার ওজন এখন কতো কেজি না জেনে উত্তর দেয়াটা কী ঠিক হবে?
সায়েম হবিগন্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়:
প্রশ্নঃ … সুন্দরবন ধংস হয়ে যাবে শুনছি, যদি হয় তাহলে রয়েল বেঙ্গল টাইগার থাকবে না। তাহলে আমাদের জাতীয় পশু কী হবে?
উত্তরঃ অবশ্যিই রয়েল বেঙ্গল টাইগার থাকবে, আমাদের ক্রিকেট টিম আছে না? তারাই আমাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগার!
নামঃ হতাশাবাদী ঠিকানাঃ ১৯৭১
প্রশ্নঃ …স্যার আসলেই কি আমরা সামনের দিনগুলোতে আলো দেখতে পারবো? সামনে কি আমাদের মেয়েরা সূর্যরের তাপ পোহাতে পারবে নাকি উনুনের?
উত্তরঃ কিছু একটা ভুল হয়েছে, যার ঠিকানা ১৯৭১, তার নাম কখনো হতাশাবাদী হতে পারে না! অবশ্যই সামনের দিনগুলোতে আলো দেখতে পারবে!
তন্ময় জি জি ই, প্রথম ব্যাচ, শাবিপ্রবি:
প্রশ্নঃ …যেমন আমরা একবার আপনার কাছে টেলিস্কোপ কিভাবে বানাতে হবে, কি কি ঝামেলা পার করতে হবে সে সংক্রান্ত ক্লাস করেছিলাম। মনে অনেক প্রশ্ন ছিল আর আপনি যখন শুরু করলেন একটার পর একটা প্রশ্নের উত্তর প্রশ্ন না করেও আমরা পেয়ে গেলাম, প্রশ্ন করার আর দরকারই পড়ল না। তবে স্যার একটা প্রশ্ন থাকবেআজকে, আমার মনে হয় অনেকেই সেটা জানতে চাইবে আপনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেয়ার পর কোথায় থাকবেন?
উত্তরঃ এই মুহূর্তে ইচ্ছা একটা বড় নৌকা কিনে, সেই নৌকায় করে বাংলাদেশের নদীতে নদীতে ঘুরে বেড়ানো! সেখানেই থাকা সেখানেই খাওয়া সেখানেই ঘুম! কী মনে হয় তোমার, পারব করতে?
Nisa Binta Kabir Stonybrook, NY:
প্রশ্নঃ …. Dear Sir, thank you for your initiative to make us happy. … My question is, how do you get so much enthusiasm to do lots of work simultaneously? Being your student, I am very lethargic person. Tell us about your secret power :).
উত্তরঃ নিসা, তুমি মোটেও lethargic নও! সত্যি যদি তুমি lethargic হয়ে থাক, তাহলে এই সাইটটার একেবারে প্রথম প্রশ্নটা তুমি কীভাবে করলে?