১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রশ্ন: প্রাণপ্রিয় স্যার!! বহুদিন পর প্রশ্ন করার সুযোগ পেলাম।আপনি কেমন আছেন? আমার আসল প্রশ্ন,আপনি এত কিছু একসাথে করেন কিভাবে? আপনার দিন কি ২৪ ঘন্টার নাকি আরো বেশি? আমার কৌতূহলী মন জানতে চায়।
উত্তর: তুমি ঠিকই অনুমান করেছ- আমার দিন ২৪ ঘন্টা থেকে বেশি! আমি যেহেতু টেলিভিশন দেখিনা, ফেসবুক করিনা, তাই প্রতিদিন আমি কয়েক ঘন্টা বাড়তি সময় পাই!
প্রশ্ন: আপনি কি নিজের জন্য কখনো সময় পান? সময় পেলে কি করেন?
উত্তর: ঘুমাই।
বাংলাদেশ নামক একটি স্বর্গের পিচ্চি মেয়ে অধিবাসী।
প্রশ্ন: স্যার,নার্ড হওয়ার কারনে এবং প্রানীদের অধিকারে বিশ্বাস করে ভেজেটারিয়ান হওয়ার কারনে আমি স্কুলে প্রায় bullied হই। (ভেজেটারিয়ান হওয়ায় মনে করবেন না আমি হিন্দু।ধর্ম আমাকে কিছু করাতে পারে না।আমি বিবেকে বিশ্বাসী) bullied হওয়া থেকে মুক্তি পেতে হলে কি করব?
উত্তর: সাধারণ মানুষ থেকে একটু অন্যরকম হলে তাকে নানা রকম যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়, তাই তোমাকেও করতে হচ্ছে। তোমাকে যদি শুধু কথা বলে bully করে তাহলে কোনো পাত্তা দিও না।যদি তার থেকে বেশি হয় তাহলে কারাটে ক্লাশে ভর্ত্তি হয়ে যাও, তারপর …
আবু সুফিয়ান শুভ,কুষ্টিয়া
প্রশ্ন: স্যার,আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আফসোস হল আমি ছোটবেলায় তেমন গল্পের বই পড়িনি।কিন্তু এখন আমার বই পড়তে খুব ভাল লাগে।আমার বোন ক্লাস ৩ তে পড়ে।আমি চাই ও যেন আমার মত না হয়,প্রচুর বই পড়তে বলি ওকে।কিন্তু আব্বু আম্মু এটা পছন্দ করেনা।সারাদিন ওকে ক্লাসের বই পড়ায়।এখন আমি কী করব স্যার?আমার বোনও কি আমার মত বই পড়া থেকে বঞ্চিত হবে?
উত্তর: তোমার আব্বু আম্মুকে বল আমি আমার জীবনে এখন পর্যন্ত একটি ছেলে বা মেয়েকেও দেখিনি গল্প বই পড়ার কারনে যার লেখাপড়ার ক্ষতি হয়েছে। উল্টোটা বরং সত্যি, যেসব ছেলে বা মেয়ে নিয়মিত গল্প বই পড়ে তারা শুধু যে লেখাপড়ায় ভালো হয় তা নয়, তারা সবকিছুতে ভালো হয়। ভালো মানুষ হওয়ার সবচেয়ে সোজা উপায় হচ্ছে বেশি করে বই পড়া।
খালেদ হাসান, দশম শ্রেণি, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার, কবে আমরা পরীক্ষায় নাম্বারের জন্য, A+ পাওয়ার জন্য পড়ালেখা না করে কিছু শিখার জন্য, জানার জন্য, আনন্দের জন্য পড়ালেখা করব??
উত্তর: এই মুহুর্ত্ত থেকে। অন্যদের জন্যে অপেক্ষা না করে তুমি শুরু করে দাও।
রেদওয়ান, ঢাকা..(কলেজ-১ম বর্ষ)
প্রশ্ন: ধরুন, আমি একটা বিল্ডিং এর ৫ তলায় আছি..আপনি আছেন ১০ তলায়..বিল্ডিং এর নিচে একটা গাড়ি রাখা আছে..
গাড়িটা কে আগে দেখবে? আমি না আপনি? থিউরিটিকালি আমি আগে দেখার কথা..কারণ, আমি গাড়ির বেশি কাছে আছি- কাজেই আলো গাড়ি থেকে রিফ্লেক্ট হয় আগে আমার চোখে আসবে, দেন আপনার চোখে….এই আগে-পড়ের পার্থক্য যদিও খুবই খুবই কম…..
উত্তর: হ্যাঁ। সূর্য যদি কোনো কারনে ধবংস হয়ে যায় আমরা সেটি জানতে পারব আট মিনিট পরে, তার কারণ সূর্য পৃথিবীতে থেকে ৯৩ মিলিওন মাইল দূরে, ১,৮৬,০০০ মাইল বেগে আলোর পৃথিবীতে এই দূরতব আসতে আট মিনিট সময় লাগে। এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি ২.৫ মিলিওন আলোকবর্ষ দূরে।তার অর্থ আমরা যখন এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির দিকে তাকাই আমরা এখনকার এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সিকে দেখিনা, আমরা ২.৫ মিলিওন বছর আগের এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সিকে দেখি। রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা যখন নক্ষত্রগুলোকে দেখি আসলে আমরা অতীতকে দেখতে পারি।
নামটা লিখলাম না… ।বয়স:১২।শ্রেণি:?।রোল:?……mohammadpur, dhaka, Bangladesh, earth, galaxy, universe
প্রশ্ন: …… আমার প্রশ্ন অনেক।বলা শুরু করলে শেষ করা যাবে না।তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে।আপনার এই সৃজনশীল প্রশ্ন ব্যাপারতা ভাল না।ছেলেদের পাশের হার এর চেয়ে মেয়দের পাশের হার কম কেন? মানে আম গত বছর ২০১৫ সালে P.S.C পরীক্ষা দিয়ে ছিলাম।কিন্তু শেখানে আমি Scolaeahip পাইনি।কিন্তু আমার একজন classmate মেয়ে হয়ায় কেন সাধারণে scolarship পেল কিন্তু আমি পেলাম না?
এটা ত ঠিক না।মেয়ে হলে কম নাম্বারেই কেন scolarship পাবে? উল্টা বাংলায় আমি অর চেয়ে বেশি পেয়েছি।এটা কন দেশের ন্যায়?
আবার গ্রামে কেন পাশের হার কম?তার মানে কি যে গ্রামে থাকলে আমি ট্যালেন্টফুলে
scolarship পেতাম? এটা তো থিক না।গ্রামের টা নাহয় বাদ দিলাম।তাই বলে ছেলে ও মেয়দের মধ্যে ত পারথক্য কত্রা উচিত না।সরকার ই তো বলে যে নারী ও পুরুষ এর সমান অধিকার।নারী ও পুরুষ এর মধ্যে পারথক্য করা ঠিক না তাহলে এটা কোথাকার ন্যায়???????????????????????? ……তাই ভর ৪টায় প্রশ্ন পাঠালাম।এখন বাজে রাত ৪ টা ৭।আর হ্যা,প্লিজ প্লিজ পুরা প্রশ্নটা …… একটা comment করার option থাকলে ভাল হত। like deo jeto. ……
প্লিজ পুর প্রশ্নতা তুলেন।প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ!প্লিজ!
please.please.please.please.please.please.please.please.please.please.please
উত্তর: হ্যাঁ, তুমি ঠিকই বলেছ, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কলারশিপের বেলায় ছেলে আর মেয়েদের পার্থক্য করা ঠিক না। সারা পৃথিবীতেই ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনেক বেশী কষ্ট সহ্য করতে হয় তাই মেয়েদেরকে ছেলেদের সমান সমান করার জন্যে তাদেরকে একটু বাড়তি সুযোগ দেয়া হয়ে। আমাদের দেশে মেয়েরা এত ভালো করছে (ফুটবলেও তারা কিরগিজস্তানকে ১০ গোল দিয়ে দেয়) যে কিছুদিন পরে ছেলেদেরকেই মনে হয় বাড়তি সুযোগ দিয়ে মেয়েদের সমান করতে হবে! তুমি যদি কখনো গ্রামের স্কুলে যাও তা হলেই বুঝতে পারবে কেন তাদের পাশের হার কম।
লিখেছ সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি তোমার পছন্দ নয়, কারনটা কি? তুমি কি ঝেড়ে মুখস্ত করে ভালোবাস? আমার মনে হয় না আর কখনো ঝেড়ে মুখস্ত করার প্রশ্নতে ফিরে যাওয়া হবে, সারা পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে না?
এই সাইটটা তৈরী করার পিছনে আমার যে কয়টা কারণ আছে তার একটা হচ্ছে তোমাদের ফেসবুক জাতীয় কালচার থেকে সরে আসার জন্যে সাহায্য করা। ফেসবুক কালচারে সবাই নিজেকে অন্যের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করে। সেখানে কে কতোগুলো লাইক পেয়েছে সেটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। আসলে সেটা মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষজনের কাছ থেকে লাইক পেয়ে খুশী হওয়ার চেষ্টা করলে জীবনের উদ্দেশ্যটা ভুল হয়ে যেতে পারে। আমি তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করি, তোমার সত্যি যদি উত্তরটা জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে তোমার উত্তরটা পেলেই খুশী হওয়ার কথা, কিন্তু তুমি বাংলা আর ইংরেজীতে মোট ২১ বার প্লিজ লিখেছ তোমার পুরো প্রশ্নটা ছাপানোর জন্যে! কেন নিজের প্রশ্ন অন্যদের দেখাতে চাও? পুরোটা ছাপালাম না, শুধু প্রশ্নের অংশটুকু ছাপালাম। যেহেতু গায়ে পড়ে তোমাকে কিছু উপদেশ দিয়েছি তাই তোমার নাম পরিচয়টা দিলাম না, তুমি নিশ্চয়ই বুঝে যাবে, এটা তোমার প্রশ্নের উত্তর।
সব্যসাচী ঠিকানা:জয়পুরহাট
প্রশ্ন: স্যার, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর তপন হাসান চৌধুরী এর পদার্থ ১ম পত্র বইয়ে কেন্দ্রমুখী বল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ও পৃথিবীর ঘূর্নন ও সূর্যের চারপাশে ঘূর্নন সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।সমস্যা হলো সেখানে প্রমান করার জন্য কেন্দ্রমুখী বলের সাথে কেন্দ্রবিমুখী বলের এর অস্তিত্ব এর কথা বলা হয়েছে আবার একই সাথে কল্পনা করতে বলা হয়েছে, কিন্তু এর জন্য কেন্দ্রবিমুখী নামক কাল্পনিক বল কে টানিয়ে প্রমান করা সম্পুর্ন ভুল।যার অস্তিত্ব নেই তাকে দিয়েই প্রমান!!!! এর চেয়ে সাধারন ভেক্টর উপাংশ দ্বারা সাবলীল ভাবে প্রমান করতে পেরেছি ও করাও যায়।তবু কেন এরকম ভুল তথ্য একাডেমিক বই গুলুতে???
উত্তর: একটা বিষয় অনেকভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব। তুমি যেটা পছন্দ কর শুধু সে পদ্ধতিটি সঠিক অন্য সব ভুল এভাবে ভাবা তো ঠিক না!পদার্থ বিজ্ঞানে centrifugal আর centripetal force এর ধারনা তো নুতনও নয়, আজগুবিও নয়!
প্রশ্ন: স্যার ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান গেম খেলেন কি? এই প্রশ্ন দেখে আমি যতদূর জানি অনেক ফ্যান হেসে ঊঠবে।
উত্তর: ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান গেমটা কি জিনিষ? (সবাই কী হেসে উঠেছে?)
সবুজ ঠিকানা:জয়পুরহাট সদর
প্রশ্ন: স্যার আদাব, স্যার প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের প্রাণ বা জীবনের কি সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা আছে? উদাহরণ :মৃত শরীরে এমন কি নেই যা জীবিত শরীরে আছে? হ্যা বলবেন যে ব্লাড প্রেসার,স্পন্দন আরো অনেক ফ্যাক্ট,কিন্তু প্রান বা জীবনের সংজ্ঞা টা কি? ধর্ম গ্রন্ত ঘাটলে আত্মা নামক কিছু পাওয়া যায় যা এখন প্রমান না শুধুই দর্শন হয়ে আছে।
উত্তর: আমি জীববিজ্ঞানের মানুষ নই, তাই খুব গুছিয়ে তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব বলে মনে হয় না। যেটুকু কমন সেন্স হিসেবে জানি সেটা বলতে পারি। আমাদের শরীর অসংখ্য কোষ দিয়ে তৈরী। এই কোষগুলো বেঁচে থাকতে হয়, তার জন্যে সেখানে nutrient, অক্সিজেন, হরমোন আরো অনেক জরুরী রসদ পৌছাতে হয়।কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য ধরনের বর্জ্য সরিয়ে নিতে হয় (রক্ত প্রবাহ দিয়ে সেগুলো করা হয়)। কাজেই যদি শারীরিক প্রক্রিয়াগুলো বন্ধ হয়ে যায়, কোষগুলো বেঁচে থাকতে পারে না। শরীরের কোষগুলো বেঁচে না থাকলে মানুষকে আমরা মৃত বলি। শরীরটা তখন দ্রুত শীতল হয়ে যায়। বাইরের ব্যাক্টেরিয়া শরীরের কোষগুলোকে আক্রমন করে, আমরা বলি মৃতদেহ পচতে শুরু করেছে।
হুমায়ুনের হলুদ না সবুজ হিমু
প্রশ্ন: স্যার আপনি মিসির আলী আর হিমু এর মধ্যে কোন চরিত্রকে বেশি পছন্দ করেন?
উত্তর: দুটোই।
নাম লিখললে কেস খাবো,, তাই নাম নাই
প্রশ্ন: স্যার আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা এমনি হাস্যকর।তার একটা উদাহরণ :ক্লাস ১/২ এ পড়ি সূর্য পূর্ব দিকে ঊঠে আর পশ্চিম এ অস্ত যায়। আবার ৫/৬ এর দিকে এসে পড়া চেঞ্জ হয়, সূর্য ওঠেও না ডুবেও না আসলে পৃথিবীই আহ্নিক গতির জন্য উলটে যায়। কেন এরকম? এটা কি পরিবর্তন যোগ্য নয়?
উত্তর: তুমি কি লক্ষ্য করেছ, ছোটো থাকতে বলে 5+3=8, কয়দিন পরে বলে 2×4=8, তারপর বলে 2^3=8, আরো কিছুদিন পরে বলে log (10,000,000)=8, তারপর একসময় বলতে শুরু করে (-1+1.732i)^3=8 কিংবা (-1, -1.732i)^3 =8 তুমি কি চাও ক্লাশ ওয়ান টু’তেই এই সবগুলো উত্তর দিয়ে দেয়া হোক? (নিজের নাম পরিচয় দিয়ে লিখতে হয়, নাম পরিচয় না দিলে বক্তব্যের দায়িত্ব নেয়া হয় না। দায়িত্বহীন বক্তব্যকে কেউ গুরুত্ব দিতে চায় না।)
প্রশ্ন: আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।ফার্স্ট ইয়ারে একটুও লেখাপড়া করি নাই,সারাদিন গল্পের বই পড়ে কাটিয়ে দিয়েছি।কিন্তু এখন সবসময় টেনশনে থাকি।অ্যাডমিশনের বাকি আছে মাত্র একবছর ।ভয় লাগে,ভালো কোথাও যদি চান্স না পাই!!সমস্যা হলো ,গল্পের বই ছাড়া অন্য কিছু পড়তে উৎসাহ পাই না,বইয়ের পড়া পড়তে লাগলেই গল্পের বই পড়তে ইচ্ছে করে।স্যার,এই কম সময়ে(আমার হাতে মোটামুটি একবছর আছে) কি ভালো কিছু করা সম্ভব?কিভাবে সামনে এগোব তা নিয়ে একটু সাহায্য করবেন,প্লীজ?
উত্তর: এক বছর অনেক সময়। কেউ রাজী থাকলে এই একবছরে একজনকে পুরো আন্ডারগ্রেজুয়েট সিলেবাস শিখিয়ে দেয়া সম্ভব। এখন তুমি কি এই সময়টা ব্যবহার করবে নাকি দুশ্চিন্তা করে করে সময়টা কাটিয়ে দেবে সেই সিদ্ধান্তটা তোমাকে নিতে হবে। (বই পত্র নিয়ে বসে যাও)
আদৃতা, শাবিপ্রবি।
প্রশ্ন: আপনার গল্প টাইপ করে দেয় কে? জানিয়ে রাখি, বানান ভুল থাকে কিন্তু অনেক! যে টাইপ করে তাকে একটু বকা দিয়ে দেবেন। ইয়ে, আপনি নিজে করেন না তো? 😛
ভাল থাকবেন।ভালোবাসা রইল।
উত্তর: টাইপে সমস্যা নেই, ইউনিকোডে পালটে নেয়ার সময় বড়তি অক্ষর ঢুকে গিয়েছিল, যেটা আমি লক্ষ্য করিনি!
ফাতিন ইসরাক, রংপুর
প্রশ্ন: স্যার আমি যদি কখনও বই ছাপাই। আপনাকে কি সৌজন্য কপি দিতে পারবো? এটা আমার আবদার স্যার♥…
উত্তর: যদি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে না ছাপাও, প্রকাশক তার প্রকাশনীর জন্যে ছাপায়, তাহলে সৌজন্য কপি দিও, আমি খুব খুশি হয়ে নেব।
লামিয়া,ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার,আপনার ছাত্রজীবনে পড়া লেখা করতে কেমন লাগত? আমার খুব খারাপ লাগে… কিন্তু আবার আপনার মত হতেও ইচ্ছে করে।
উত্তর: তোমার কি ধারনা ছাত্র জীবনে আমার পড়তে ভালো লাগত? কক্ষনো না। ছাত্র জীবনে পড়া লেখা করতে ভালোবাসে এরকম কারো সাথে আমার এখনো দেখা হয় নাই। হবে বলে মনে হয় না।
প্রশ্ন: স্যার , আপনি কি হ্যারি পটার সিরিজটা পড়েছেন??? পড়লে কেমন লেগেছে? না পড়লে কেন পড়া হয়নি? ভবিষ্যতে কি কখনও পড়ার ইচ্ছা আছে?
উত্তর: শুধু প্রথমটা পড়েছি। পড়ার সময় থাকলে আজকাল অন্য ধরনের বই পড়তে বেশি ভালো লাগে।
ফাতিমা-তুজ-জোহরা (ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ)
প্রশ্ন: প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রশ্নপাতা খুলে দেওয়ার জন্য, এবং আমার দ্বিতীয় চিঠিটিরও চমৎকার উত্তর দেওয়ার জন্য। আমার লেখা যথেষ্ট গোছালো নয় বলে হয়তো দুটি দীর্ঘ চিঠিতেও নিজের আপত্তির জায়গাটি ঠিক পরিষ্কার করতে সক্ষম হইনি। আশা করি এই টপিকে আপাতত এটিই আমার শেষ প্রশ্ন হবে। আমার জিজ্ঞাসাকে মোটামুটি দুটি পয়েন্টে ভাগ করা যায় :
… সমাজে লেখককে কি সুযোগ দেওয়া উচিৎ নয় যে কোনো পূজনীয় ব্যক্তির কট্টর সমালোচনা করে প্রচলিত বিশ্বাসের বিপরীতে বিবেককে নাড়া দেওয়ার, সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুভূতির খড়গ উপেক্ষা করেই?
…… যদি বইটির লেখনশৈলী আপনার দৃষ্টিতে চরম আপত্তিকর মনেই হয়, এর বিরোধিতা করার কি ওটা উপযুক্ত সময় ছিল?
আপনি ভালো থাকবেন, স্যার! যতটুকু পারেন, সাবধানে থাকবেন। যতকিছুই বলি, দিনশেষে আপনাকে নিয়েই কিন্তু দুশ্চিন্তা সবচে’ বেশি করি! ধর্মানুভূতির ধোঁয়া তুলে আপনাকেও আক্রমণ করতে মুখিয়ে আছে ওরা, সে নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়। আপনার কিছু হলে সত্যি মরে যাব, স্যার! আমার কোনো বাক্য যদি আপনাকে এতোটুকু আহত করে থাকে, আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দেবেন। সাতশো কোটি মানুষের পৃথিবীতে আপনার চেয়ে বেশি কাউকেই আমি ভালোবাসি না।
উত্তর: মনে হচ্ছে তোমার মনের ভিতর একটা সুনির্দিষ্ট উত্তর আছে এবং আমার মুখ থেকে সেই উওরটা না শোনা পর্যন্ত তুমি শান্তি পাচ্ছ না! এটা যেহেতু ছোটদের একটা ওয়েব সাইট এট সেভাবেই থাকুক, তুমি বরং আমাকে একটা ইমেইল করো! তোমাকে খুশি করতে পারব কিনা জানি না কিন্তু উত্তর দেব। সাতশো কোটি মানুষের পৃথিবীতে তুমি আমাকে সবচেয়ে ভালোবাস শুনে আমার নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। আমি তোমাদের জন্যে কী এমন করেছি যে তোমরা আমাকে এত ভালোবাস?
রেদওয়ান, ঢাকা..
প্রশ্ন: ২টা ট্রেন পাশাপাশি চলছে..জদি-
১) ২টা ট্রেনের বেগ একই হয়- তাহলে আমি যেই ট্রেনেই থাকি না কেনো- অপর ট্রেনকে স্থির দেখবো..
২) আমার ট্রেনের বেগ তূলনামূলক বেশি হলে, অপর ট্রেনকে পেছনে যেতে দেখবো..
৩) আমার ট্রেনের বেগ কম হলে, পাশের ট্রেনকে সামনে যেতে দেখবো..
এখন ট্রেনের যায়গায় যদি আলোর বেগ কল্পনা করি- তাহলে কি দাঁড়াবে?
আমার বেগ আলোর সমান হলে (ধরে নেই) আলো স্থির দেখবো? এর অর্থ কি? আর আলোর চেয়ে বেশি বেগ হলে আলোকে পেছনে যেতে দেখবো? 😮
উত্তর: ধরা যাক একটা ট্রেন v1 বেগ যাচ্ছে, তার উপর একজন মানুষ v2 বেগে দৌড়ে যাচ্ছে, বাইরে থেকে মনে হবে মানুষটার বেগ v=v1+v2 কিন্তু আসলে রিলেটিভিটি বিবেচনা করলে তার বেগ v=(v1+v2)/(1+v1xv2/c^2)। আমরা সেটা টের পাই না কারন আমাদের দৈনন্দিন বেগ আলোর বেগ c থেকে অনেক কম। এটা ব্যবহার করে তুমি তোমার হিসেব পত্র কর, দেখবে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তুমি যতই চেষ্টা কর, মোট বেগ কখনো আলোর বেগ থেকে বাড়াতে পারবে না। আমার কথা বিশ্বাস না করলে ধরে নাও ট্রেনের বেগ 0.75c আর মানুষটা দৌড়ে যাছে 0.75c বেগে, দুটো মিলে হওয়ার কথা 0.75c+0.75c=1.5c , কিন্তূ রিলেটিভিটি বিবেচনায় রেখে হিসেব করে দেখ, মোট বেগ c থেকে কম হবে!
সাবেরী সাত্তার মগবাজার, ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার বাইরের বিভিন্ন লেখকদের অনুবাদ বই আমরা পড়ি। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড, জুলভার্ন ইত্যাদি। আমাদের দেশের লেখকদের বই তেমনভাবে অনুবাদ হয় না কেন?? ইন্টারন্যাশনাল পাবলিসার্স বাংলা বই অনুবাদের প্রতি কি তেমন আগ্রহ দেখায় না?
উত্তর: মনে হয় দেখায় না। দেখানো উচিত, যদি দেখাতো তাহলে আমাদের বাংলা সাহিত্যে আরো নোবেল পুরস্কার হতো। (মজার ব্যাপার হচ্ছে কীভাবে কিভাবে জানি ছেলেমেয়েদের জন্যে লেখা আমার একটা বইয়ের ইংরেজি অনুবাদ Indian Penguin থেকে বের হয়েছে!)
রাফিদ ইজতেহাদ (আপনার অঘোষিত এসিস্ট্যান্ট), কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন: স্যার, প্রশ্নের পেজটা আবার খুলে দেওয়ার জন্য অসীমসংখ্যক ধন্যবাদ! *আপনার প্রায় সব ছবিতেই দেখি আপনি চশমা নাকের গোড়ায় নিয়েছেন এবং চশমার বাইরে দিয়ে দেখছেন (আপনার এমন অসাধারণ ভঙ্গি অনেকবার নকল করার চেষ্টা করেছি, পারিনি)। এথেকে আমি একটু আন্দাজ করেছি যে আপনার নিশ্চয়ই কাছের জিনিস দেখতে সমস্যা হয়, দূরের না। মানে আপনার চশমার ক্ষমতা ধনাত্বক। আমার আন্দাজটা কী সঠিক?
উত্তর: হান্ড্রেড পার্সেন্ট সঠিক! ভেরি গুড!!
প্রশান্ত আচার্য্য; অমুক অমুক অমুক আর আপনি মিলে যার জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছেন। (অন্য তিনজনের আসল নামগুলো দিলাম না কাদের সাথে কার তুলন!)
প্রশ্ন: ...আপনার কিশোর উপন্যাস কয়েকটা একসাথে করে কিশোর উপন্যাস সমগ্র বের করা হয়। উপন্যাসমগ্রে গল্পগুলো থাকলেও একক বইগুলোতে থাকা উৎসর্গ, ভূমিকা, রঙিন প্রচ্ছদের ছবি, গল্পের সাথে সাথে থাকা ছবিগুলো(ইলাশট্রেশন) উপন্যাস সমগ্রে থাকে না। আমার মনে হয় এই জিনিসগুলো রাখা উচিত। আপনার অনেক উৎসর্গই মজার। …… এই উৎসর্গপত্রগুলো উপন্যাসমগ্রে এসে হারিয়ে যায়। প্রকাশকরা রাখে না। তারপর ধরুন, ভূমিকা। কিছু কিছু বইয়ের ভূমিকা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। … যেমন আপনার ইস্টিশান বইয়ের ভূমিকা না পড়লে জানা যেত না এটা আপনার জীবনের গল্প থেকেই অনুপ্রাণিত। তাই অনুরোধ থাকবে প্রত্যেকটা বইয়ের ভূমিকা যেন সমগ্রে থাকে।
আপনি আবার আঁকাআঁকিতে ফিরে আসায় ধন্যবাদ। রঙিন চশমা বইয়ে আপনার কার্টুন আঁকার গল্প শুনে আপনার আঁকা দেখতে ইচ্ছে হত। …এখানে টুনটুনির গল্পেও নিজের আঁকা ছবি দিচ্ছেন। ……। আমার দাবি কোনদিন উপন্যাস সমগ্রে বের হলেও যেন এই ইলাশট্রেশনগুলো থাকে।।……
আর কিছু কিছু বইয়ের প্রচ্ছদও আমার খুব ভালো লাগে। যেমন নাটবল্টু, ইকারাস, গাব্বুর প্রচ্ছদ। ……অনুরোধ থাকবে সমগ্রে প্রচ্ছদের ছবিগুলো সাদাকালো না দিয়ে যেন রঙিন দেওয়া হয়। …..
এই ওয়েবসাইটটার জন্য ধন্যবাদ। বিভিন্ন সময় আপনাকে লেখা বাচ্চাদের চিঠিগুলোর বর্ণনা পড়ে সেগুলো পড়তে ইচ্ছা করতো। এখন সেই ব্যাপারটা চোখের সামনে দেখেই ভাল লাগছে। …
উত্তর: তুমি যেগুলো লিখেছ সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতো যদি আমি মানুষটাও সেরকম গুরুত্বপুর্ণ হতাম, আমার লেখালেখি নিয়ে গবেষণা করার দরকার হত! নানা রকম গবষণা করে আমার সম্পর্কে যেগুলো বের করতে চাও, সেগুলো আমাকে জিজ্ঞেস কর, আমি বলে দেব। তবে মনে করোনা আমি তোমার নানা রকম সাজেশনকে হেসে উড়িয়ে দিচ্ছি- আমি সেগুলো মনে রাখব। বই পড়ার সাথে সাথে একটা বইয়ের এতকিছু খুটিয়ে খুটিয়ে এভাবে দেখা সম্ভব সেটা আমি তোমার কাছ থেকে শিখলাম। থ্যাঙ্কু।
প্রশ্ন: এই ওয়েবসাইটি ছোটদের জন্য খোলা হলেও অনেক বড় মানুষ এখানে প্রশ্ন করেছেন। কিছু কিছু প্রশ্ন ছিল যেগুলো এমন কিছু মানুষ করেছেন যারা আপনাকে পছন্দ করেন না। কিন্তু আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম আপনি তাদের প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর করে দিয়েছেন। আমার প্রশ্ন হল এমন কোন অবস্থায় রাগ না করে কিভাবে মাথা ঠাণ্ডা রাখা যায় বা আপনি রাখেন???
উত্তর: তার কারন আমার চামড়া গন্ডারের চামড়া থেকেও মোটা! যত দিন আচ্ছে আরও মোটা হয়ে যাচ্ছে।
সোনিয়া,শাহজাহানপুর
প্রশ্ন: স্যার, লেখার সময় মাথায় কোন গল্প না আসলে আপনি কি করেন??
উত্তর: এরকম করি!
পালকি, ঢাকা।
প্রশ্ন: স্যার, আমি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই,আরো উন্নত করতে চাই।এখন থেকে কি ধরণের প্রস্তুতি নিলে আমার ভবিষ্যতে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার যোগ্যতা, অনুপ্রেরণা আর সাহস থাকবে বলে আপনার মনে হয়? আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি।
উত্তর: তুমি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাও শুনে খুব খুশি হলাম।অনেক ভাবেই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে, তুমি তোমার পছন্দ মত একটা বেছে নিতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পড়ারও সুযোগ আছে। কাজেই এখন শুধু বড় হওয়র জন্যে একটু অপেক্ষা কর।
জুলিয়ান সিয়াটল , ওয়াশিংটন
প্রশ্ন: আচ্ছা স্যার , সুজ্জাল্লো লাইব্রেরি নিয়ে আপনার কি কোনো স্মৃতি আছে ? আমাদের সাথে শেয়ার করলে খুব খুশি হবো।
উত্তর: অনেক স্মৃতি আছে, কিন্তু লাইব্রেরীর স্মৃতি তো মোটামূটি বৈচিত্রহীন, সেখানে মুখ ফুটে কথাও বলা যায় না, শুধু মাথা গুজে বই পড়তে হয়। সেই তুলনায় নিউক্লিয়ার ফিজিক্স ল্যাবরেটরি কিংবা উইন্ড টানেল কিংবা ড্রামহেলার ফাউন্টেন কিংবা হাবের স্মৃতিতে বৈচিত্র অনেক বেশী।
Nova and Navid. Bhairab Bazar
প্রশ্ন: Go go Golden 1,2,3,4 to khujhe pacchi na.!!!!!!!
উত্তর: শুধু গোল্ডেন ফাইভে খুশি না, এখন গোল্ডেন 1, 2 3 আর 4 দরকার?
শফিউল আলম। টঙ্গী।
প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন হল ফোটন কণা হল সদ্যজাত শিশু, কারন এর বয়স বাড়ে না। তাহলে ফোটন কণার জগৎ কয়মাত্রক ?
উত্তর: যদি বোঝানোর চেষ্টা করে থাক তোমার রেফারেন্স ফ্রেম ফোটনের সাথে সাথে আলোর বেগে ছুটছে এবং সেই রেফারেন্স ফ্রেম থেকে জগৎটাকে কয় মাত্রিক দেখাবে, তাহলে তার উত্তর নেই। কারন রেফারেন্স ফ্রেমের সংজ্ঞা মানতে হলে তোমাকে ছুটতে ছুটতে আলোর বেগে পৌছাতে হবে, যেটা সম্ভব নয়।
Jhumur, Narayanganj.
প্রশ্ন: Thank u ,thank u ,thank u………….. l m sooooooo happy .My daughter saw our answer and now she is trying to read books, I send ur wishes to my parents and today I told my students a story about our freedom fighters. I love u sooooo………..much. You are that wonderful person who made my childhood so beautiful. May u live long and make our babies life so interesting as ours.
উত্তর: তোমাদের শৈশব সুন্দর করার মত আমি এমন কিছু করিনি, কয়ক্টা শুধূ বই লিখেছি। তাই তোমরা যখন উচ্ছ্বসিত হয়ে আমাকে সেই ক্রেডিটটুকু দাও তখন উত্তরে কী বলব বুঝতে পারি না। থ্যাঙ্কু।
প্রশ্ন: স্যার নাবিল ভাইয়া আর ইয়েশিম আপু প্রথমে কোন ভাষা শিখেছিল? বাংলা না ইংরেজি?
উত্তর: স্কুলে যাবার আগে পর্যন্ত বাংলা, স্কুলে যাওয়া শুরু করার পর ইংরেজি।
তানিয়া হাসান তন্বী, লোক প্রশাসন বিভাগ, জাহাংগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশ্ন: স্যার মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে না পারার জন্য আপনার কি কখনও অনুতাপবোধ বা আফসোস হয়?
উত্তর: পাকিস্তানীরা এতোই কাপুরুষ কে জানতো, যে নয় মাসেই লেজ গুটিয়ে আত্মসমর্পণ করে ফেলবে? যুদ্ধ আরো কিছুদিন চললে সবাই যুদ্ধে যোগ দেয়ার সুযোগ পেত।আমিও পেতাম।
আসলে মুক্তিযুদ্ধ বিশাল একটা ব্যাপার, খোদা সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার গৌরব দেন না, এত বড় একটা সম্মান সবাইকে দেয়া যায় না। আমাকে দেন নি। আমি মেনে নিয়েছি। দেশে একটা সময় গিয়েছে যখন রাজাকাররাই ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারাই যেন অপরাধী, মুক্তিযোদ্ধাদের বুকের ভেতর তখন একটা গভীর অভিমান ছিল। সেই সময়ে আমরা নুতন করে তোমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা জানানোর প্রয়োজন অনুভব করেছি, জানানোর চেষ্টা করেছি, সেটা আমাদের একটা শান্তনা।
প্রশ্ন: স্যার আমি ৯ম শ্রেণীতে পড়ি।আমি কয়েক বছর থেকে গণিত উৎসবে যাচ্ছি।প্রথমদিকে উৎসব ই মনে হতো।কিন্ত এখন আমার উপর চাপ দেয়া হয় পুরষ্কার পাওয়ার জন্য।আমি কখনো ক্যাম্পে চান্স পাইনি।… আমার এজন্য অনেক মন খারাপ থাকে।আর মনে হয় অলিম্পয়াডে ভালো না করলে আমি আর কিছুই করত্র পারবনা।স্যার আমি কি করব?আমার পরিবারের সবাই ও আমাকে বলে আমার আসলে অলিম্পিয়াডে ভালো করার ইচ্ছা নাই তাই পারিনা।আমার এখন মনে হয় ইন্টারন্যাশনাল কোনো অলিম্পিয়াডে না যেতে পারলে আমার জীবনের কোনো মানে নেই। প্রচণ্ডরকম বিষন্নতায় আছি।মাঝে মাঝে মনে হয় সুইসাইড করি।
উত্তর: তোমার এই প্রশ্নটা পড়ে আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, সত্যি কথা বলতে কি তোমার চিঠিটা পড়ে আমি পত্র পত্রিকায় একটা লেখাও লিখেছিলাম। কষ্ট করে সেটা পড়ে নিলে মনে হয় উত্তরটা পেয়ে যাবে।
নিঝুম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশ্ন: অনেক বছর আগে একুশে বইমেলায় পিচ্চি একটা মেয়ের আপনার সাথে দেখা হয়েছিলো। ৫ বছর বয়সের সেই পিচ্চিটা সেইদিনই আপনার একটা সায়েন্স ফিকশন কিনে অটোগ্রাফ নিতে আপনার সাথে দেখা করেছিলো। আপনি তাকে কোলে নিয়ে বলেছিলেন “তোমার নাম আমার সারা জীবন মনে থাকবে”। খুবই অদ্ভুতভাবে মেয়েটা সেটা অনেকদিন ধরে বিশ্বাস করে বসেছিলো। সেই মেয়েটা আমি। জানি এভাবে মনে রাখা সম্ভব না, তবুও আজকে ব্যাপারটা আপনাকে লিখতে ইচ্ছা করলো। হয়ত ভিতরে ভিতরে আমি বিশ্বাস করি যে আপনি আসলেই আমার নাম মনে রেখেছেন। সেটা সত্যি কিনা এটা যাচাই করতে ইচ্ছা হয় নাই কখনো। যদি দেখি যে মনে নাই! (কোনো প্রশ্ন নাই, শুধু এটাই জানাতে ইচ্ছা হলো) ভালো থাকবেন স্যার 🙂
উত্তর: !!
রাফিদ ইজতেহাদ (আপনার অনিযুক্ত এসিস্ট্যান্ট), কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন: স্যার, মহাকাশ যে অসীম তা গাণিতিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায় কীভাবে?
উত্তর: যায় না। curvature of space মেপে যদি দেখা যায় সেটা পজিটিভ তাহলে বোঝা যাবে ইউনিভার্সটা অসীম নয়। নিগেটিভ হলে অসীম। যদি মান শুন্য হয় তাহলে ইউনিভার্স flat. এখন পর্যন্ত যেটুকু জানা গেছে সেটা হচ্ছে ইউনিভার্সের curvature of space এর মান শুন্যের খুব কাছাকাছি।
troyee,mymensingh
প্রশ্ন: Ms. Jarul Chowdhury,apnar onak student tadar msg a bola apne nake odar clz a boka dan.ata ke kokhono somvob?apne kevaba student dar boka dan?amar akdom biswas hoy ne kotha ta…
উত্তর: আসলেই ল্যাব ক্লাশে এমন কোনো ছেলে বা মেয়ে নাই যে আমার বকা খায় নাই! সে জন্যে আমার ছাত্র ছাত্রীরা মনে হয় আমাকে যমের মত ভয় পায়।
মিঠু আহমেদ, Netrakona intermediate 1st year, Netrakona government college, Group of science….
প্রশ্ন: আচ্ছা স্যার বিঞ্জানী হতে হলে কি করতে হয়???? শুধুকি সারাদিন পদার্থ,রসায়ন,জীববিঞ্জান নিয়েই কি ঘাটাঘাটি করতে হয়,,,,,
আমার Facebook Id এর লিংকটাও দিলাম…জানি আপনি আমাকে Friend request কিংবা কোনো রকম মেসেজ দিবেন না, কারন আপনি তো সেলেব্রেটি। …… আমাদের কে কি সময় দেওয়ার মত আপনার সময় আছে।।।
উত্তর: বিজ্ঞানী হতে হলে সবার আগে একটা বিজ্ঞানীর কৌতুহলি মন থাকতে হয়, চার পাশে যা কিছু চোখে পড়ে সেগুলো বুঝে ফেলার ইচ্ছে থাকতে হয়। সব কিছু যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করার মানসিকতা থাকতে হয়। তার সাথে অবশ্যই পড়াশোনার পরিশ্রমটুকু করার আগ্রহ থাকতে হয়।
তোমার লেখাটুকু পড়ে মনে হল তুমি ধরেই নিয়েছ একজন মানুষের যে রকম হাত পা নাক মুখ থাকতে হয় ঠিক সেরকম বুঝি একটা ফেসবুক একাউন্টও থাকতে হয়! তুমি হয়তো এখনো লক্ষ করনি, আমার এই ওয়েবসাইট তৈরীর একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে ইন্টারনেটে তোমাদের বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্যে ফেসবুক জাতীয় বিষয়গুলোর বাইরে কিছু একটা দেয়া! তুমি জানতে চেয়ছ তোমাদেরকে দেওয়ার মত সময় আমার আছে কি না। এই ওয়েবসাইটটার দিকে একবার তাকাও তারপর তুমি নিজেই তোমার প্রশ্নের উত্তর দাও।
প্রশ্ন: স্যার,আমার পক্ষ থেকে কি ইয়েশিম আপু কে একটা ধন্যবাদ দিতে পারবেন? আপু “কান পেতে রই” প্রতিষ্ঠা না করলে আমি আজ বেঁচে থাকতাম না। আমার মত আরো অনেক মেয়ের পক্ষ থেকে আপুর জন্য রইল অশেষ ভালোবাসা।
উত্তর: ইয়েশিমকে আমি তোমার লেখাটি দেখিয়েছি, সে বলেছে যে ভাগ্যিস তুমি কান পেতে রই কে ফোন করেছিলে আর কান পেতে রইয়ের অসংখ্য অসাধারণ ভলান্টিয়ারদের কোনো একজন তোমাকে সাহায্য করতে পেরেছিল। একটা জীবন কতো বড় একটা ব্যাপার, সেটা কী এত সহজে শেষ করতে দিতে হয়?
আশফিকুর চৌধুরি তাওসিব
প্রশ্ন: প্যারাডক্স কি?
উত্তর: কোনো কথা যদি বিভ্রান্তি তৈরী করে, সেটা হচ্ছে প্যারাডক্স। যেমন “আমি মিথ্যা কথা বলছি” কথাটা সত্যি না মিথ্যা?
বোরহানউদ্দিন,ভোলা,বরিশাল।
প্রশ্ন: আচ্ছা, দেশপ্রেম আসলে কি? এটা এক ধরণের আবেগ, এক ধরণের অনুভুতি- কিন্তু এটা কি যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা সম্ভব?
যুক্তির কথা কেনো বলছি বলি.. অনেক হিউম্যানিস্ট & এথিস্ট নিজেকে এন্টি-ন্যাশনালিস্ট বলে পরিচয় দেন..এন্টি-ন্যাশনালিসম বিষয়টা সম্ভবত এরকম- প্রেম বা ভালোবাসা নির্দিষ্ট একটা সীমানাকে ঘিরে বা নির্দিষ্ট একটা জাতীর প্রতি হবে কেনো?..দেশের সীমানা তো আমি নির্ধারণ করি নি- কাজেই এই সীমানাকে ঘিরে আলাদা আবেগ থাকা অযৌক্তিক..তাই, দেশপ্রেম না, হওয়া উচিত- “বিশ্বপ্রেম”..পুরো বিশ্বের মানুষের জন্য সমান ভালোবাসা থাকা উচিত.. … এন্টি-ন্যাশনালিস্টদের যুক্তি আমার কাছে উড়িয়ে দাওয়ার মত মনে হচ্ছে না..
উত্তর: ব্যাপারটা অনেকটা এরকম: তুমি যখন তোমার মা’কে ভালোবাস সেটা হচ্ছে দেশপ্রম, আর যখন তোমার মা’কে ভালো না বেসে তোমার পাড়ার আন্টিদের ভালোবাস সেটা হচ্ছে এন্টি-ন্যাশনালিজম! মজার কথা হচ্ছে কেউ বলেনি যে আন্টিদের ভালোবাসলে মা’কে ভালোবাসা যাবে না!
আশিক, কালিয়াকৈর,গাজীপুর
প্রশ্ন: স্যার আমার প্রশ্ন হল আপনি কোন ধরনের ছাত্র/ছাত্রীদের বেশি পছন্দ করেন এ বং কেন করেন? Plz উত্তর দিবেন।
উত্তর: যাদের সবকিছুতে উৎসাহ, ক্লাসের লেখাপড়ার বাইরে একশ রকম কাজ করে আমি তাদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি।
Riti,Hsc 2nd year,uttara,dhaka.
প্রশ্ন: Sir,shobai amake bole tumi j jafor iqbal ke eto valobasho,tar ki eto shomoy ache tomar moto 1jon khudro pathikar mullo deawar? Ami tokhn boli uni to amar baba.ami unar meye uni nishoy 1din amake mathai hat buliye doa korea diben.etukui amar chaoa.
Baba tumi amar eituku caoa puron korbena??
উত্তর: তোমার বন্ধুদের বলো অবশ্যই তোমাকে দেওয়ার জন্যে আমার সময় আছে। কোনো একদিন তোমার সাথে নিশ্চয়ই আমার দেখা হবে।
রায়হান মাসুদ (৯ম),যশোর।
প্রশ্ন: পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপর ঘোরে কেন?নিউরন তো বিভাজিত হয় না। তাহলে এত বিলিওন নিউরন (মনে নেই) কিভাবে পেলাম?
উত্তর: পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপর ঘোরে ঘটনাক্রমে। অনুমান করা হয় পৃথিবী যখন তৈরী হচ্ছিল তখন কোনো একটা কিছুর ধাক্কা খেয়ে এটা ঘুরতে শুরূ করেছিল, এখনো ঘুরছে।
একজন বাচ্চা যখন জন্ম নেয় তখন সে তার প্রায় (একশ বিলিওন) সব নিউরন নিয়ে জন্মায়।
আপনার পাগল ছাত্র শিহাবুল,বগুড়া
প্রশ্ন: স্যার প্রথমেই আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাশা নেবেন। *গো গো গোল্ডেন ফাইভ*গল্পটা আমার জীবনের সাথে পুরোপুরি মিলে গেছে।শুধু আমি ছেলে আর আইরিন মেয়ে।আচ্ছা টুনটুনির Plan A যদি ফলো করি তাহলে কি আমি আবার বই পড়তে পারব?
উত্তর: মনে হয় না টুনটুনির প্ল্যান এ এখন আর কাজ করবে! এই প্ল্যানের কথা তো জানাজানি হয়ে গেছে।
সাহল আব্দুল্লাহ, জুড়ী,মৌলভীবাজার।
প্রশ্ন: স্যার, আমি আপনার এত বড় একজন ভক্ত বলে বুঝাতে পারব না।আমি প্রায়ই স্বপ্নে দেখি যে আপনার সাথে কথা বলছি।স্যার আপনার সাথে দেখা করা ও কয়েকটি ছবি তুলা আমার স্বপ্ন।আপনি কি আমার সাথে দেখা করে আমার স্বপ্নটা পূরন করবেন?
উত্তর: তোমার স্বপ্নগুলো আর বড় কিছুর জন্যে রিজার্ভ করে রাখ। আমার সাথে দেখা করে ছবি তোলার জন্যে স্বপ্ন দেখতে হবে না, আমার ক্যাম্পাসে এলে যে কোনোদিন দেখা করে ছবি তুলতে পারবে।
প্রশ্ন: স্যার, আমাকে কেউ পছন্দ করে না।কেউ আমাকে দেখতে পারে না,,আমার আম্মু আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেন,,।আমার কোন বন্ধু নেই।ক্লাস এ আমার সাথে কেউ কথা বলে না।আমার খুব খারাপ লাগে।আমি কি করব??
উত্তর: প্রথমত একজন মা তার ছেলে কিংবা মেয়ের সাথে কখনোই সারাক্ষন খুব খারাপ ব্যবহার করেন না। মাঝে মাঝে যে কখনো একটু আধটু বকুনি দেনে না তা নয়, কিন্তু সেটা সব ছেলে মেয়ের জন্যেই খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার কাজেই এটা নিয়ে আমি খুব একটা দুশ্চিন্তা করব না। (মজার ব্যাপার হচ্ছে একটা বয়সে অনেক ছেলেমেয়েরই মনে হয় তার আব্বু আম্মু তাকে আদর করে না।) কিন্তু সত্যিই যদি ক্লাশে তোমার কোনো বন্ধু না থাকে এবং কেউ তোমার সাথে কথা না বলে তাহলে সেই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্যে তোমার নিজের একটু চেষ্টা করতে হবে। তোমাকে একটু আগ বাড়িয়ে ক্লাশের ছেলে মেয়েদের সাথে কথা বলা শুরু করতে হবে। তোমার বিশ্বাস করতে হবে যে “কেউ তোমাকে পছন্দ করে না” সেটি সত্যি নয়। হাসি খুশি থেকো, মুখ ভার করে থাকলে বন্ধুরা কাছে আসতে সাহ্স পায় না, দূরে দূরে থাকে। আমি চাই কয়দিন পরে তুমি আমাকে লিখবে তুমি আবিষ্কার করেছ তোমার আম্মু আসলে তোমাকে অনেক আদর করেন আর ক্লাশে এখন সবাই তোমার প্রাণের বন্ধু।
প্রশ্ন: স্যার, আমি ক্লাস সেভেন এ পড়ি। আমার জন্য উপযুক্ত কতগুলো বিজ্ঞান,গনিত বিষয়ক বই এর নাম একটু লিখে দেন স্যার,,।।।থানকু।
উত্তর: সমস্যা হচ্ছে আমার বইয়ের নাম মনে থাকে না। আব্দুল্লাহ আল মুতি শরফুদ্দিন স্যারের বইগুলো দিয়ে শুরু কর।
প্রশ্ন: স্যার, physics আমার খুব কঠিন লাগে।এমন কোন বই আছে যেখানে সহজ করে বিষয়টি বোঝানো হয়েছে??
উত্তর: তুমি কিসে পড় আমি জানি না, শুধু মাত্র সহজ করে বোঝানোর জন্যে আমি পদার্থ বিজ্ঞানের প্রথম পাঠ নামে একটা বই লিখেছি, সেটা পড়ার চেষ্টা করে দেখতে পার। নেটে এটার পিডিএফ পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: স্যার,আপনার বাসায় কি টেলেস্কোপ আছে?
উত্তর: যেটা ছিল সেটা ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে দিয়েছি, তারা আকাশের গ্রহ নক্ষত্র দেখে।
Dhrubo Shewrapara, Mirpur, Dhaka
প্রশ্ন: Sir, Please serina (science fiction) er porer ongsho ki hobe bolun. Ami amar kanna thamate parchi na.
উত্তর: কান্না থামাও। আমাকে সেরিনার বাবা বলেছে সেরিনা নাকি ঠিক হয়ে গেছে, ভর্তি পরীক্ষা দেবার জন্যে পড়াশোনা করছে। (না, সেরিনা মরে গেলেও ভর্তি কোচিংয়ে ভর্তি হবে না)
প্রশ্ন: স্যার,আমি ড্রয়িং এ অসম্ভব খারাপ। কিন্তু আমাদের ড্রয়িং মিস অনেক কড়া। ড্রয়িং এ উন্নতি করতে চাইলে কি করতে হবে?
উত্তর: কঠিন সমস্যা! ড্রয়িং এমন একটা ব্যাপার যে যারা এটা পারে নিজের থেকেই পারে। অন্যদের নিয়ম মেনে অনেক পরিশ্রম আর চেষ্টা করে সেটা করতে হয়। তোমার ড্রয়িং মিসকে এই ছবিটা দেখিয়ে বলতে পার, ড্রয়িং না করে শুধু কলম দিয়ে হিবিজিবি করলেও সেটা বড় আর্ট হতে পারে। এই পেইন্টিংয়ের ছবিটা আমি নিজে নিউ ইয়র্কের মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট থেকে তুলেছি।
আকাশ, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ।
প্রশ্ন: আচ্ছা আঙ্কেল, আমি যদি জাফর আঙ্কেল হতাম, আর আপনি যদি আকাশ হতেন, তাহলে কি আপনিও আমাকে ‘আঙ্কেল’ ডাকতেন নাকি সবার মতো ‘স্যার’?
উওর: আমি যদি আকাশ হতাম তাহলে আঙ্কেল বা স্যার ডাকাডাকি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সুন্দর মেঘ, ঝমঝম করে বৃষ্টি, বিশাল রংধনু, বিজলির ঝলকানি এইসব নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতাম!
NISHA RAHMAN,address:24 B.K ROAD,(DHAKA-1104)
প্রশ্ন: Chini jonno pipra asha kano?
উত্তর: তুমি যে জন্যে তোমাদের ডাইনিং টেবিলে আস…
স্বপন, শাবিপ্রবি
প্রশ্ন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি সাইটের জন্য । 😀 প্রশ্ন না, এটা আমার/আমাদের চাওয়া । স্যার আপনি আমাদেরকে কথা দেন আপনি আমাদের মনটাকে সবসময় এমন কোমল, শিশুসুলভ রাখতে সাহায্য করবেন আপনার লেখা দিয়ে, ভালবাসা দিয়ে ।
উত্তর: থ্যাঙ্কু। সর্বনাশ! আমাকে এত বড় দায়িত্ব দিও না। আমার লিখতে ভালো লাগে, তোমাদের যদি সেটা পড়তে ভালো লাগে তাহলেই আমি খুশি। তোমরা যতদিন পড়বে আমি ততদিন লিখব, এটুকু বলতে পারি।
অনিক আঢ্য খুলনা।
প্রশ্ন: স্যার, বর্তমানে আমাদের সমাজে অনেক ছেলে মেয়েই পাকিস্তান ক্রিকেট টিম সাপোর্ট করে এবং ওদের জার্সি পড়ে।এসব দেখে সহ্য করা যায় না। আমার এলাকার অনেকেই আবার বিহারী।এরা সবাই পাকিস্তান সাপোর্ট করে। আমার কি করা উচিৎ?
উত্তর: বিহারীদের পাকিস্তানকে সাপোর্ট করাটা আমি বুঝতে পারি, ৭১ সালে তারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, স্বাধীনতার পরে পাকিস্তানে ফিরে যেতে চেয়েছিল। পাকিস্তান নিতে রাজী হয় নাই বলে এই দেশে রয়ে গেছে।তাদের জন্যে অবশ্যি অনেক বুদ্ধিমানের কাজ হতো যদি এরা নিজেদের ভাষা আর কালচারকে বাঁচিয়ে রেখে বাংলাদেশকে নিজের দেশ হিসেবে গ্রহন করে এখানে নিজেদের জীবনটাকে গড়ে তুলত। যারা বিহারী না কিন্তু তারপরেও পাকিস্তানকে সাপোর্ট করে তাদেরকে আমি বুঝতে পারি না! নিজের পরিবার তাদের ঠিক ভাবে বড় করেনি, তাদেরকে দেশের কথা বলা হয়নি। নিজের দেশকে ভালোবাসার যে আনন্দ তার কোনো তুলনা নেই। এই ছেলেমেয়েগুলো জীবনেও সেই আনন্দ অনুভব করতে পারবে না সেটা চিন্তা করে তাদের জন্যে করুণা অনুভব করতে পার!
কাজেই তোমার কিছুই করতে হবে না। বড় জোর মনে করিয়ে দিতে পার, আমাদের বাংলাদেশ যেরকম লাফিয়ে লাফিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, পাকিস্তান ঠিক সেরকম গড়িয়ে গড়িয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে।
সোনিয়া,শাহজাহানপুর
প্রশ্ন: স্যার, একদম ছোট থেকেই আমি গনিত কিছুই পারি না, এমনকি আমার অংক করতে ভাল ও লাগে না। ভেবেছিলাম স্কুলের পড়ে হয়তো গনিত আর সেভাবে লাগবে না, কিন্তু ভুল ছিলাম। গনিত এখন শুধু আমার আশে পাশেই ঘুরছে। তাই ভাবছি গনিত কে ভালবাসবো কিন্তু কিভাবে গনিতের প্রতি ভালবাসা জন্মানো যায়??
উত্তর: আমাদের গণিত অলিম্পিয়াডে কখনো এসেছ? এসে দেখে যাও তাহলে ভালো লাগবে। আজকাল গণিতের মজা নিয়ে অনেক বই লেখা হচ্ছে সেগুলো পড়ে দেখ। আমি অন্তত একজনের কথা জানি যে তোমার মত গণিতকে ভয় পেতো, কিন্তু এরকম একটা বই পড়ে তার গণিতের জন্যে এতোই আগ্রহ হয়েছিল যে তারপর থেকে সে গণিতকে মোটেও ভয় পেতো না, গণিত ভিত্তিক সাবজেক্ট পড়ে সবার চেয়ে ভালো করেছিল। কাজেই তোমারও হতাশ হবার কিছু নেই।
সুভাশিষ বৈরাগী অঙ্কুর নৈকাঠি,থানা রাজাপুর,জেলা ঝালকাঠি। পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দি কলেজের ইংরেজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।
প্রশ্ন: স্যার আমি যদি আপনাকে আমাদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করি,তবে আপনিকি বেড়াতে আসবেন?
উত্তর: সময় সু্যোগ পেলে আসব না কেন? (ঠিক ঝালকাঠি নয়, তবে তোমাদের পিরোজপুরে বেড়াতে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা আছে।)
রিশান হাসান,৩য় শ্রেণী,ঢাকা।
প্রশ্ন: আমার আম্মু আব্বু তোমার বই থেকে আমার নাম রেখেছে রিশান।কিন্তু কেউ এর অর্থ জিজ্ঞেস করলে বলতে পারিনা।এই নামের একটা অর্থ দিয়ে দাও প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
উত্তর: রিশান শব্দটা আমি তৈরী করেছিলাম, এটার কোনো অর্থ ছিল না। কিন্তু যেহেতু শব্দটা আমি তৈরী করেছি তাই আমি যেটা বলব সেটাই হবে তার অর্থ। ঠিক কিনা? কাজেই আমি এখন রিশান শব্দটার অর্থ ঠিক করে দেই। রিশান অর্থ হচ্ছে সাহসী এবং দেশপ্রেমিক! খুশি?
মিতুল রহমান অন্তর। শ্রেণীঃ নবম। ঠিকানাঃ মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন: আমরা অনেক সময় প্রশ্ন করি, ‘Infinity to the Power of 0’ কত? বা, Infinity – Infinity কত?
কিন্তু, Infinity যেহেতু কোনো সংখ্যা নয়, কেবলমাত্র ধারনা মাত্র, তাহলে এসব প্রশ্ন কি প্রায় অর্থহীন নয়??
কারন, ‘আকাশ to the power of 0’ কত? বা, ‘পানি – পানি কত?’ এমন কিছু তো আমরা বলতে পারি না। কারন এগুলি সংখ্যা নয়। তবে ইনফিনিটির বেলায় কেন?? :/
[এই প্রশ্ন করার জন্য গণিত অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অনেকক্ষন হাত উচু করে ছিলাম, কিন্তু একবারও আমার সুযোগ আসে নি। 🙁 ]
উত্তর: তুমি ঠিকই বলেছ যে Infinity কোনো সংখ্যা নয় এটা একটা ধারণা। কিন্তু এটা মনে রেখো Infinity কিন্তু আকাশ কিংবা পানির মত ধারণা নয়, এটা গাণিতিক ধারণা, গণিতবিদেরা Infinity কে countable আর uncountable সেটে ভাগ করেছেন। পদার্থ বিজ্ঞানিরা তাদের হিসেব নিয়ন্ত্রণের মাঝে রাখার জন্যে রুটিন মাফিক এক Infinity থেকে অন্য Infinity বিয়োগ করে থাকেন! (সরি, গণিত অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অনেকক্ষন হাত উচু করে থাকার পরেও তোমাকে এতো সুন্দর এই প্রশ্নটি করতে দেয়া হয়নি।)
আপনার পাগল ছাত্র মো.শিহাবুল কবির
প্রশ্ন: E=mc*cর মাধ্যমে বস্তুকে শক্তিতে পরিনত করা যায়।তাহলে শক্তিকেও বস্তুতে পরিনত করা যাবে।যদি তাই হয় তবে আমারা দুজনে একটু ট্রাই করে দেখতে পারি,কোনো বস্তুকে শক্তিতে আবার শক্তিকে বস্তু বানাতে পারি কিনা..।
উত্তর: আমাদের চার পাশেই অনবরত শক্তি ভরে রূপান্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে, সেটাকে বলে pair production পদার্থ বিজ্ঞানের সূক্ষ্ম এক্সপেরিমেন্টে এটা background noise. (শক্তিটা আসে কসমিক রে থেকে গামা রে হিসেবে)ক্যালটেকে আমার একটি এক্সপেরিমেন্টে এটা দূর করার জন্যে আমাকে রীতিমত পরিশ্রম করতে হয়েছে।
উৎস ভট্টাচার্য্য, বই মেলা থেকে অটোগ্রাফ নেওয়া আপনার প্রিয় পাঠক।৪র্থ শ্রেনির ছাত্র।ঢাকা।
প্রশ্ন: দাদু,আমার টুনটুনি ও ছোটাচ্চু আমার অনেক ভালো লাগে। তাই আমি চাই আপনি অনেক অনেক অনেক অনেক বেশি বেশি করে টুনটুনি ও ছোটাচ্চুর গল্প লিখবেন।
উত্তর: তোমরা যতদিন পড়বে ততদিন লিখব। তোমরা যেদিন পড়া বন্ধ করবে, আমিও সেদিন লেখা বন্ধ করব।
সৈকত দাশ,১০ম শ্রেণি বানিয়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,ডুমুরিয়া,খুলনা।
প্রশ্ন: স্যার,আমি বড় একজন থিওরিক্যাল ফিজিস্ট হতে চাই।আমার স্কুলের বই পড়তে একটুও ভাল লাগে না কিন্তু পদার্থ এবং গণিতকে মনে প্রাণে ভালবাসি।সেটা কেউ বুঝতেই চায় না।আমাদের এই প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় কি আমার স্বপ্ন কি কোন দিন পূরণ হতে পারে?
উত্তর: আমাদের এই প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা থেকেও অনেক প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থায় এখান থেকে প্রফেসর সত্যেন বোস বের হয়েছেন, কাজেই শিক্ষাব্যবস্থাকে দোষ দিয়ে লাভ কী? তোমার স্বপ্ন পূরণের জন্যে কী তুমি চেষ্টা করেছ? প্রতি বছর তোমাদের জন্যে পদার্থ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়, সেই সুযোগটা গ্রহন করে অসাধারণ একটা ফলাফল দেখাও, তখন সবাই পদার্থ বিজ্ঞান এবং গণিতের জন্যে তোমার ভালোবাসাটুকু বুঝতে পারবে। বুঝতেই পারছ, শুধু ভালোবাসা যথেষ্ট নয়, তার সাথে পরিশ্রমেরও দরকার হয়।
সোহাগ, হবিগন্জ।
প্রশ্ন: আপনি কি টাইম মেশিনে করে আবার আপনার অতীত আর আমাদের বর্তমান সময়ে এসেছেন।আপনি একদিন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন একজনের প্রশ্নের জবাবে,বলে ছিলেন, হতে পারে আমিও ভবিষ্যত থেকে এসেছি।
উত্তর: হুমমমমম… তোমার কি ধারণা আমি এত সহজে এটা স্বীকার করব? তাহলে আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে কেটেকুটে দেখার চেষ্টা করবে না?
প্রশ্ন: জগ দিয়ে কী করি?
উত্তর: আমি গ্লাশে পানি ঢেলে খাই, তুমি কি কর?
মিসবাহ।কিশোরপাঠ আলোর স্কুল।ময়মনসিংহ।৭ম শ্রেণী।
প্রশ্ন: স্যার!আমার কবিতা লেখতে খুব ইচ্ছে করে কিন্তু খাতা কলম নিয়ে বসলে কবিতা আর আসে না।কি করি স্যার বলুনতো।আমার এ ইচ্চা কি পূরণ হবেনা স্যার?
উত্তর: প্রিয় কবিদের লেখা কবিতা পড়। অন্য সব লেখা মনে মনে পড়া যায়, কিন্তু কবিতার বেলায় আবৃত্তি করে পড়লে ছন্দটুকু অনুভব করা যায়। তুমি যদি কবি হয়ে থাক, এক সময় নিশ্চয়ই তোমার ইচ্ছা পুরণ হবে।
অর্ণব শীল,চট্টগ্রাম
প্রশ্ন: স্যার, হিগস কণা ইলেকট্রন ও কোয়ার্ক এর ভরের কারণ তার মানে কি এটা অবিভাজ্য মৌলিক কণা ? বইয়ে লিখেছে যেসব কণা হিগস ক্ষেত্রের খুব সামান্য সংস্পর্শে আসে তারা আলোতে পরিণত হয়।তাহলে একটা ফোটন ক্ণাকে হিগস ক্ষেত্রে আনলে(আসলে কি এরকম করা যায়?)সেটার কি হবে? এটি যে কোয়ার্ক গুলো নিয়ে গঠিত তাদের কি হবে ? যে চারটা অস্থায়ী কোয়ার্ক আছে হিগস ক্ষেত্রের বাইরে কি তারা স্থায়ী কোয়ার্ক হয়ে যাবে?
উত্তর: Fundamental particles (অবিভাজ্য মৌলিক কণা) এর টেবিলে Matter অংশে দেখানো কোয়ার্ক এবং লেপটনগুলোর ভর হিগস বোজন থেকে আসে। ফোটনকে Force হিসেবে ডান দিকে দেখানো হয়েছে, দেখতেই পাচ্ছ এটা কোনো কোয়ার্ক দিয়ে তৈরী নয়।
mehebub hasan. class:10,Group: science. Bahadurpur,Bheramara,kushtia.
প্রশ্ন: আমরা সাধারণত বলে থাকি বাংলাদেশের আয়তন ১৪৭৫৭০ বর্গ কিলোমি.। কিন্তু এখানে আমরা আয়তন(volume) বলছি কেন?এখানে তো হবে ক্ষেত্রফল (area)।
উত্তর: হ্যাঁ, ক্ষেত্রফল বলাটা সঠিক।
প্রশ্ন: স্যার, মশা মারলে কি আপনারও আমার মত মন খারাপ হয়?
উত্তর: মন খারাপ করে হাউমাউ করে কাঁদি সেরকম নয়, কিন্তু যখন মনে হয় একটা মা মশা তার বাচ্চাদের জন্যে রক্ত খাচ্ছে তখন একটু মায়া হয়! মানুষ না হয়ে মশা হয়ে জন্মেছে সেটা তো আর তার দোষ নয়।
প্রশ্ন: আপনার “ছবি” এর আগে যে মেয়েগুলোর ছবি আছে তারা কারা?আর ওখানে কোনো ছেলের ছবি নেই কেন?
উত্তর: এই বাচ্চাগুলো আমাদের ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকে, আমাদের ইউনিভার্সিটির ছেলে মেয়েরা ওদের পড়ায়। মাঝে মাঝে তাদের সাথে আমি ছবি তুলি। সেরকম একটা ছবি দিচ্ছি দেখ। ভালো করে দেখ, এখানে ছেলেদের ছবিও আছে।
প্রশ্ন: স্যার গাঁজন প্রক্রিয়া কি?ইস্ট আর চিনি কি বিক্রিয়া করে.
উত্তর: গাঁজন বা ফারমেন্টেশান প্রক্রিয়াকে লুই পাস্তর বলতেন জীব কোষের অক্সিজেন ছাড়া শ্বাস প্রশ্বাস! ধারনা করা হয় পৃথিবীতে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার জন্যে যথেষ্ট অক্সিজেন সৃষ্টি হওয়ার আগে প্রাচীন জীবকোষ এই প্রক্রিয়ায় শক্তি তৈরী করত। ফারমেন্টেশানকে বলা যায় অক্সিজেন বিহীন একটা প্রক্রিয়া যেটা দিয়ে একটা জটিল জৈবিক অনুকে ভেংগে সহজ কিছু অনু এবং শক্তি তৈরী করা হয়। ইস্ট আর চিনি বিক্রিয়া করে ইথাইল এলকোহল (আমরা যেটাকে মদ বলি!) আর কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরী করে।
রেজওয়ানা শারমিন মেঘলা,রাজশাহী,বানেশ্বর। পড়াশোনা:ভর্তিযুদ্ধ।
প্রশ্ন:পড়াশোনার চাপে যখন মগজ ভর্তা হবার উপক্রম তখন আপনার ২/১ টি সাইন্টিফিক বই ম্যাজিকের মত কাজ করে।এমন কোন কি বই আছে আপনার লিখা যা পড়লে সিলেবাস ভুক্ত বইয়ের পড়া ফাকি দেওয়া হবেনা?
উত্তর: থাকতেও পারে। পদার্থ বিজ্ঞানের প্রথম পাঠ, থিওরি অফ রিলেটিভিটি, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, সহজ ক্যালকুলাস, গণিতের মজা মজার গণিত!
samia hasan mun,jamgora.Dhaka
প্রশ্ন: Greetings sir , 1.Sir apnar *মা* er nam ki ? 2.incubator niye kono website thakle ektu likben ,
উত্তর: আয়েশা ফয়েজ । ডিম ফোটানোর ইনকিউবেটরের একটা লিংক দিচ্ছি।