২. পুরানো প্রশ্ন ও উত্তর (১৯ আগস্ট-১৩ অক্টোবর ২০১৬)

৩১ আগস্ট ২০১৬ 

shimul ,moghbazar
প্রশ্ন: Accha sir 8ta 4 diya ki kora 100 banano jai
উত্তর: 4x4x4+4×4+4×4+4=100

Sharmin Shakhi, khulna
প্রশ্ন: 1. Sir, do u know, exactly how many childern u have?
2. I became orphan when I was in class 9. I want to tell u a story of a girl fighting over 15 years alone. … She has some unsolved tears… I want to tell u my story…Take a deep hug & big happa from my 3 years old daughter Moy for the story “Bappar Bondhu” & for this sight. She is so glad to know that u open this page to tell her the new stories as she failed to buy books this year. She love u very much 🙂 & obviously I also
উত্তর: ১. আমার ছাত্র ছাত্রীরা তো সন্তানের মতই, সেই হিসেবে সংখ্যা তো অনেক! ২. তোমার সাথে যেদিন দেখা হবে সেদিন নিশ্চয়ই তোমার জীবন যুদ্ধের কথা শুনব। তোমার তিন বছরের মেয়ের জন্যেও অনেক আদর আর স্নেহ।

অমিত , ঢাকা।
প্রশ্ন: আমি এখন কোথাও পড়ি না। ২০১৫ তে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে কোথাও চান্স পাইনি। দোষ আমারি। সঙ্গদোষে ডুবেছি যেটা বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। অনেক টাকা নষ্ট করে একটা প্রাইভেটে ভর্তি হই কিন্তু সেখানেও টিকতে পারিনি পছন্দের সাবজেক্ট না পাওয়া, র‍্যাগিং, ক্লাসের সহপাঠীদের সাথে মিশতে না পারার কার‍ণে। এখন আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একবছর নষ্ট করা একটা ছেলে কিরকম মানসিক নরকের ভিতর দিয়ে যায় আপনি হয়তো জানেন। সেকেন্ড টাইমের প্রিপারেশনও নেয়া হয়নি। ছোটবেলা থেকেই একা থাকার কারণে বাবা মার সাথেও সম্পর্ক ভালো না। মোটামুটি আমি এখন উদ্দ্যেশ্যহীন, বন্ধুহীন, পরিবারহীন এবং ক্যারিয়ারহীন একটা মানুষ। আত্মহত্যা করতে চেয়েও পারিনি সাহসের কারণে। এখন আমি কি করবো? কোনোভাবেই আমি গুছিয়ে নিতে পারছি না কিছু।
উত্তর: মানুষ সবসময়েই শেষ ফলটুকুই দেখে, কেন শেষ ফলটুকু যেরকম হওয়ার কথা সেরকম হয়নি সেটা বিশ্লেষণ করতে চায় না। তোমার জন্যেও সেটা সত্যি, সবাই দেখবে অন্য সবাই তাদের জীবনকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তূ তুমি কিছু করছ না। এরকম সময়ে তোমার ভেতরে এক ধরণের জিদ কাজ করা উচিৎ। তুমি নিজেকে বোঝাবে যে যেটা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে হা হুতাশ না করে এখন থেকে সব কিছু ঠিক করে ফেলব। যদি সেটা শুরু করতে পার দেখবে তুমি আবার উদ্দ্যেশ্য, বন্ধু, পরিবার এবং ক্যারিয়ার সব কিছুই ফিরে পেয়েছ। নিজেকে নিজে করুণা করো না, নিজেকে নিজে অজুহাত কিংবা ধোকাও দিও না।

রুম্পা,শ্যামলী…
প্রশ্ন: স্যার, আমার বয়স ২০। আমার জীবনের কোনো লক্ষ্য নেই বা কোনো লক্ষ্য আমি স্থির করতে পারছি না। কিছু করতে ইচ্ছাও করে না। আমার কি বেঁচে থাকা উচিত?
উত্তর: এটা কী একটা প্রশ্ন হল, বল! একটা মানুষের জীবন কতো বড় একটা ব্যাপার তুমি জান? তোমার বয়স মাত্র ২০, তোমার সামনে পুরো জীবনটাই পড়ে আছে, কত কী তুমি করতে পারবে কখনো চিন্তা করে দেখেছ?

আফজাল হোসেন অভি ॥ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা
প্রশ্ন: আমার হঠাৎ করে কেন যেন আপনার সাথে বসে পদ্মার ইলিশ মাছ ভাজা, ঘন ডাল, শুকনো মরিচ দিয়ে গরম ভাত খেতে ইচ্ছে করছে। প্রথমে ইচ্ছে ছিল কিন্তু লিখতে লিখতে এখন অদূর ভবিষ্যত মনে হচ্ছে।
উত্তর: যেহেতু আমাকে এই মূহুর্তে পাচ্ছনা, একা একাই পদ্মার ইলিশ, ঘন ডাল, শুকনো মরিচ দিয়ে গরম ভাত খেয়ে নাও!

প্রজ্ঞা অমিতা 1253,Croes ave Bronx, NY,10472
প্রশ্ন: আপনার সাথে ২০০৫ এ দ্বারীকা পাল মহিলা কলেজ, শ্রীমঙ্গল এ দেখা হয়েছিল, কিন্তু ছোট ছিলাম তাই অটোগ্রাফ নিতে ভুলে গেছি। আপনার বই পড়েই আমি বই পড়া শিখেছি। মুক্তিযুদ্ধকে যে অনুভব করা যায় তাও আপনার লেখা থেকেই জেনেছি।
উত্তর: থ্যাঙ্কু। নিউ ইয়র্কে কেমন আছ?

আবু সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম ছাতক,সুনামগঞ্জ।
প্রশ্ন: স্যার! পড়তে মন চায় না। আর মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যদি কিছুক্ষণ বই নিয়ে বসি সেটা বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়না। এখন কী করা উচিৎ?
উত্তর: মনের বিরুদ্ধে ছোটখাটো গেরিলা যুদ্ধে হবে না, নিউক্লিয়ার যুদ্ধে যেতে হবে।

প্রশ্ন: মাথায় অনেক প্রশ্ন কিন্তু আজ যখন সুযোগ পেলাম কিছুই বলতে পারছি না। শুধু একটা কথাই বলবো আপনি এমন একজন মানুষ যার বই পড়ার জন্য ২০০৩ সালে ৩য় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় রাত ২টা পর্যন্ত জেগে ছিলাম। তারপর আর ওই রাতে ঘুমুতে পারিনি। সারারাত কেঁদে ছিলাম। পরেরদিন স্কুলেও যাওয়া হইনি। বইটি ছিল ” আমি তপু “। খুব রাগ হয়েছিল আপনার উপর। তপুর মায়ের মারা যাওয়াটা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। কিন্তু ওই একদিনের রাগ, একদিনের কান্নার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক অনেক ভালো থাকুন। একদিন না একদিন ঠিক দেখা হবে। 🙂 🙂
উত্তর: হ্যাঁ, একদিন নিশ্চয় দেখা হবে।

মুনা,ঢাকা।
প্রশ্ন: স্যার,প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। এটা অবশ্যই লজ্জাকর। তবে যারা ঠিকঠাক লেখাপড়া করে তারা কিন্তু ঠিকই ভবিষ্যৎ এ ভাল করে।ফাঁসকারিদের কাছে হেরে যায়না।
উত্তর: তুমি ঠিকই বলেছ, আমিও দেখেছি যারা ঠিক করে লেখা পড়া করে তারা যেহেতু সবকিছু জানে, শেষ পর্যন্ত তারাই “প্রশ্ন ফাঁস করে পরীক্ষা দেয়া দুর্বৃত্ত”দের থেকে অনেক ভালো করে।

প্রশ্ন: টাইম মেশিন দিয়ে ভবিষ্যৎ থেকে যদি কেও আসে আমি কিভাবে বুঝতে পারবো। যদি কেও আসে এসে নিজের মাকে(যখন তার জন্ম হয়নি) অথবা ছোট্ট নিজেকে ই মেরে ফেলে তাহলে ভবিষ্যৎ সময় এ সেই লোক কিভাবে অবস্থান করবে।
উত্তর: টাইম মেশিন তৈরী হলে এরকম কিছু যেন ঘটতে না পারে তার নিশ্চয়তা গ্যারান্টি করতে হয়।

শাম্মা
প্রশ্ন: স্যার আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স এ পড়ি,স্যার আমি Astronomy নিয়ে পড়তে চাই…ভবিষ্যতে সার্ন এ অ্যাপলাই করার যোগ্যতা অর্জন করতে চাই..স্যার আপনি কি আমাকে এ সম্পর্কে শুরু থেকে কিভাবে আগাবো একটু বলবেন ….
উত্তর: তুমি ঠিকই শুরু করেছ,  ফিজিক্স  দিয়েই শুরু করার কথা।

বর্ণা, যবিপ্রবি।
প্রশ্ন: স্যার, সালাম নিবেন। আমাদের সময় GMT+6 আর অন্যদিকে ইউরোপে যেমন: ফ্রান্স, জার্মানিতে GMT+1/GMT+2, আমাদের চাঁদ-সূর্য প্রতিদিন ওখানকার তুলনায় আগেই উঠে তারপরেও ঈদ ওইখানে আমাদের আগে হয় কি করে? মানে স্যার জানতে চাই যে ওইখানে ঈদের চাঁদ আগে উঠে কি করে?
উত্তর: বিশেষজ্ঞরা আমার থেকে অনেক ভালো ভাবে তোমার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে।

কলিমুল্লাহ মাশুক। পদার্থ বিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রশ্ন: আমি যতটা না আপনাকে পছন্দ করি, ঠিক তেমন আপনাকে ঘৃণা করার মানুষ আমার আশেপাশেই। যদিও খুব কষ্ট হয় মেনে নিতে। তারপর ও নিজেকে সান্তনা দি এই ভেবে যে, আমাদের কাজ ই হল যেকোন কিছুতে দুই ভাগ হয়ে যাওয়া। যেমন ২০১৩এর গণ জাগরণ মঞ্চের আন্দোলনেও আমরা দুই ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু আমার খুব জানার ইচ্ছা, আপনি এসব কিভাবে নেন? উদাহরণ হিসেবে বলি আপনার রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধীদের উক্তি কিংবা আপনার ধর্মীয় চেতনার বিরোধীদের উক্তি, এমন কিছু আপনি নিজে কিভাবে নেন?
উত্তর: কোনোভাবেই নেই না। কোনোকিছুকে একেবারে পাত্তা না দেয়ার বিষয়টা তুমি জান? আমি সেটাই করি।  আমি মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি সেজন্যে পুরাতন আর নুতন রাজাকারদের গা জ্বালা করে তাই বেচারাদের আমার বিরুদ্ধে এত লাফ ঝাপ। ভাগ টাগ ওসব কিছু না।

প্রশ্ন: ও আল্লা । স্যারতো আমাদের টাইম ই দেন না ।
উত্তর: এই যে দিলাম!

সাকিব সরোয়ার রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল
প্রশ্ন: দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলো বন্ধ হচ্ছে না কেনো? বাঙালীর ছেলে বাংলাদেশে থেকে বাংলা মাধ্যমে না পড়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ছে। ব্যাপারটা খুব কষ্ট লাগে।
উত্তর: কী বলছ তুমি? আমি নিশ্চিত তোমার স্কুলেও ইংরেজী মাধ্যম (ন্যাশনাল কারিকুলাম) আছে, ওটাও বন্ধ করে দিবে? তুমি বলতে পার, সমস্যা থাকলে সংস্কার করে সমস্যা দূর করা দরকার।জোর করে কোনো কিছু বন্ধ করে দিলে আসলে সমস্যার সমাধান হয় না।

Juthi & Safa…from:Rangpur.
প্রশ্ন: Sir.. At a thik question na..!!. Amadr IQ khub kom.. Tai apnar IQ churi krta chai…
উত্তর: তোমার IQ কম এই মূল্যবান তথ্যটা কোথা থেকে পেলে? আমার IQ বেশী এরকম ধারনা কিভাবে হল? IQ চুরি করতে হবে না, আমার এখন যে বয়স হয়েছে IQ দিয়ে কি করব? পুরোটা একটা পলিথিনের ব্যাগে ভর্তি করে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারি।

mohi uddin shamim Azimpur ,Dhaka theke.
প্রশ্ন: ami eibar 21 e boi melay apnar ekti photo tulechi.and chobi ta amar onk pochonder..ami chachchi apnake dekhate.. jdi sir kindly apnar fb or mail id ta diten tahole ami pathate partam..
উত্তর: ছবিটা কোথাও রেখে তার লিঙ্কটা আমাকে পাঠিয়ে দাও, ডাউনলোড করে নেব।

কুমুদিনী, কানাইঘাট, সিলেট।
প্রশ্ন: “বইয়ের হাট” নামে একটা এপ্লিকেশন বানিয়েছে একজন। এখনো প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে এপ্লিকেশনটা। বিভিন্ন লেখকদের বই ক্যাটাগরি করে সাজিয়ে দেয়া আছে এখানে। আপনি কি এপ্লিকেশনটা ইম্প্রুভ করতে হেল্প করতে পারবেন? তাছাড়া এপ্লিকেশন প্রমোট না করলে মানুষ জানতেও পারবে না এটা সম্পর্কে।
উত্তর: এ কাজ গুলো করে কম বয়সীরা, এখানে আমার সাহায্য করার কিছু নেই। যখন এপ্লিকেশনটা রেডি হবে অন্য সবার সাথে আমিও ব্যবহার করব।

নাফিসা, ঢাকা
প্রশ্ন: বাংলদেশের মৌলবাদী মানুষের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে এবং তারা সক্রিয়ভাবে মৌলবাদ প্রচার করছে। ……।আগের গন্ডী পেরিয়ে মৌলবাদ আজ উচ্চশিক্ষিত, মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। এদের এক বড় অংশ বিজ্ঞানবিষয়ক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত। যেহেতু বাংলাদেশের সমাজের মূল্যবোধ এই শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজই ঠিক করে, উদ্বিগ্ন বোধ করার যথাযথ কারণ রয়েছে। এদিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিযোগ তুলে মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পথও কার্যত বন্ধ। এ অবস্থায় আমাদের করণীয় কি?
উত্তর: আমি খুব নিশ্চিত নই যে আসলেই মৌলবাদী মানুষের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে। তুমি সত্যিই কি মনে কর আমাদের সমাজটা মৌলবাদীদের দেশের জন্যে প্রস্তুত হয়েছে? মোটেও না। আমি বরং উল্টোটা মনে করি। শুধু একটা উদাহরণ নাও, তুমি কি দেখেছ পয়লা বৈশাখ এদেশে কিভাবে পালন করা হয়? মৌলবাদী সমাজে এটা সম্ভব? আমার মনে হয় এই সব প্রতিরোধ করার সবচেয়ে সোজা আর সবচেয়ে কার্যকর পথ হচ্ছে সাংস্কৃতিক আন্দোলন।

বিবেক চন্দ্র দে,দশম শ্রেনি,বোরহানউদ্দীন,ভোলা
প্রশ্ন: স্যার ভাল লাগে না,আমাদের উচ্চতর গনিত বইটা ভুলে ভরা। কেন যে আপনি আমদের পাঠ্য বই লেখেন।আপনার লেখা বইটি পাঠ্য বই হলেও বার বার পড়তে ইচ্ছে করে।
উত্তর: দুশ্চিন্তার কারন নেই, আমি যতদূর জানি, পাঠ্যবইগুলো সুন্দর করে লেখার জন্যে একটা বিশাল পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ফারজানা, ঢাকা
প্রশ্ন: আপনার ডাকনাম তো ইবু। রুবাই কে বললেন না কেন?
উত্তর: উঁহু। আমার কোনো ডাকনাম নেই, কেউ আমাকে ইবু ডাকে না!

palash roy.. civil engg,hstu,dinajpur
প্রশ্ন: স্যার আমি সেই ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে আপনার লিখা পরি।।। একদিন আমার বড় বোন আপনার “নিঃসঙ্গ গ্রহচারী ” বইটি উপহার দিয়েছিল।।। তারপর থেকে আপনার বই পড়ি।।। খুব বেশি পড়তে পারি নাই।। আমার বই কিনার মত টাকা ছিল না।।। আমার এক বন্ধুর কাছে আপনার লিখা অনেক বই এক দিন দেখে চাইছিলাম।। কিন্তু দেয় নাই।।। ইচ্ছা করছিল তার নাক এক ঘুষিতে ফাটায় ফেলতে।।।। আপনাকে দেখার খুব ইচ্ছা স্যার।।। এজন্য কি করতে হবে স্যার আমাকে???????
উত্তর: কারো নাক ঘুষি দিয়ে ফাটাও নাই সেজন্যে অভিনন্দন। সিলেটে এলেই আমার সঙ্গে দেখা হতে পারে। (প্রতি বাক্যের শেষে তিনটা করে দাড়ি দেওয়ার কারণটা কী? এবং প্রশ্নবোধক চিহ্ন সাতটা?)

তাসরিফা জান্নাত। তনু সিলেট
প্রশ্ন: আমি সিলেট মহিলা কলেজ এর প্রথম বর্ষের একজন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। এসএসসি তে জিপিএ ৫ পেয়েছি (সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায়) . জিপিএ ৫ পাওয়ার কথাটা আমি গর্ব করে কখনোই বলি না ।আপনাকেও বলিনি।কথার শুরুতে একটু-আধটু সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া ছাড়া আর কিছু না….
আমি পদার্থ পড়তে অত্যন্ত ভয় পাই। এই ভয় পাওয়াটা কলেজ এ আসার পরে আরো বেড়ে যায় যখন আমাদের পদার্থ বইগুলো দেখি। আসলে বেপারটা হলো, বই এ প্রতিটা বিষয়ের সমীকরণতো ঠিকই আছে কিন্তু এই সমীকরণগুলো কিভাবে আসলো, কেন আসলো তার কোনো আগা-মাথা নেই। একটা উদাহরণ দেই– বই এ কৌণিক বেগ এর একটা ছুট্ট সংজ্ঞার পরেই পাশে লেখা “এর ভেক্টর গাণিতিক প্রকাশ হলো v=w(ওমেগা) X r”. এই সমীকরণ কেন হলো তার কোনো ব্যাখ্যাই নেই। বই দেখলে মনে হয় যেন লেখকরা খুব তাড়াহুড়ো করে বইটা লিখেছেন। এই অবস্থায় কিভাবে মন থেকে পদার্থ পড়ার এই ভয় দূর করি?
উত্তর: আমি শুনে খুশি হলাম যে তুমি বিষয়গুলোর একটু গভীরে যেতে চাও। সে জন্যেই স্কুল কলেজ থাকে, শিক্ষকেরা থাকেন। কিন্তু আমাদের শিক্ষকেরা অনেক সময় সাহায্য করতে পারেন না, তখন আসলে বইয়ের সাহায্য নিতে হয়। শুধুমাত্র একটা পাঠ্যবই পড়লে অনেক সময় হয় না, অনেক লেখকের অনেক বই কিনলে ভালো। ইংরেজি মিডিয়মের বইগুলো খুব ভাল। আজকাল ইন্টারনেটে যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। কাজেই উত্তর খুঁজতে থাক, পেয়ে যাবে। উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্ট হবে না।

মার্জিয়া চৌধুরী,বাংলাদেশ
প্রশ্ন: স্যার পড়া ভুলে যাই অল্পতেই।নিজেকে অসুস্থ মনে হচ্ছে।কি করব????
উত্তর: পড়া মনে রাখার জন্যে না, পড়া বোঝার জন্যে। বোঝার চেষ্টা করে পড়, দেখবে ভুলবে না!পড়া মনে না রাখা যদি অসুস্থতার লক্ষণ হয় তাহলে এই দেষে সুস্থ মানুষের সংখ্যা খুব বেশি না।

রাফিদ ইজতেহাদ, কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন: স্যার, আমরা জানি, বিভিন্ন রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্ক ভিন্ন হয়। আবার, সাদা আলো আসলে সব রঙের আলোর মিশ্রণ। তাহলে সাদা আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্ক কেমন হবে? এটা কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর: সাদা আলোতে সব রঙের আলো আছে। কাজেই এর মাঝে সব তরংগ দৈর্ঘের (কিংবা সব কম্পাংকের) আলোক তরংগ আছে। (তবে কম্পিউটার মনিটরে কিংবা স্মার্ট ফোনে শুধু লাল, নীল আর সবুজ রঙ দিয়ে সাদা রঙ তৈরী করা হয়। বিশ্বাস না হলে স্ক্রিনের উপর এক ফোটা পানি দিয়ে দেখ!)

শিমু, যশোর।
প্রশ্ন: স্যার অাপনার হতাশার কথা পড়ে খুব মন খারাপ। অাপনি অামাদের অাশাবাদী হতে শিখিয়েছেন। অাপনি ভেঙে পড়লে অামরা কোথায় যাবো? ……
উত্তর: না না না আমি মোটেই ভেঙ্গে পড়িনি। আমি কেন ভেঙ্গে পড়ব? আমার কত কী করার প্ল্যান- এখন কি অন্য কিছু ভাবার সময় আছে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, চাকুরিজীবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশ্ন: পড়াশোনা শেষ করার পর ভালো চাকুরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সুযোগ পাইনি।ছোট ভাইয়ের পড়াশোনাও দেখতে হতো। যা পাই তাতেই লাভ ভেবে খুবই স্বল্প বেতনে চাকুরিতে লেগে পড়ি। বন্ধু বান্ধবরা ২/৩ বছর বেকার থেকে আজ ভালো পদে চাকুরি করছে। কিছুটা হীনমন্যতায় ভুগি। তাদের মতো ভালো বেতনের, উচ্চপদে যাওয়ার জন্য চাকুরি বিষয়ক পড়াশোনা শুরু করতে হবে। কিন্তু চাকুরিরত অবস্থায় তা করতে পারছিনা। ভাইয়ের কলেজের খরচতো আছেই, পাশাপাশি বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দেয়ার পর নতুন সংসারের দায়িত্বও আছে। যেহেতু ভাইকে সাপোর্ট করছি তাই স্বামীর সংসারেও অবশ্যই কিছুটা সাপোর্ট করতে হচ্ছে। এখনো সরকারী চাকুরির বয়স আছে। কিন্তু পরীক্ষা গুলোর প্রস্তুতি নিতে পারছিনা। মাঝে মাঝে সব কিছু ছেড়ে একটা বই নিয়ে বসে পড়ি এইভেবে যে, টাকা পয়সা না হলেও চলবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়না। কঠিন চিন্তা ভাবনা গুলো মস্তিষ্ককে সবসময় এমনভাবে জেঁকে ধরে যে অামি সুখী এই ভালোলাগাটুকু পর্যন্ত মাথায় আসার সুযোগ পায়না। দুঃখের বিষয় হলো স্বামীর চিন্তার গভীরতা একটু কম (যদিও এতে তার দোষ নেই, সবাই বেড়ে উঠার পরিসর সমানভাবে পায়না)। দিন দিন মনে হয় আমি হেরে যাচ্ছি, তলিয়ে যাচ্ছি হতাশায়। শুধু একটা ভালো মানের চাকুরী হয়তো সব সমাস্যার সমাধান, কিন্তু সারাদিন অফিস করে, সংসার সামলিয়ে প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষাগুলোর জন্য কিভাবে নিজেকে কীভাবে তৈরী করবো সে হিসাব মিলাতে পারি না। স্যার, কোনো একটা বুদ্ধি কি স্যার বলতে পারেন?
পুনশ্চ: অামার বই পড়ার প্রবল ঝোকঁ ছিলো, তবে এইসব কঠিন চিন্তার জন্য তাও আজ প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। প্লিজ, এমন কিছু বলুন যাতে একটু ভালো লাগে, নিজেকে আবার দাঁড় করানোর কোনো রাস্তা খুঁজে পাই।জানি আপনার জন্য খুবই কঠিন, তবুও যেহেতু আমার সমস্যাটা প্রবল, একটু কষ্ট করে উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
উত্তর: প্রথমত তোমাকে অভিনন্দন এতো সুন্দর করে এত অল্প কথায় তুমি তোমার পুরো পরিস্থিতিটুকু বুঝিয়ে দিয়েছ বলে। নিজের অবস্থার এতো সুন্দর এবং বাস্তব বিশ্লেষণ আমি খুব কম দেখেছি। তুমি লিখেছ তুমি ছোট খাটো একটা চাকুরি কর কিন্তু তোমার লেখাটি পড়ে আমার মনে হয়েছে তোমার এত চমৎকার ম্যাচুরিটি তোমার নিশ্চয়ই আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা উচিৎ। কাজেই কষ্ট হলেও তোমার উপযুক্ত একটা কাজ খুঁজে নাও। হেরে যেও না, তলিয়ে যেও না, এবং সবচেয়ে বড় কথা বই পড়া ছেড়ে দিও না। কোনো একদিন তুমি আমাকে জানাবে যে তুমি তোমার উপযুক্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ পেয়েছ (হয়তো তখন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকতে হবে না!) আমি সেটার জন্যে অপেক্ষা করে থাকব!

প্রশ্ন: গল্প আর আসে না বইও আসে না । কী ওয়েবসাইট বানালেন ?
উত্তর: ঠিকই তো বলেছ! কি ছাই ওয়েবসাইট বানালাম!

মাহিদ আল সালাম, অর্থনীতি বিভাগ, সাস্ট। পিজিডি ২য় ব্যাচ।
প্রশ্ন: স্যার, প্রোগ্রামিং নিয়ে একটা ভালো বই কি লেখা যায় না???
উত্তর: অবশ্যি লেখা যায়। কিন্তূ যেগুলো আছে সেগুলোর সমস্যা কি?

আদনান , মিরপুর , ঢাকা ।
প্রশ্ন: স্যার আমার একটা অভিযোগ আছে , আমি ২৯ তারিখ একটা প্রশ্ন করি , সেটার উত্তর এখনো পাই নি ?? স্যার , এখানে কি বাছা বাছা প্রশ্নের উত্তর ই শুধু দেয়া হয় ??
উত্তর: আমি তো কোথাও ঘোষণা দিইনি যে সব প্রশ্নের উত্তর দেব। কিংবা দুইদিনের ভিতর উত্তর দেব। কিংবা উত্তর না দিলে মুল্য ফেরৎ। কিংবা উত্তরে তথ্যগত ভুল থাকবে না। কিংবা আমার উত্তর পড়ে কারো মেজাজ গরম হবে না। কিংবা জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর আগে দেয়া হবে। কাজেই কী আর করবে, আমার উৎপাতটা মেনে নাও!

troyee ,mymensingh
প্রশ্ন: rag hoya chelo apne prosno poran nay tay.kintu apne ato mojar manus ja r rag kora thakta parlam na
উত্তর: থ্যাঙ্কু যে তুমি আমার উপর রাগটা ধিরে রাখো নাই।

ফাতিমা-তুজ-জোহরা (ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ)
প্রশ্ন: ……স্যার, ‘কুৎসিত’ এর কোনো সর্বজনগ্রাহ্য মানদণ্ড আছে কি? আপনার দৃষ্টিতে কুৎসিত একটি বইকে আপনি কুৎসিত নিঃসন্দেহে বলতে পারেন, এটি আপনার বাকস্বাধীনতা। কিন্তু স্টল নিষিদ্ধ করে প্রকাশককে রিমান্ডে নেবার পর বইটি সবাইকে পড়তে নিষেধ করা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক কি? নাকি পাঠকের যে কোনো বই পড়ার পর গ্রহণ বা বর্জনের স্বাধীনতাই আমাদের সংস্কৃতি হওয়া উচিৎ? নিজ অবস্হান থেকে কোনটিকে উৎসাহিত করা জরুরি বলে মনে করেন?……
উত্তর: এটা বাচ্চাদের সাইট তাই আমি তোমাকে উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা আমার মত করে বোঝাতে পারছি না। হিটলারের মাইন ক্যাম্ফ নামে বই আছে, মওদুদীর ধর্মীয় সহিংসতার উপরে বই আছে, আই এস এর জঙ্গি বানানোর বই আছে, ক্লু ক্লাক্স ক্ল্যানের কালো মানুষের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো বই আছে। ওই সমস্ত বই পড়ে উৎসাহিত হয়ে যারা ইহুদিদের কিংবা কাদিয়ানিদের কিংবা ব্লগারদের কিংবা কালো মানুষদের খুন করেছে, সেই খুন হয়ে যাওয়া মানুষদেরকে কি তুমি বোঝাতে পারবে যে তাদের জীবন তুচ্ছ- বাক স্বাধীনতাটাই গুরুত্বপূর্ণ? তুমি যেই বইগুলোর কথা বলছ, আমি সেই বইগুলো দেখেছি তাই আমি যখন এই বইগুলো পড়তে নিষেধ করি আমার নিজের দায়িত্বে করি। কোন বইটা পড়া উচিৎ আমি প্রায়ই তার তালিকা বাচ্চাদের হাতে ধরিয়ে দেই, সেটাতে যদি তুমি আপত্তি না কর তাহলে কোন বইটা পড়া উচিৎ না সে ব্যাপারে আমার সাজেশনটাকে তুমি কেন আপত্তিকর মনে কর? আমার সাজেশনটা শুনতে হবে এরকম তো কোনো বাধ্যবাধকতা নেই! (আসলে উল্টোটা হয়েছে, কেন এই বইটাকে কুৎসিত বলেছি সেটা বের করার জন্যে অনেকে বইটা খুঁজে বের করে পড়ার চেষ্টা করেছে!)

তাপসী দে প্রাপ্তি হলিক্রস কলেজ ফার্মগেট,ঢাকা
প্রশ্ন: আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিলেন না
কেন??ঢাকা থেকে কানাডা পর্যন্ত সব্বাই আছে,শুধু আমি নাই!! আমি রাগ করেছি,কষ্ট পেয়েছি, অভিমান করেছি।
উত্তর: আসলেই তুমি তোমার প্রশ্নের উত্তর পাও নাই? কী আশ্চর্য! কী জানি ছিলো তোমার প্রশ্নটা?

মোঃ ইশতিয়াক ইউনুছ, ঢাকা
প্রশ্ন: লেখাপড়া না থাকলে কী হত?
উত্তর: কী যে মজা হতো!

আশিক, SUST CSE 09, ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার… আমি আপনার ছাত্র!(আমি কক্ষন ই প্রাক্তন ছাত্র বলতে চাইনা!)
…স্যার আপনার ক্লাস করার সময় মনে হয়নাই যে এমন সময় আসতে পারে যখন আর আপনার ক্লাস করা হবে ন!…
…স্যার একদিন ল্যাব এ একটা ভুল করায় বকা দিয়েছিলেন বলে একটু কস্ট পেয়েছিলাম… কিন্তু পাচ মিনিট পরেই আবার ভুলে গেসিলাম!…
স্যার আপনার ক্লাস আবার করতে চাই… …আরেকটা কথা… আপনাকে কক্ষন ও বলা হইনি স্যার… ‘আমি, আমরা আপনাকে অনেক ভালবাসি!’
উত্তর: তুমি ঠিকই বলেছ ল্যাব ক্লাশে আমার বকা খায় নাই, এরকম মনে হয় কেউ নাই! আছে? থ্যাংকু আশিক আমার বকা ঝকা খেয়েও আমাকে পরিত্যাগ করনি!

রাফিদ ইজতেহাদ, কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন: স্যার, আমাকে আপনার এসিস্ট্যান্ট বানাবেন? প্লিজ…..
উত্তর: তুমি যদি ওয়েবসাইটে আসা হাজার হাজার প্রশ্নের উত্তর দ্রুত দিতে পার, তাহলে অবশ্যই এসিস্ট্যান্ট বানাব। পারবে?

বিশাল নয়াপল্টন, ঢাকা
প্রশ্ন: প্রিয় স্যার, আমি অল্প কিছু দিন আগে ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েছি। আমি খুবই আনন্দিত যে ঢাকা কলেজে আপনি সহ আমার আরো কিছু প্রিয় ব্যক্তিত্ব যেমন হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ূন আজাদ পড়াশুনা করেছেন। ঢাকা কলেজ সম্পর্কিত আপনার কোনো সুখ স্মৃতি শুনতে চাই। আপনি কেমন স্টুডেন্ট ছিলেন, কোন সেকশনে ছিলেন, ক্লাস ফাঁকি দিতেন কিনা.. দিলেও ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কি করতেন জানতে চাই।
উত্তর: তখন ঊনসত্তুরের গণ আন্দোলন চলছিল, ক্লাশ খুব বেশি একটা হতো না। কলেজের ভেতর থেকে বাইরে পুলিশ ই পি আর দের ঢিল মেরে সময় কাটাতাম। পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে গল্প বই পড়ে কলেজ জীবন কাটিয়ে দিয়েছিলাম। শহীদ জননীর ছেলে রুমি আমাদের ক্লাশে পড়তো!

ফাতিন ইসরাক বিটিসিএল, রংপুর।
প্রশ্ন: স্যার! আমি ভালো লেখক হতে চাই। এজন্য কি করতে হবে?
উত্তর: অনেকবার বলেছি, আবার বলি। পড়, পড় এবং আরো বেশি পড়।

ইমদাদুল হক, জার্মানী।
প্রশ্ন: স্যার আমি আপনার প্রাক্তন ছাত্র, সিএসই ডিপার্টমেন্টের। আমার একটা স্বপ্ন ছিল, সেটা হচ্ছে লেখক হুমায়ুন আহমেদের সাথে সরাসরি দেখা করা এবং কোন এক আসরে বসে তার ইন্টেলেকচুয়াল স্পিচ শুনা। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পুরন হলনা। আমার তার পরের ইচ্ছে ছিল আপনার সামনে বসে গল্পগুজব শুনা, … কিন্তু আফসোস আমি ভার্সিটিতে পড়া অবস্থায় কখনো মুখ ফুটে আপনার সামনে এসে বলতে পারিনি যে “আপনি নেক্সট যখন কোথাও আড্ডা অথাব গল্পগুজব করবেন আমকে ডাকবেন, আমি সেই আসরে বসে আপনার কথা শুনব।” আপনাকে আপনার সব ছাত্ররাই অসীম সম্মান করে, কিন্তু মোটামুটি ভয়ও পায়। আমিও সেই ভয়ের কারনে আমার ইচ্ছেটা পুরন করতে পারিনি। আশা করি আপনি ছাত্রদের এই ভয়ের ব্যাপারে কিছু একটা করবেন। 🙂 আপনার সান্নিধ্য এই তরুনদের চিন্তার করার খোরাক যোগাবে, চিন্তা করার পদ্ধতিরও উন্নতি হবে……
উত্তর: তুমি ঠিকই বলেছ, আমার ছাত্র ছাত্রীরা মনে হয় আমাকে যমের মত ভয় পায়! কারণটা কী কে জানে! তোমার এখন তো আর ভয় পাওয়ার দরকার নেই, তাই পরেরবার দেখা হলে গল্পগুজব করো!

Razib Dutta Omi , Dunedin, New Zealand
প্রশ্ন: স্যার ছোটবেলা থেকেই আমার মাথায় অদ্ভুত সব প্রশ্ন আসতো, হয়ত বিজ্ঞান ক্লাসে স্যার পড়াচ্ছেন পদারথের প্রকারভেদ, আমার মাথায় ঘুরছে সাবানের ফেনা কি ধরনের পদারথ? কঠিন নাকি তরল নাকি বায়বীয়? স্যার আমি কি পাগল?
উত্তর: না তুমি পাগল না, বড়জোর পাগল পাগল।

মুশাফ, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, ঢাকা
প্রশ্ন: প্রথম প্রশ্নটা মাথায় এসেছিল ছোটবেলায়। ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ বইয়ে ইবু নামে একটা চরিত্র ছিল। অনেকেই আপনার ডাকনাম জিজ্ঞেস করেছে। আমার তখন মনে হয়েছিল এটা আপনারই ডাকনাম। আসলেই কি তাই? রাশেদ নামে কি আপনার সেরকম কোনো বন্ধু ছিল?
দ্বিতীয়টা আপনার হাতের লেখা নিয়ে। আপনার একটা বইয়ে সামান্য নমুনা দিয়েছিলেন। সেটা দেখে তৎক্ষণাত যে প্রশ্নটা মাথায় এসেছিল – আপনি প্রকাশকদের কাছে যে হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি পাঠান সেটা কি আবার আপনাকেই গিয়ে পড়ে দিয়ে আসতে হয়? 😛
উত্তর: না ইবু আমার ডাকনাম না। কেউ আমাকে ইবু নামে ডাকে না। মুক্তিযুদ্ধে মারা গিয়েছে আমার সেরকম প্রায় কিশোর বন্ধু আছে, কিন্তু রাশেদের মত কেউ নেই। ওই চরিত্রটা কাল্পনিক। না, আমার প্রকাশকদের কাছে গিয়ে আমার পান্ডুলিপি পড়ে দিয়ে আসতে হয় না। আমার হাতের লেখা দেখলে এক ধরনের বমি বমি ভাব হয় সেটা সত্যি, কিন্তু সেটা চেপে রাখলে পড়ে ফেলা যায়!

Sanjida Srity,Kurigram
প্রশ্ন: Sir can you explain me why 1+1=1 in Boolean theory??I asked this question several times to my teachers but I didn’t got an appropriate answer which could satisfy me.
উত্তর: বুলিয়ান এলজেবরা তোমার পরিচিত এলজেবরা না, এটা একটা ভিন্ন এলজেবরা, কাজেই এর নিয়ম তোমার পরিচিত এলজেবরার মত হতে হবে কে বলেছে? এই এলজেবরাতে সংখ্যা আছে মাত্র দুটি, একটা 0 আরেকটা 1। এই সংখা দুটি দিয়ে যা কিছুই করো ফলাফল হতে পারবে হয় 0 তা না হলে 1, অন্য কিছু তো নেই, আর কিছু হবে কেমন করে? নতুন এলজেবরা বানালে তার জন্যে নতুন কিছু নিয়মও বানাতে হয়। তোমার পরিচিত এলজেবরার অনেকধরনের নিয়ম আছে, বুলিয়ান এলজেবরায় নিয়মও খুব কম এবং খুব সহজ। 0 এবং 1 এই দুইটা সংখ্যাকে দিয়ে মাত্র তিনটা ভিন্ন কাজ (OR, AND Compliment) করা যায়। আমাদের পরিচিত এলজেব্রার সাথে তুলনা করলে OR অনেকটা যোগ এবং AND অনেকটা গুণের মত, এছাড়া আছে কমপ্লিমেন্ট। গুণ (কিংবা AND) খুব সোজা, আমাদের পরিচিত এলজেব্রার নিয়মের মতো 0x0=0, 0x1=0, 1×0=0 1×1=1। কমপ্লিমেন্টটাও সোজা কমপ্লিমেন্ট(0)=1 আবার কমপ্লিমেন্ট (1)=0 যোগটাও (কিংবা OR) সোজা, 0+0=0, 0+1=1, 1+0=1 শুধু 1+1=? বের করার সময় একটু চিন্তা করতে হয়। আমাদের পরিচিত এলজেবরা বলে এটা হবে 2, কিন্তু বুলিয়ান এলজেবরাতে আছেই শুধু 0 আর 1, 2 বলে কিছু নেই। তাই 1+1=যদি কিছু একটা বলতেই হয় তাহলে সেটা হতে হবে 0 কিংবা 1। এখন আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করি 1+1 = কত হয়া উচিৎ? + চিহ্নের জায়গায় কল্পনা কর AND. আরেকটু সাহায্য করি: ভাত খেলে (1) AND রুটি না খেলে (0) পেট ভরে (1+0=1), ভাত না খেলে (0) এবং রুটি খেলেও (1) পেট ভরে (0+1=1), ভাত খেলে (1) AND রুটি খেলে (1) কী হবে? পেট ভরবে (1+1=1)! তাই বুলিয়ান সাহেব খুবই যৌক্তিক কারনে বলেছেন 1+1=1!

আলিফ আরেফুর । ঠাকুরগাঁও ।
প্রশ্ন: স্যার ছোট থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী হারিয়েছি বই । তার মধ্যে আপনার বইই বেশী । বই পড়ার জন্য কেউ নিলে আর ফেরত দেয় না বা দিতে পারে না । কারণ বইটা বা বইগুলো এতো বার হাত বদল হয় যে তার সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয় না । আমার একটা প্রস্তাব হলো, প্রতিটি বইয়ে একটা ট্রাকিওশন লাগিয়ে দিলে কেমন হবে?
উত্তর: লাইব্রেরিতে আজকাল লাগায় শুধু নামটা ভিন্ন, এটাকে ট্রাকিওশন না বলে বলা হয় আর এফ আই ডি (RFID)!

Aurchan.Kajla,Rajshahi
প্রশ্ন: Sir, akti kobitay koybar akti shobdho beboher hoache ata kono proshno hoy?
উত্তর: কেন হবে না, অবশ্যই হয়। ভাষা নিয়ে গবেষণা করার জন্যে কম্পিউটার দিয়ে এগুলো অহরহ করা হয়।

সৈয়দ এহসান, মৌলভীবাজার
প্রশ্ন: আমি জানি আমার প্রশ্ন দেখে মুছে ফেলা হবে এবং উত্তর দেওয়া তো দুরের কথা, শুধু চাই একবার পড়ুন আমার কথা।
আপনার বই বেশি পড়া হয় নি। আমি হুমায়ুন স্যারের মোটামুটি সব বই পড়েছি। একটা তফাত চোখে পরেছে, আপনার আর হুমায়ুন স্যারের লেখায়। তা হলো ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি। আপনি যেটা একটু বেশি করেন আর হুমায়ুন স্যার কম। আমি বলতে চাচ্ছি না যে আপনি আপনার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় লাগাম ধরুন, আমি শুধু বলতে চাচ্ছি, আপনি বিজ্ঞানের মানুষ বিজ্ঞান নিয়ে লেখুন বিজ্ঞান নিয়ে বলুন, ধর্মকে আঘাত করার অধীকার আপনাকে কেউ দেয় নি । আমার প্রশ্ন হচ্ছে, “সিলেট ছেড়ে আপনি যাচ্ছেন কবে? ”
উত্তর: রিটায়ার করার পর। এর আগেই একবার যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, ছাত্রছাত্রীরা যেতে দেয়নি।

ইকরা,ফেনী|
প্রশ্ন: স্যার আনারস খাওয়ার পর দুধ খেলে কী আসলেই বিষক্রিয়া হয়?
উত্তর: আমি কথাটা অনেকবার শুনেছি, কিন্তু বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমান পাইনি। কিন্তূ যেহেতু বিষক্রিয়া শব্দটা আছে, এবং আমি খাদ্য বিশেষজ্ঞ নই, আমি নিজে থেকে কিছু বলতে চাই না। চিনাবাদামের মত নিরীহ জিনিষ খেয়ে এলার্জিক রি-একশান হয়ে মানুষ মারা যায় কাজেই কখন কি খেয়ে কার কি হতে পারে বলা মুশকিল। আমি যেহেতু এক্সপার্ট নই একটা লিঙ্ক দেই, পড়ে দেখ।

Indrojit….
প্রশ্ন: স্যার আপনে পদার্থ বিজ্ঞানের প্রথম পাঠ লিখছেন কিন্তু এখন এর দ্বিতীয় পাঠ এর অভাব অনুভব করছি…… কি যে করি??
উত্তর: দ্বিতীয় পাঠ লেখা হলে কি তৃতীয় পাঠ তারপর চতুর্থ পাঠ এভাবে এগুতে থাকবে?

মুনিয়া সাইদাবাদ
প্রশ্ন: আপনার বই পরতে আমার খুব ভাল লাগে কেন? প্রশ্ন ফালতু হলে বকবেন না।
উত্তর: মোটেও ফালতু প্রশ্ন নয়, তবে আমার জন্যে খুবই কঠিন প্রশ্ন। তুমিই উত্তরটা বল।

সমীরণ, হাসনাবাদ, ঢাক
প্রশ্ন: স্যার, কাঁঠালের কোয়ায় আঠা লাগে না কেন?
উত্তর: সত্যি? সামনের বছর কাঠলের সিজনে বিষয়টা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

বর্ণ রংপুর
প্রশ্ন: আপনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে।আপনি আমার প্রিয় লেখক।আর এখানে আপনার লেখা দেওয়া আমরা খুব খুশি।তাই আপনার বাকি লেখাগুলোও তাড়াতাড়ি দিলে আমরা খুব খুশি হব।
উত্তর: আমি যদি দিতে পারি তাহলে আমিও খুশি হব।

শফিকুল মধুপুর
প্রশ্ন: ICT অর্থ কী?
উত্তর: সাধারনত এটা বোঝায় Information and Communication Technology. আমাদের দেশে যুদ্ধাপরারাধীদের বিচার করার ট্রাইবুনালটাও শর্টকাটে ICT (International Crimes Tribunal)

ফারহান সাঈফ
প্রশ্ন: স্যার, আমাদের দেশের ইন্টারমিডিয়েট লেভেল মাত্র টেনে টুনে এক বছর পাচ মাস। এসময় মোট সাতটা সাবজেক্ট এর মোটা মোটা বই শেষ করা প্রচন্ড অমানবিক এবং একই সাথে নৃশংস অত্যাচারের পর্যায়ে পড়ে।স্যার, আপনি কি কোন উপায়ে এই সময়টা লম্বা করার ব্যাবস্থা করতে পারবেন? প্লিজ…
উত্তর: আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে ছুটতে থাকো সময় লম্বা হয়ে যাবে। তোমাদের জন্যে আইনস্টাইন সাহেব এই স্পেশাল ব্যাবস্থা করে গেছেন।

বাঁধন ( আমার ধারণা বাঁধন নামের অর্থ মুক্তি হতে পারে )
প্রশ্ন: স্যার, এই ওয়েবসাইটের জন্য আপনাকে অনেকভাবে ধন্যবাদ দেয়া যায় ,কিন্তু আমি আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। ধন্যবাদ , স্যার আমার জীবনটাকে এত সুন্দর করার জন্য। ধন্যবাদ , স্যার জীবন কত সুন্দর হতে পারে এটা বোঝানোর জন্য। আপনার লেখা পড়ে আমার পুরো জীবনটাই সম্পূর্ণ বদলে গেছে। শুধু ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতাটুকু প্রকাশ করা যাবে না , তবুও বলছি ‘ধন্যবাদ’।
স্যার, আমি আপনার কাছে একটা উপদেশ (যেটাকে আমি সম্ভবত আদেশ হিসেবেই নিব) অনুরোধ করছি যেটা আমি সারা জীবন মেনে চলতে চাই। …
উত্তর: তোমাকে কী উপদেশ দেব বল? আমি নিজে যেটা আবিষ্কার করেছি সেটাই তোমাকে বলি, যদি উপদেশ হিসেবে নিতে চাও, নিতে পারো! “যদি জীবনটাকে উপভোগ করতে চাও তাহলে অন্যের জন্যে কিছু একটা কর, দেখবে তাতে কত আনন্দ।“

প্রশ্ন: স্যার, ভীষণ আনন্দ হয় যখন অনুভব করি সিলেটের অসাধারণ সুন্দর বৃষ্টি একই মুহূর্তে আপনার এবং আমার মনকে দ্রবীভূত করছে! শিক্ষকতা শেষ হলেও প্লিজ এই শহর ছেড়ে যাবেন না। দুঃখের বিষয়, প্রিয় শহরে প্রিয় মানুষ এবং প্রগতিশীলতার আশ্রয় খুব বেশী নেই- আপনাকে আমরা কোনভাবেই হারাতে চাইনা!
লামাবাজার পয়েন্ট এ রাস্তায় যারা বাজে কথা লিখে কিংবা রাজাকার পুত্রের ঘৃণার শব্দ বেশী হলেও পরিমাণগত ভাবে আপনার প্রতি সাধারণ শহরবাসীর নীরব ভালবাসার পরিমাণ অনেকগুণ বেশী, এতটুকু আমি নিশ্চিতভাবে জানি! 🙂
উত্তর: থ্যাংকু। আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ সময়টা আমি সিলেটে দিয়েছি। একটা সময় তো আসবে যখন অন্য কোথাও যেতে মন চাইবে!

প্রশ্ন: ……ওহ প্রশ্ন করতে ভুলে গেছি স্যার।।প্রশ্নটা হলো- একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক্যালি ধর্মশিক্ষা’র আদৌ জরুরি কি না?
উত্তর: পরিবার যদি সচেতন না হয় তাহলে বাসায় ধর্মের বদলে ধর্মান্ধতা কিংবা সাম্প্রদায়িকতা শিখিয়ে ফেলতে পারে তাই স্কুলে উদার ধর্মশিক্ষা দেয়া যেতে পারে, এরকম একটা যুক্তি শুনেছি।

প্রশ্ন: একজন শিক্ষার্থী সে যে সাবজেক্টই পড়ুক না কেনো- প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আবশ্যিকভাবে কোন কোন সাবজেক্ট অবশ্য পাঠ্য হওয়া বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: সায়েন্স এবং আর্টসের সম্মিলিত একটা সুন্দর পাঠ্যসুচি থাকা দরকার।

মোস্তফা নাহিদ,একাদশ শ্রেণী, এমসি কলেজ,সিলেট ।
প্রশ্ন: আপনার ওয়েবসাইটে যদি আপনার সাথে সরাসরি আড্ডা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতো , তাহলে অনেক ভালো হতো । এই মনে করেন আপনি ফেসবুক বা অন্য কোনোভাবে আগাম জানিয়ে দিলেন যে অমুক সময়ে আপনি ওয়েবসাইটে সবার সাথে লাইভ চ্যাট করবেন , সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা গেলো । তাহলে আমরা আপনার সাথে জম্পেশ এক আড্ডা দিয়ে ফেলতাম । আইডিয়াটা ভালো না ?
উত্তর: খুবই ভালো আইডিয়া! কিন্তু ফেসবুক লাইভ চ্যাট এইসব জিনিষ থেকে আমি যে একশ হাত দূরে থাকতে চাই! তোমাদের সাথে আমার যোগাযোগ হতে পারে বল পয়েন্ট কলম দিয়ে, খুব বেশী হলে কী বোর্ড দিয়ে, এর বেশী কিছ হলেই আমি খুব নার্ভাস!

জেফরিন, মোহাম্মদপুর
প্রশ্ন: জাফর চাচা , আপনার সায়েন্স ফিকশন এ এমন কোন গল্প কি আছে? যেখানে বড় থেকে ছোট হওয়া যায়? তাহলে আমি অবশ্যই একবার ছোট হয়ে আপনার গল্পের একটা চরিত্র হবার চেষ্টা করতাম !
উত্তর: আমার গল্পে বড়দের চরিত্রও তো আছে, যেমন খোরাসানি ম্যাডাম…

শুভ চন্দ্র দাস, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর।
প্রশ্ন: স্যার, যদি এমন হয়, হঠাৎ করে একদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে অাপনার দেখা হয়ে গেল! অাপনি কি জিজ্ঞেস করতেন তাঁকে?
উত্তর: কবিগুরু, আপনার সাথে একটা সেলফি তুলতে পারি?

অন্তু ৫ম শ্রেণী
প্রশ্ন: স্যার আমাদের দেশের সব বুড়ো মানুষের একটা ভুড়ি থাকে।আপনার নাই কেনো।
উত্তর: আমি রিয়েলি সরি যে আমার ভুড়ি নাই। খুবই লজ্জা লাগছে যে আমি ঠিকমত বুড়োও হতে পারলাম না। আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আমি প্রাণপন চেষ্টা করব যেন আমার চমৎকার গোলগাল একটা ভুড়ি হয়। বেশি করে খাব, আর দিনরাত সোফায় শুয়ে শুয়ে টিভিতে হিন্দী সিরিয়াল দেখব। ঠিক আছে?

প্রশ্ন: স্যার ছোটবেলায় কোন জিনিসটা করতে আপনার সবথেকে বেশি ভালো লাগত?
গণিত নাকি আকাআকি?
উত্তর: মনে হয় খেলতে সবচেয়ে ভালো লাগতো। আমাদের ছোট বেলাটা তো ঘরের ভেতরে কাটেনি, কেটেছে মাঠে ঘাটে বন জঙ্গলে পাহাড়ে নদীতে…

শমিত ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার ছোটবেলায় আপনার সায়েন্সফিকশন গুলা পড়ে অনেক মজা লাগত।এখনো লাগে!(একটু বড় হওয়ার পর!!) আমি ধরেই নিয়েছিলাম আপনার থেকে বাংলায় ভালো সায়েন্সফিকশন কেউ লিখতে পারে না।পরে দেখলাম,না শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন স্যার আপনার থেকেও অনেএএএএক ভালো সায়েন্স ফিকশন লেখে।আপনি কি উনার সায়েন্স ফিকশন গুলা পড়েছেন?
উত্তর: কেন পড়ব না? অবশ্যই পড়েছি। হুমায়ুন আহমেদ সব কিছু সবার থেকে ভালো করে করতে পারে সেটি কে না জানে?

প্রশ্ন: স্যার, সেকেন্ড ইয়ারে সার্কিট ক্লাসে একটা গ্রাফ ঠিকমত আঁকতে না পারায় যেই একটা ঝাড়ি দিসিলেন তারপরে আমার পুরা ফোবিয়া হয়ে গেছে। সাস্টে বাকী সময় কোন টিচারকে কোন ক্লাসে প্রশ্ন করতে পারিনাই। তারপরে পিএইচডি করতে আসছি, এখানেও কোন সেমিনার/ ক্লাসে প্রশ্ন করতে পারিনা। একটু কম ঝাড়লেও পারতেন 🙁 এটা ঠিক করা যায় কিভাবে?
উত্তর: আমার ল্যাব ক্লাশে এমন কেউ নাই যে আমার ঝাড়ি খায় নাই, এখন দেখা হলে হি হি করে হাসে আর বলে, “স্যার মনে আছে আপনি ঝাড়ি দিয়েছিলেন?” আর তোমার ফোবিয়া হয়ে গেল? কি মুশকিল! পরেরবার দেশে এলে দেখা করো তোমার ফোবিয়া দূর করে দেব।

তাহমিদ, মিরপুর
প্রশ্ন: আপনাকে যে সবাই স্যার ডাকে তা কেন? আপনি উপভোগ করেন এই ডাক?
উত্তর: ঠিক জানি না! তোমাদের বয়সীরা ডাকলে ঠিক আছে, কিন্তু বয়স্করা (যেমন মন্ত্রী মহোদয়েরা) ডাকলে খুব অস্বস্তি হয়।।

Shaswata Shaha mogbazar wireless, Dhak
প্রশ্ন: অবসর জীবনে আপনার কি করার ইচ্ছা?
উত্তর: একটা নদীর তীরে, গাছের নিচে আধ শোয়া হয়ে বই পড়ার ইচ্ছা।

প্রশ্ন: স্যার আমার প্রশ্নটা বিজ্ঞান বিষয়ক। আজগুবিও হতে পারে।আমি wormhole/Einstein-Rosen bridge নিয়ে কোন লেখা পড়লে দেখি negative energy/negative mass কথাটা বারবার আসে।এখন mass আর energy আসলে একই জিনিস (E=mc^2),আবার এনার্জি ধ্বংস হয়না,পরিবর্তীত হয়।আমার প্রশ্ন, positive energy কি negative energy তে পরিবর্তন করা সম্ভব?
উত্তর: একটা পরমানু সবচেয়ে সহজ উদাহরণ। সেখানে ইলেকট্রন নিগেটিভ এনার্জির কারনে পরমানুতে আটকা পরে আছে। বাইরে থেকে খানিকটা পজিটিভ এনার্জি দিলে ইলেকট্রন ছুটে বের হয়ে আসতে পারে। হাইড্রজেন এটমের বেলায় সেই নিগেটিভ এনার্জি হচ্ছে -13.6 eV, তুমি যদি 15 eV এনার্জি দাও তাহলে ইলেকট্রনটা 15eV -13.6eV=1.4eV পজিটিভ গতিশক্তি নিয়ে বের হয়ে আসবে।

প্রাপ্তি,খুলনা
প্রশ্ন: আপনি চশমার ওপর দিয়ে তাকান ক্যানো স্যার?
উত্তর: মনে হয় চশমার কাচটা সব সময় এতো ময়লা থাকে যে এটার ভিতর দিয়ে তাকালে কিছু দেখা যায় না!

রবিন
প্রশ্ন: স্যার,আপনি আর কিশোর আলোতে লেখেন না কেন?আবার প্রতি পনেরো দিন পর পর দেশের অধিকাংশ পত্রিকায় আপনার লেখা প্রকাশিত হলেও প্রথম আলো তে লেখেন না কেন?
উত্তর: যখন তোমার সাথে সামনা সামনি দেখা হবে জিজ্ঞেস করো, কানে কানে বলে দেব।

টুটুল সূত্র ধর, ফেনী।
প্রশ্ন: স্যার নমস্কার। কেমন আছেন। আমার কোনো প্রশ্ন নেই। আপনার প্রত্যেক উত্তর,, আমার পড়তে খুব ভাল লাগে। আপনার সাথে দেখা করার ইচ্ছে?
উত্তর: সিলেটে এসো দেখা হবে।

রেদওয়ান, ঢাকা..
প্রশ্ন: ফিসিক্স, কেমিস্ট্রি, বাইয়োলজি বই গুলো পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়ে গেছি..সেই গট-বাধা বোরিং স্টাইলের লেখা..কিছুক্ষন পরলেই হাই আসে..আপনার স্টাইলে বা একটু মজা করে কি বই গুলো লেখা যায় না? প্রেসেন্টেশনটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ…লেখা দিয়ে শিক্ষার্থীর সাথে আসলে কথা বলতে হবে..শিক্ষার্থী যেনো বিরক্ত বা বোরিং না হয়, ভয় না পায়, ঘাবড়ে না যায়- এই বিষয়গুলো লেখকের খেয়াল রাখতে হবে..
কিন্তু, কিসের কি….
উত্তর: বিষয়গুলো এত ইন্টারেস্টিং যে যদি সবাই শুধু শেখার জন্যে পড়তো তাহলে কীভাবে প্রেজেন্ট করা হলো তাতে কিছু এসে যেতো না। কিন্তু পড়তে হয় পরিক্ষায় ভালো নম্বরের জন্যে, সেটাই সমস্যা। (তোমারদীর্ঘশ্বাস সংক্রান্ত বিশ্লেষণটা বেশ মজার!)

প্রশ্ন: আপনি কি বাচ্চাকাচ্চা অনেক পছন্দ করেন?
উত্তর: কে করে না?

রাইসা, আইডিয়াল স্কুল, ঢাকা
প্রশ্ন: তিতুনি এবং তিতুনি বইটি কোথায় পাওয়া যাবে? এবং আমি আপনাকে অনুরোধ করছি শান্তা পরিবার-২ লিখতে।
উত্তর: তিতুনি এবং তিতুনি যে কোনো বইএর দোকানে পাওয়ার কথা। শান্তা পরিবার ২ মনে হয় লেখা হবে না, কোনো কিছু “২” লিখতে কেমন জানি অস্বস্তি হয়।

সজীব আহমেদ। মোহনগঞ্জ , নেত্রকোনা
প্রশ্ন: “সময়ের সাথে মানুষের মস্তিষ্কের যে রকম বিবর্তন হয়েছে সে রকম অন্যান্য প্রাণীদেরও কি হয়েছে? হলে সেটা কিরকম ভাবে হয়েছে? মানে চিন্তা ভাবনার উন্নতি নাকি অবনতি হয়েছে?”
উত্তর: মানুষের মত অন্য প্রাণীদের হয়নি। পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্যে মানুষের যেভাবে বিবর্তন হয়েছে সেটা তাদের আলাদা করে তুলেছে।

নভেরা ঢাকা
প্রশ্ন: ‘জারুল চৌধুরীর মানিকজোড়’ উপন্যাসে প্রফেসর জারুলের একটা বই লেখার কথা ছিল, নাম ‘শিশুদের ক্যালকুলাস’| এই নামে কি আপনার কোন বই আছে? না থাকলে লিখে ফেলা যায় না?
উত্তর: প্রথম ড্রাফটা এই সাইটে দিয়েছি (অনেক ভুল আছে এখানে। শুদ্ধ করে ছাপা হচ্ছে এখন) নামটা অবশ্যি শিশুদের ক্যালকুলাস না, নাম হচ্ছে সহজ ক্যালকুলাস!

Jhumur, 19 Baburail girls govt primary school.
প্রশ্ন: I’m a primary school teacher. I always try to teach my babies patriotism. But u know sir it doesn’t depends on any lesson. its a feeling ,which i can’t create in their heart many times. But I am trying my best. Will u pls help me by showing some ways.
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের অনেকগুলো হৃদয়গ্রাহী গল্প আছে, সেগুলো বল, কিংবা পড়ে শোনাও। দেখবে ম্যাজিকের মত কাজ হবে। বাচ্চারা গল্প শুনতে খুব ভালবাসে। (তুমি তোমার বাচ্চাদের দেশপ্রেম শেখানোর চেষ্টা কর শুনে বুকটা ভরে গেল!)

নুশিন
প্রশ্ন: বৃষ্টি বাঁকাভাবে পরে কেনো???
উত্তর: কোনো বাতাস না থাকলে বৃষ্টি সোজা ভাবে পড়তো!

শমিত ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার, আমাদের দেশে কত বিশ্ববিদ্যালয়, তার কত শত সাব্জেক্ট।কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞান এর উপর কোনও সাব্জেক্ট নাই কেন?আপনার বেশিরভাগ সায়েন্স ফিকশন পড়ার সময় এইটা মনে হয় আর কষ্ট লাগে।
উত্তর: জ্যোতির্বিজ্ঞান পদার্থ বিজ্ঞানের খুব কাছাকাছি একটি সাবজেক্ট। আমার পরিচিত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বেশিরভাগই পদার্থ বিজ্ঞান পড়ে পরে জ্যোতির্বিজ্ঞান পড়েছে। ভালো পদার্থ বিজ্ঞান না জানলে ভালো জ্যোতির্বিজ্ঞানী হওয়া যায় না।

# অনন্য যারিফ আকন্দ  ৮ বছর রোল- ০১, শ্রেণি- ২য় কানিজ ফাতেমা গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজ মানিকগঞ্জ।
প্রশ্ন: স্যার, আসসালামু আলাইকুম। আপনি কেমন আছেন? আমি ভালো আছি।
স্যার, আমার প্রশ্নগুলো হলো :
১। একটি ইনফ্রারেড ডায়োড কীভাবে ডাটা ট্রান্সফার করে? ২। কীভাবে একটি ইনফ্রারেড রিসিভার ডাটা রিসিভ করে? ৩। মা-বাবাসহ আমাদের পরিবারের সবাই আপনার ভীষণ ভীষণ ভক্ত। আমরা তিন জন মিলে আপনাকে পা-ছুঁয়ে সালাম করতে চাই। দয়াকরে সেই সুযোগ কি আমাদের দিবেন?
উত্তর: ওয়ালাইকুম সালাম। ১. ইনফ্রারেড ডায়োডের আলো চোখে দেখা যায় না। সেই অদৃশ্য আলো বাড়িয়ে এবং কমিয়ে ডাটা পাঠানো হয়। ২. ইনফ্রারেড রিসিভারে যখন সেই আলো পড়ে তখন বেশি আলো হলে বেশি এবং কম আলো হলে কম বিদ্যুৎ তৈরী করে, এটাই হচ্ছে ডাটা রিসিভ করা। ৩. মা বাবা সহ তোমাদের সাথে একদিন নিশ্চয়ই দেখা হবে! (তোমার বয়স মাত্র ৮, এখনই তুমি “ইনফ্রারেড ডায়োড”, “ইনফ্রারেড রিসিভার”, “ডাটা ট্রান্সফার”, “ডাটা রিসিভ” এইসব জান?)

প্রশ্ন: Shall we ever get a book based upon the story of yeasmin ma’am and yours?
উত্তর: মনে হয় না!

আয়ান রাজা ঠিকানা সিলেট জিন্দাবাজার
প্রশ্ন: স্যার প্লিজ নতুন একটা গল্প লিখুন না। আমি আপনার খুব বড় ফেন।আপনি সুধু একটি গল্প লিখেছেন।আপনার আমাদের জন্ন কোন চিন্তা নেই।
উত্তর: লিখব। একটু সময় দাও। পরীক্ষার খাতাগুলো দেখে নেই। একটা ল্যসব পরিক্ষা নেয়াও বাকী আছে।

বর্ষণ সরকার রাইফেলস কলেজ, ঢাকা
প্রশ্ন: স্যার নমস্কার। অন্তত ক্যাম্পাস টার জন্য হলেও আমি সাস্ট এ পড়তে খুব বেশি আগ্রহী। ধরতে গেলে সেখানে পড়তে পারা অনেকটা স্বপ্ন পূরণ এর মত। কিন্তু বাসার সবার আশা আমি বুয়েট এ পড়বো। তেমন কিছু না বললেও অবস্থাটা এমন যে বুয়েটে চান্স না পেলে তাদের অনেক আশাভঙ্গ হবে। এই অবস্থায় একটু সাজেশন দিবেন প্লিজ!!
উত্তর: কোথায় কী পড়া ভালো সে বিষয় নিয়ে আমি আমার নিজের ছেলেমেয়দেরকেও কোনোদিন সাজেশন দেইনি, তোমাকে কিভাবে দেই বল!